চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ডসহ ৬ পুরষ্কার বাংলাদেশের
ডেইলিইউকেবাংলা নিউজঃ তথ্যপ্রযুক্তির অন্যতম বড় আসর অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ডস ২০১৮তে একটি ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ড অর্জনসহ ছয়টি পুরস্কার জিতেছে বাংলাদেশ। এছাড়াও অন্য ক্যাটাগরির পাঁচটি পুরস্কার এসেছে মেরিট থেকে।বাংলাদেশ থেকে সিনিয়র স্টুডেন্ট ক্যাটাগরিতে একমাত্র চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের ফিড’এম প্রকল্প।
এবার ৮১ সদস্যদের প্রতিনিধিদল নিয়ে চীনের গুয়াংঝুতে ৯-১৩ অক্টোবর অনুষ্ঠিত অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ডসে অংশ নেয় বাংলাদেশ।
মেরিট পুরস্কার জিতেছে ক্রস ক্যাটাগরি (স্টার্টআপ) এ সিন্দাবাদ ডটকম লিমিটেডের প্রকল্প সিন্দাবাদ ডটকম, সিনিয়র স্টুডেন্ট ক্যাটাগরিতে সেন্ট জোসেফ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রকল্প সবজান্তা, ইন্ডাস্ট্রিয়াল (অ্যাগ্রিকালচার) ক্যাটাগরিতে এসিআই অ্যাগ্রিবিজনেসের প্রকল্প ফসলি, ইন্ডাস্ট্রিয়াল (ট্রান্সপোর্ট) ক্যাটাগরিতে যান্ত্রিক লিমিটেডের যান্ত্রিক নাইন ওয়ান ওয়ান, ইনক্লুশন ও কমিউনিটি সার্ভিস ক্যাটাগরিতে এটুআই-সফটবিডি লিমিটেডের যৌথ প্রকল্প একসেবা।
গত ৯ অক্টোবর জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে চীনে শুরু হয় অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ডস ২০১৮। ১৩ অক্টোবর পুরস্কার বিতরণীর মধ্য দিয়ে শেষ হয় অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ডস ২০১৮।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অ্যাপিকটায় চীনের ইকোনমিক কো-অর্ডিনেটর এবং জিডিএসআইএ এর মহাসচিব লিউ হুই, অ্যাপিকটার চেয়ারম্যান স্ট্যান সিংসহ প্রমুখ।
অ্যাপিকটার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীরের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন বেসিস নির্বাহী পরিষদ সদস্যবৃন্দ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর অ্যাপিকটার এক্সকো মিটিং ও বিচারকদের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১০ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে আনুষ্ঠানিক প্রকল্প বিচারপর্ব। ১১ অক্টোবর চীনের ঐতিহ্যবাহী পোশাকে দেশটির সংস্কৃতির নানা দিক ফুটিয়ে তুলে আয়োজন করা হয় গুয়াংঝু নাইট।
অনুষ্ঠানটিতে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল নিজেদের সংস্কৃতির বিভিন্ন দিক বিশ্ব পরিমন্ডলে তুলে ধরেছে। অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ডসে চীনের পিডব্লিটিসি এক্সপোতেও অংশ নেয় বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল।
এবার ১৫টি ইকোনমি থেকে ২৬৬ টি প্রকল্প অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ডস ২০১৮তে অংশ নিয়েছে। সিনিয়র স্টুডেন্ট ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন, চলতি বছরের এপ্রিল থেকে আমরা বেসিস ন্যাশনাল আইসিটি অ্যাওয়ার্ডের প্রক্রিয়া শুরু করি।
সারা দেশ থেকে বাছাই করে ২৮টি প্রতিষ্ঠানের ২৯টি প্রকল্পকে আমরা অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ডস ২০১৮ এর জন্যে মনোনীত করেছি। পাশাপাশি গত আগস্ট মাসে আইসিটি অ্যাওয়ার্ডস শেষ হওয়ার পর এক মাসব্যাপী মনোনীত প্রকল্পগুলোর উন্নয়নে প্রশিক্ষণও প্রদান করা হয়েছে। বাংলাদেশের এ অর্জন বিশ্ব পরিমণ্ডলে ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো।
বেসিস ন্যাশনাল আইসিটি অ্যাওয়ার্ডসের আহ্বায়ক ও অ্যাপিকটার বিচারক মণ্ডলীর সদস্য দিদারুল আলম বলেন, আমরা বেসিস থেকে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের বিস্তৃতি শুধুমাত্র বেসিস সদস্যদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। সদস্যদের পাশাপাশি আগামী দিনের তরুণ প্রজন্মদের নিয়ে কাজ করছি আমরা। সিনিয়র স্টুডেন্ট ক্যাটাগরিতে চ্যাচ্যাম্পিনশিপসহ মোট ৬টি পুরষ্কার প্রাপ্তি বেসিসসহ গোটা বাংলাদেশের জন্যে সম্মান বয়ে নিয়ে এসেছে।
বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীরের নেতৃত্বে অ্যাপিকটায় অংশ নিয়েছেন বেসিসের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি জনাব ফারহানা এ রহমান, সহ-সভাপতি (প্রশাসন) ও অ্যাপিকটার সম্মানিত বিচারকমণ্ডলীর সদস্য জনাব শোয়েব আহমেদ মাসুদ, পরিচালক ও অ্যাপিকটার সম্মানিত বিচারকমণ্ডলীর সদস্য জনাব দিদারুল আলম, অ্যাপিকটায় বাংলাদেশের ইকোনমিক কো-অর্ডিনেটর জনাব মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল এবং অ্যাপিকটার সম্মানিত বিচারমণ্ডলীর সদস্য জনাব আবদুল্লাহ এইচ কাফি। অ্যাপিকটার বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সরকারের তথ্য ও যোগযোগ প্রযুক্তি বিভাগের পক্ষে ছিলেন যুগ্ম সচিব জনাব এহসানুল পারভেজ ও উপসচিব ড. মো. মেহেদী হাসান।