শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বিকালে কাঁকন বিবির দাফন
নিউজ ডেস্ক,সিলেটঃ বীরপ্রতীক কাকন বিবির দাফন বিকালে। আজ সকালে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে তার মেয়ে সখিনা বেগম লাশ গ্রহণ করে সুনামগঞ্জে নিয়ে যান। সেখানে নামাজে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে। এর আগে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং সিলেট মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমা- তার কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে সম্মুখ সমরে অংশ নেয়া মুক্তিযোদ্ধা বীরপ্রতীক নুরজাহান বেগম কাকন বিবি বুধবার রাত ১১টা ৫ মিনিটে ইন্তেকাল করেন(ইন্না….রাজিউন)। সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। আজ বেলা আড়াই টায় দোয়ারাবাজার উপজেলার লিয়াকতগঞ্জ বাজারে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হবে ওই বীর মুক্তিযুদ্ধাকে।
পরে এখানেই জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। তাকে লক্ষ্মীপুর গ্রামের নিজ বাড়ির পাশে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে। সোমবার রাত সাড়ে ৯টায় গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে দোয়ারাবাজার থেকে সিলেট নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাকে হাসপাতালের তৃতীয় তলার ১০ নম্বর কেবিনে ভর্তি করা হয়। রাতে অবস্থার অবনতি হলে তার আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। কাকন বিবির মেয়ে সখিনা বলেন, তিনদিন ধরে জ্বরে ভুগছেন মা কাকন বিবি। এরপর থেকে তার কথা বলা বন্ধ হয়ে যায়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে দোয়ারাবাজার উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হয়। ইউএনও কাকন বিবিকে দ্রুত ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে আসতে আর্থিক সহযোগিতাসহ সবধরণের সহযোগিতা করেছেন। ভারতের খাসিয়া পাহাড়ের পাদদেশে খাসিয়া সম্প্রদায়ের এক পরিবারে জন্ম কাকন বিবির। ১৯৭০ সালে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার শহীদ আলীর সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের পর নাম পরিবর্তিত হয়ে নুরজাহান বেগম করা হয়। তার বর্তমান বসতি সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের জিরাগাঁও গ্রামে। কাকন বিবি মাত্র তিন দিনের শিশু কন্যা সন্তান সখিনাকে রেখে যুদ্ধে চলে যান। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি পাকিস্তানি বাহিনীর বিপক্ষে মুক্তিবাহিনীর হয়ে শুধু গুপ্তচর হিসেবেই কাজ করেননি, করেছেন সম্মুখযুদ্ধও। মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য তাকে বীরপ্রতীক খেতাব দেয়া হয়