মুসলিম ইস্যুতে ট্রাম্প-তেরেসা কথার লড়াই
আন্তর্জাতিক ডেস্ক ঃ টুইটারে ব্রিটিশ উগ্র-ডানপন্থী গোষ্ঠী ‘ব্রিটেন ফার্স্টের’ পোস্ট করা মুসলিমবিদ্বেষী ভিডিও রিটুইট করায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমালোচনা করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। লেবার পার্টির নেতা ও এমপিদের তুমুল সমালোচনার মুখে পড়ার পর ট্রাম্পের সমালোচনা করতে বাধ্য হন তিনি। বুধবার (২৯ নভেম্বর) ডাউনিং স্ট্রিট থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে ট্রাম্পের এ পদক্ষেপকে ‘ভুল’ হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে।উগ্র-ডানপন্থী ব্রিটিশ ন্যাশনাল পার্টির (বিএনপি) সাবেক সদস্যরা ২০১১ সালে ‘ব্রিটেন ফার্স্ট’ গোষ্ঠীটি তৈরি করেছেন। যে ভিডিওগুলো ট্রাম্প শেয়ার করেছেন সেগুলো ‘ব্রিটেন ফার্স্ট’ গোষ্ঠীর উপনেতা জায়দা ফ্রানসেনের পোস্ট করা। প্রথম ভিডিওতে দেখা যায়, এক মুসলিম শরণার্থী ক্রাচে ভর দিয়ে থাকা এক ওলন্দাজ বালককে আঘাত করছে। এরকম আরও দুটি ভিডিও টুইট করেন ফ্রানসেন। সেগুলোর একটিতে দেখা যায় এক দল লোক এক বালককে ছাদ থেকে ফেলে দিচ্ছে এবং আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায় একজন ভার্জিন ম্যারির ভাস্কর্য নষ্ট করছে। দুটি ভিডিওতেই আক্রমণকারী ব্যক্তিদেরকে মুসলিম হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। আর সেই ভিডিওগুলোই রিটুইট করেন ট্রাম্প। এ নিয়ে যুক্তরাজ্যের রাজনৈতিক অঙ্গনে সমালোচনা শুরু হয়। থেরেসা মেকে আহ্বান জানানো হয় তিনি যেন ট্রাম্পের রিটুইটের নিন্দা করেন। অবশেষে চাপের মুখে বুধবার ডাউনিং স্ট্রিট জানায়, ট্রাম্পের পদক্ষেপ ভুল।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মে-র মুখপাত্র বলেন, ‘এই কাজ করে প্রেসিডেন্ট (ট্রাম্প) ভুল করেছেন।’ উগ্র ডানপন্থী গোষ্ঠীটি সাম্প্রদায়িক বিভাজন তৈরির চেষ্টা করছে বলেও দাবি করেন তিনি।এর আগে, ভিডিওগুলো রিটুইট করার জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সমালোচনা করেন যুক্তরাজ্যের শীর্ষস্থানীয় বেশ কয়েকজন রাজনীতিক। ট্রাম্পের সমালোচনা করতে ব্রিটিশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তারা।
লেবার পার্টির এমপি জেরেমি করবিন বলেছেন, ‘আমি আশা করি আমাদের ভবিষ্যত সরকার উগ্র ডানপন্থীদের টুইট ট্রাম্পের রিটুইট করার ঘটনার নিন্দা জানাবে। এগুলো ঘৃণ্য, বিপজ্জনক এমন হুমকিপূর্ণ।লেবার এমপি ইভেত্তে কুপার বলেন, ‘যুক্তরাজ্য সরকার ট্রাম্পের টুইটের ব্যাপারে নীরব থাকতে পারে না। যুক্তরাজ্যে বর্ণবাদী সংগঠনের হয়ে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে এমন নারীর প্রচারণাই প্রচার করছেন তিনি। এটা লজ্জাজনক বিপজ্জনক।যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য পরস্পরের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত। ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর বিদেশি নেতাদের মধ্যে মে-ই প্রথম হোয়াইট হাউস সফর করেছিলেন।তবে আগামী বছর ট্রাম্পের সম্ভাব্য ব্রিটেন সফরের ওপর এ ঘটনার প্রভাব পড়বে না বলে থেরেসা মে’র কার্যালয় থেকে দাবি করা হয়েছে। ডাউনিং স্ট্রিট জানিয়েছে, ট্রাম্পকে দেওয়া সেই আমন্ত্রণ এখনও বজায় আছে।মার্কিন প্রেসিডেন্টের মনোভাব থেকে দূরত্ব বজায় রাখার জন্য ব্রিটিশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে মুসলিম কাউন্সিল ফর ব্রিটেন
More News from যুক্তরাজ্য
-
গোলাপগঞ্জ স্যোশাল এন্ড কালচারাল ট্রাস্ট ইউকে’র সভা ও নির্বাচন অনুষ্ঠিত
-
মুজিব বর্ষে লন্ডনে প্রথমবারেরমতো বঙ্গবন্ধু কাপ ক্যারম টুর্নামেন্টের উদ্বোধন
-
সিলেটে রায়হান হত্যার প্রতিবাদে লণ্ডনে ভয়েস ফর জাস্টিস ইউকের মানব বন্ধন
-
ব্রিটেন জুড়ে শাখা ও ফ্রাঞ্চাইজ দিতে বার্মিংহাম মিষ্টি দেশ এর সংবাদ সম্মেলন
-
বছরব্যাপী ৩০টি কর্মপরিকল্পনা নিয়ে মুজিববর্ষ পালন করবে, যুক্তরাজ্যেস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশন
-
ব্যারিস্টার নোরা শরীফের মৃত্যুবার্ষিকীতে যুক্তরাজ্য যুব-মহিলালীগের স্মরন সভা