রোহিঙ্গাদের সহায়তায় ১৩৫ কোটি টাকা দেবে যুক্তরাজ্য

যুক্তরাজ্যঃ মিয়ানমারে জাতিগত নিধনের শিকার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য আরও ১ কোটি ২০ লাখ ব্রিটিশ পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় যার মূল্য ১শ ৩৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা) সহায়তা পাঠাতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য। দেশটির আন্তর্জাতিক উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রী পেনি মরডন্টের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি খবরটি জানিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে গত আগস্ট থেকে রোহিঙ্গাদের জন্য যুক্তরাজ্যের দেওয়া সহায়তার পরিমাণ দাঁড়াবে ৫৯ মিলিয়ন পাউন্ডে; বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ৬৬৬ কোটি ৮২ লাখ টাকা।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, নতুন করে পাঠাতে যাওয়া সহায়তাগুলো বিশুদ্ধ পানি, খাদ্য, পয়ঃনিষ্কাশন, আশ্রয়, সাবান, রান্না, বাসন কোসন ও পানির পাত্র বাবদ ব্যয় করা হবে। যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিভাগ বলছে, যদি দেশগুলো দীর্ঘ মেয়াদে সহায়তা নিয়ে এগিয়ে না আসে তবে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় গঠিত তহবিলটি আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি নাগাদ শূন্য হয়ে পড়বে।

যুক্তরাজ্য সরকারের আন্তর্জাতিক উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রী পেনি মরডন্ট সম্প্রতি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করে নতুন করে রোহিঙ্গাদের জন্য অর্থ সহায়তা পাঠানোর ঘোষণা দেন। যুক্তরাজ্য এখনকার মতো ভবিষ্যতেও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ও বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে আশ্বাস দেন মরডন্ট।

রোহিঙ্গাদের বাস্তুচ্যুত করার ঘটনাকে জাতিগত নিধনের শামিল উল্লেখ করে মরডন্ট বলেন,‘মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে এই অমানবিক সহিংসতা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। মিয়ানমারে যাদের প্রয়োজন তাদের  জন্য শর্তহীন মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর নিশ্চয়তা দিতে হবে। পরিবারগুলোর নিজেদের বাড়িঘরে ফেরা অবশ্যই নিরাপদ ও সম্মানজনকভাবে হতে হবে।’

গত ২৫ আগস্ট রাখাইন রাজ্যে সহিংসতার পর রোহিঙ্গাদের ওপর নিধনযজ্ঞ শুরু করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। হত্যা ও ধর্ষণ থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে ছয় লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। তাদের কাছে শোনা যায় সেনাবাহিনী হত্যাযজ্ঞ ও বর্বরতার কথা।বাংলাদেশেও ত্রাণ সংস্থাগুলো এই বিশাল সংখ্যক রোহিঙ্গাকে সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে। সহায়তায় এগিয়ে এসেছে জাতিসংঘ, ইউনিসেফসহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থা। রোহিঙ্গাদের উপর এই নির্যাতনকে জাতিগত নিধনযজ্ঞের ‘পাঠ্যপুস্তকীয় উদাহরণ’ হিসেবে উল্লেখ করেছে জাতিসংঘ।

তবে মিয়ানমার বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। তাদের দাবি বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছে তারা। গত বছর অক্টোবরেও পুলিশের উপর হামলা চালিয়েছিলো রোহিঙ্গাদের অধিকার আদায়ের সশস্ত্র এই বিদ্রোহী সংগঠনটি। সেসসময় ৮৭ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। মিয়ানমারে জাতিগত নিধনের শিকার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য আরও ১ কোটি ২০ লাখ ব্রিটিশ পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় যার মূল্য ১শ ৩৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা) সহায়তা পাঠাতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য। দেশটির আন্তর্জাতিক উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রী পেনি মরডন্টের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি খবরটি জানিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে গত আগস্ট থেকে রোহিঙ্গাদের জন্য যুক্তরাজ্যের দেওয়া সহায়তার পরিমাণ দাঁড়াবে ৫৯ মিলিয়ন পাউন্ডে; বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ৬৬৬ কোটি ৮২ লাখ টাকা।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, নতুন করে পাঠাতে যাওয়া সহায়তাগুলো বিশুদ্ধ পানি, খাদ্য, পয়ঃনিষ্কাশন, আশ্রয়, সাবান, রান্না, বাসন কোসন ও পানির পাত্র বাবদ ব্যয় করা হবে। যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিভাগ বলছে, যদি দেশগুলো দীর্ঘ মেয়াদে সহায়তা নিয়ে এগিয়ে না আসে তবে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় গঠিত তহবিলটি আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি নাগাদ শূন্য হয়ে পড়বে।

যুক্তরাজ্য সরকারের আন্তর্জাতিক উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রী পেনি মরডন্ট সম্প্রতি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করে নতুন করে রোহিঙ্গাদের জন্য অর্থ সহায়তা পাঠানোর ঘোষণা দেন। যুক্তরাজ্য এখনকার মতো ভবিষ্যতেও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ও বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে আশ্বাস দেন মরডন্ট।

রোহিঙ্গাদের বাস্তুচ্যুত করার ঘটনাকে জাতিগত নিধনের শামিল উল্লেখ করে মরডন্ট বলেন,‘মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে এই অমানবিক সহিংসতা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। মিয়ানমারে যাদের প্রয়োজন তাদের  জন্য শর্তহীন মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর নিশ্চয়তা দিতে হবে। পরিবারগুলোর নিজেদের বাড়িঘরে ফেরা অবশ্যই নিরাপদ ও সম্মানজনকভাবে হতে হবে।’

গত ২৫ আগস্ট রাখাইন রাজ্যে সহিংসতার পর রোহিঙ্গাদের ওপর নিধনযজ্ঞ শুরু করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। হত্যা ও ধর্ষণ থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে ছয় লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। তাদের কাছে শোনা যায় সেনাবাহিনী হত্যাযজ্ঞ ও বর্বরতার কথা।বাংলাদেশেও ত্রাণ সংস্থাগুলো এই বিশাল সংখ্যক রোহিঙ্গাকে সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে। সহায়তায় এগিয়ে এসেছে জাতিসংঘ, ইউনিসেফসহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থা। রোহিঙ্গাদের উপর এই নির্যাতনকে জাতিগত নিধনযজ্ঞের ‘পাঠ্যপুস্তকীয় উদাহরণ’ হিসেবে উল্লেখ করেছে জাতিসংঘ।

তবে মিয়ানমার বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। তাদের দাবি বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছে তারা। গত বছর অক্টোবরেও পুলিশের উপর হামলা চালিয়েছিলো রোহিঙ্গাদের অধিকার আদায়ের সশস্ত্র এই বিদ্রোহী সংগঠনটি। সেসসময় ৮৭ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে।

Leave a Reply

More News from যুক্তরাজ্য

More News

Developed by: TechLoge

x