বিয়ানীবাজার ক্যান্সার হাসপাতালের প্রগ্রেস রিপোর্ট: ৩বছরে ৭শ’ ক্যান্সার ও ২২ হাজার সাধারণ রোগীকে চিকিৎসা প্রদান, ২৮ মে চ্যানেল এস’এ ফান্ড রেইজিং

আব্দুল কাদির চৌধুরী মুরাদ।। বিয়ানীবাজার ক্যান্সার এন্ড জেনারেল হসপিটাল গত তিন বছরে ৭০৭ জন ক্যান্সার রোগী এবং ২২ হাজারেরও বেশী অন্যান্য রোগীকে চিকিৎসা সেবা দিয়েছে।

৯ মে বুধবার ইস্ট লন্ডনের একটি অভিজাত হোটেলে হাসপাতালের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠিত প্রগ্রেস রিপোর্ট মিটিংয়ে এসব তথ্য জানানো হয়।

অনুষ্ঠানে হাসপাতাল পরিচালনার দায়িত্বে থাকা নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রতিবছর দরিদ্র ফান্ডের মাধ্যমেও বিপুল অসহায় রোগীদের সেবা দেওয়া হচ্চেছ। আশা করা হচ্চেছ আগামী ২৮ মে চ্যানেল এস টেলিভিশনে লাইভ ফান্ড রেইজিংয়ে অতীতের ন্যায় সকলে পাশে থাকবেন এবং সহায়তার হাত প্রসারিত করবেন।

হাসপাতালে কিভাবে ক্যান্সার রোগী ছাড়াও সাধারণ রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্চেছ তা তুলে ধরা হয় অনুষ্ঠানে। জানানো হয়, ক্যান্সারের এওয়ারনেসের পাশাপাশি চলছে ক্যামো থেরাপি। ২০১৫ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত মোট ২২ হাজার ১শ ৫৬ জন সাধারন রোগীকে সেবা দেওয়া হয়েছে।

৭০৭ জন ক্যান্সার রোগী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সেবা দিয়েছেন। এছাড়াও নাক কান গলা রোগী ছিলেন ১ হাজার ৩শ ২০ জন, সার্জারী ২শ ৩৫ জন এবং গাইনী বিভাগে ১শ ৩৩ জন সেবা নিয়েছেন।

গরিদ্র তহবিলের সহযোগিতা নিয়েছেন ১ হাজার ১শ ৩০জন।

হাসপাতালের কো ফাউন্ডার ও মার্কেটিং ডাইরেক্টর ফরহাদ হোসেন টিপুর পরিচালনায় এতে শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন মনজুরুস সামাদ চৌধুরী মামুন। শুরুতে সবাইকে স্বাগত জানান হাসপাতালের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শামসুদ্দিন খান। পুনাঙ্গ রিপোর্ট পেশ করেন চীফ এক্সিকিউটিভ অফিসার সাব উদ্দিন।

হাসপাতাল নিয়ে একটি ভিডিও প্রেজেন্টেশন পরিচালনা করেন রেহমাত শেখ ও সাবিয়া খাতুন।

অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, চ্যানেল এস’র ফাউন্ডার মাহি ফেরদৌস জলিল, চেয়ারম্যান আহমেদ উস সামাদ চৌধুরী জেপি, বিসিএ এর সাবেক সেক্রেটারী জেনারেল এম এ মুনিম, বড়লেখা এসোসিয়েশনের সেক্রেটারী ফয়সল রহমান, কমিউনিটি নেতা মানিক মিয়া, সুনা মিয়া, গোলাপগঞ্জ উপজেলা এডুকেশন ট্রাষ্টের ফাউন্ডার আলহাজ্ব সিফত আলী আহাদ, সাবেক ট্রেজারার মাওলানা আশরাফুল ইসলাম।

হাসপাতালের চেয়ারম্যান ও কমিউনিটি নেতা শামসুদ্দিন খান বলেন, ধারাবাহিক দানের মাধ্যমে হাসপাতাল সফলতার সাথে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে। কয়েক বছরের মধ্যেই হাসপাতালটি নিজস্ব আয়ের উপর ভিত্তি করে চলা সম্ভব হবে।বর্তমান কঠিন সময়ে সকলকে পাশে থাকার আহবান জানান তিনি।

হাসপাতালের সিইও সাব উদ্দিন বলেন, সেবা কার্যক্রমকে বৃদ্ধিকরতে বিভিন্ন হেলথ অপারেশন ও টেষ্ট ইকুইপমেন্ট তৈরী করতে এনএক্স নামে আরো একটি ভবন তৈরী করা হবে। প্রযুক্তির সাথে হাসপাতালকে এগিয়ে নিতে ৪টি বিভাগ প্রতিষ্ঠা করা হবে। তা হলো- চক্ষু, ফিজিও, ডায়বেটিস এবং ওপিডি। এই কাজ বাস্তবায়নে আরো প্রয়োজন সাড়ে ৩শ’ হাজার থেকে ৪শ’ হাজার পাউন্ড।

বিয়ানীবাজার ক্যান্সার এন্ড জেনারেল হাসপাতাল শুধুই স্বপ্ন নয়। এটি এখন বাস্তবায়নের প্রতিচ্চছবি। বললেন চ্যানেল এস’র ফাউন্ডার মাহি ফেরদৌস জলিল। তিনি বলেন, মানুষ এখনে সেবা নিচ্চেছ। উপকৃত হচ্চেছ। সারাদেশে এই প্রতিষ্ঠানটি যেনো একটি মডেল প্রজেক্টে রুপ নেয়।

হাসপাতালের মার্কেটিং ডিরেক্টর   ফরহাদ হোসেন টিপু জানান, বিভিন্ন পর্যায়ের ডোনেশন এবং আয় থেকে সর্বমোট আয় হয়েছে প্রায় পৌনে দুই মিলিয়ন পাউন্ড। যা হাসপাতালের ভবন নির্মান এবং সামগ্রিক আয়োজনে ব্যয় হচ্চেছ। বর্তমানে মাসিক ব্যয় প্রায় ১০ লাখ টাকা। কয়েকজন ব্রিটিশ বাংলাদেশী ডাক্তারও অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে তাদের বক্তব্যে এই মহতি কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকার প্রতিশ্রæতি ব্যক্ত করেন। কয়েকজন তরুন ব্যবসায়ীও এক হাজার পাউন্ড করে দান করে লাইফ মেমবার হওয়ার ঘোষনা দেন।

ট্রাস্টিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ডাক্তার কবির মাহমুদ, এম এ গনি, রউফুল ইসলাম, শায়েস্তা চৌধুরী কুদ্দুস, আব্দুল করিম নাজিম, জাহিদ রহমান, আব্দুল আলিম ফজলু, বাজিদুর রহমান, আব্দুস সামাদ ও স্কয়ার মাইল ইন্সুরেন্সের ডেভিড ও জান। সকলকে ধন্যবাদ জানান ট্রাস্টি আব্দুল শফিক।

Leave a Reply

More News from কমিউনিটি

More News

Developed by: TechLoge

x