তিন ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করেছে হাইকোর্ট
নিউজ ডেস্কঃ রাষ্ট্রায়াত্ত তিন ব্যাংক সোনালী, রূপালী ও জনতার নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করেছে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে গত বছরে দেয়া ওই তিনটি ব্যাংকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি কেন বেআইনি ঘোষণা এবং ২০১৬ সালের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী নিয়োগ পরীক্ষা নিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে। চার সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ চার বিবাদীকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জেবিএম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ রবিবার এ আদেশ দেন।
রাষ্ট্রায়াত্ত এই তিনটি ব্যাংক ২০১৬ সালে পৃথক পৃথক ভাবে কর্মকর্তা নিয়োগের লক্ষ্যে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি করে। কিন্তু ওই বিজ্ঞপ্তি অণুযায়ী নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। কিন্তু ২০১৭ সালে ওই তিনটিসহ মোট ৮টি ব্যাংকের সমন্বিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি করে ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি। ওই বিজ্ঞপ্তিতে সিনিয়র অফিসার, অফিসার ও অফিসার (ক্যাশ) পদের কথা উল্লেখ করা হয়। সেগুলোর মধ্যে সিনিয়র অফিসার পদে নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয় ১২ জানুয়ারি। পরে এই সমন্বিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন ২০১৬ সালে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আবেদনকারীদের মধ্য থেকে বগুড়ার আসাদুজ্জামান, কুমিল্লার আবু বকরসহ ২৮ জন প্রার্থী। আদালতে রিটের পক্ষে আইনজীবী রাশিদুল হক খোকন ও তানজিম আল ইসলাম শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু। শুনানি শেষে হাইকোর্ট পরীক্ষা কার্যক্রম স্থগিত করে দেয়।
রাশিদুল হক সাংবাদিকদের বলেন, এই তিনটি ব্যাংক ব্যতীত অপর ৫টি ব্যাংকের পরীক্ষা নিতে চাইলে ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি নিতে পারবে। অন্য ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে এ আদেশ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে না।