সিলেট-১ : অর্থমন্ত্রী নন, নৌকার মাঝি মোমেন
ডেইলিইউকেবাংলা নিউজঃ অবশেষে জানা গেল সিলেট-১ আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত গত তিনটি নির্বাচনে এখান থেকে লড়লেও আওয়ামী লীগ বেছে নিয়েছে তার ভাই এ কে আবদুল মোমেনকে।রবিবার আওয়ামী লীগ যেসব আসনে দলের প্রার্থীদেরকে মনোনয়নপত্র দেয় তার মধ্যে আলোচিত সিলেট-১ আসনও আছে।অর্থমন্ত্রী নিজে নির্বাচন করতে অনাগ্রহী ছিলেন। তিনি রাজনীতি ছেড়ে অবসরে যেতে চান, চালু করতে চান অবসরের সংস্কৃতি। আর তার বদলে তিনি ছোট ভাইকে মনোনয়ন দেয়ার পক্ষে ছিলেন। তবে দলের একাধিক নেতাও চেষ্টা করে আসছিলেন নৌকা পাওয়ার।
এই আসনটি বরাবর আলোচিত এই কারণে যে, এখান থেকে জয় পাওয়া দল বরাবর সরকার গঠন করেছে। বিএনপি এবার এখান থেকে সাবেক রাষ্ট্রদূত ইনাম আহমেদ চৌধুরীকে প্রার্থী করেছে বলে গণমাধ্যমের খবরে এসেছে। তার বিপরীতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জানা যাচ্ছিল না এতদিন। তবে মোমেন দলের মনোনয়নপত্র নেয়ার পর সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটে।
নিজে প্রার্থী হবেন না ঘোষণা দিয়েও মুহিত দলের মনোনয়ন ফরম তুলেছিলেন। সেই সঙ্গে ফরম কেনার টাকা দিয়েছেন ছোট ভাই মোমেনের জন্য।মোমেন ছিলেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি। এ ছাড়াও নানা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।এই জেলার ছয়টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনয়ন দিয়েছে চারটিতে। ফাঁকা রেখেছে সিলেট-২ এবং সিলেট-৫ আসন। দশম সংসদ নির্বাচনে আসন দুটি জাতীয় পার্টিকে ছাড় দেয়া হয়। এবার দুই দল আছে জোটের আলোচনায়।সিলেট-৩ (দক্ষিণ সুরমা-ফেঞ্চুগঞ্জ-বালাগঞ্জ) আসনে নৌকা পেয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েস। তিনি ২০০১ সাল থেকেই এই আসনে নৌকা নিয়ে লড়ছেন।
সিলেট-৪ (জৈন্তাপুর-গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য ইমরান আহমদ। তিনি ১৯৮৬ সাল থেকেই এই আসনে নৌকা নিয়ে লড়ছেন, জিতেছেন চারবার।
সিলেট-৬ (বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জ) শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ১৯৯৬ সালে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এর পরের তিনটি নির্বাচনেও তিনি নৌকা পান। হারেন ২০০১ সালে। বাকি নির্বাচনে জিতেন।
মনোনয়ন পাওয়ার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে ইমরান আহমদ চৌধুরী ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের মত বড় রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন পাওয়া আমার জন্য গৌরবের। দল আমাকে যে সম্মান দিয়েছে তার জন্য প্রধানমন্ত্রী সহ আওয়ামী লীগের সর্বস্থরের নেতা-কর্মীদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। পুনরায় নির্বাচিত হলে পুরনো অভিজ্ঞতা আর বর্তমান পরিবেশ পরিস্থিতির উপর সমন্বয় করেই এলাকার উন্নয়নে নিজেকে নিয়োজিত করতে চাই।’
জাপার দুই সংসদ সদস্যের আসনে প্রার্থী দেয়নি আওয়ামী লীগ
২০১৪ সালে সিলেট-২ (বিশ্বনাথ-ওসমানীনগর) আসনে জেতেন জাতীয় পার্টির ইয়াহিয়া চৌধুরী। ওই বছর আওয়ামী লীগ তাকে সমর্থন দিয়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেয়। তবে ২০০৮ সালে আসনটিতে জয় পেয়েছিলেন নৌকা প্রতীকের শফিকুর রহমান চৌধুরী। এবার আসনটিতে নিজেদের প্রার্থী দেয়ার দাবি আছে স্থানীয় আওয়ামী লীগে।সিলেট-৫ (জকিগঞ্জ-কানাইঘাট) আসনে ২০১৪ সালে জাতীয় পার্টির সেলিম উদ্দিনের বিপরীতে প্রার্থী দেয়নি আওয়ামী লীগ। আর এবারও আসনটিতে ছাড় চাইছে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য শরিক দলটি।