পাল্টে গেল জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দিবস

ডেইলিইউকেবাংলা নিউজঃ আগামী ১২ ডিসেম্বর থেকে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস’ পালন করবে সরকার।২০১৭ সালে প্রথমবারের মতো ‘জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দিবস’ পালন করা হলেও একবছর পর এসে এ দিবসের নাম পরিবর্তন করা হলো।একই তারিখে অর্থাৎ ১২ ডিসেম্বর ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস’ পালন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে দিবসটির নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।এর আগে ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে ‘জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দিবস’ অনুমোদন দেয়া হয়।বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম প্রেস ব্রিফিংয়ে এই অনুমোদনের কথা জানান।

তিনি বলেন,এ দিবস উদযাপনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এ সংক্রান্ত পরিপত্রের ‘খ’ ক্রমিকে ‘জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দিবস’ অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাবও অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।তথ্যপ্রযুক্তি দিবস পালনের জন্য ১২ ডিসেম্বরকে কেন বেছে নেয়া হল- জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম বলেন,২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর নির্বাচনের সময় বর্তমান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশের কনসেপ্টটা নির্বাচনী মেনিফেস্টোতে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন।এজন্য ওই তারিখটাকে উপযুক্ত তারিখ হিসেবে ধার্য করা হয়েছে।

খুব গুরুত্বপূর্ণ দিবসগুলো ক-ক্যাটাগরির জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন,বাকিসবগুলোই খ-ক্যাটাগরির।আর্থিক ক্যাপাসিটির কারণে এটা হয়।খ-ক্যাটাগরির দিবসের জন্য ৫০ হাজার টাকার একটা বরাদ্দ দেয়া হয়।এ দিবস উপলক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন,২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প ঘোষণা করেন।জনগণ সে ঘোষণায় আস্থা রেখে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করার মাধ্যমে জনসেবা করার সুযোগ করে দেয়।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন,সরকার গঠনের পর আমাদের কার্যক্রমের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ দেশে-বিদেশে প্রশংসিত এবং অনুকরণীয়।দেশের মানুষ এই রূপকল্পের সুফল ভোগ করছে।ফলে মন্ত্রিসভা কর্তৃক আজকের এই অনুমোদনের ফলে ডিজিটাল বাংলাদেশ কার্যক্রম চূড়ান্ত লক্ষ্যের দিকে আরও একধাপ অগ্রগতি হলো।গত বছর ১২ ডিসেম্বর প্রথম এ দিবস পালনের জন্য সকাল সাড়ে ৭টায় ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে দিবসটির সূচনা হয়।সকাল ৮টায় শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে বের করা হয় শোভাযাত্রা।বিকেল তিনটায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের হল অব ফেমে আলোচনা সভা হয়।বিকেল সাড়ে ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মল চত্বরে কনসার্ট অনুষ্ঠিত হয়।

এ ছাড়া দিবসটি উদযাপনে আইসিটি ডিভিশনের উদ্যোগে ও ইয়াং বাংলার আয়োজনে অনলাইন প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদফতর এবং বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের (বিডিওএসএন) সহযোগিতায় সারাদেশের ৪১টি জেলার ১২৩টি শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবে বিকেল ৩টা-৫টা এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।তবে চলতি বছর এ দিবসটি আরও বেশি গুরুত্ব দিয়ে পালন করা হবে বলে আইসিটি বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে।

Leave a Reply

Developed by: TechLoge

x