জেরুজালেম প্রস্তাবে নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে জেরুজালেম প্রসঙ্গে উত্থাপিত প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার বিরোধিতা করে এ প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছিল।
মিশরের তৈরি করা ওই খসড়ায় বলা হয়েছে, জেরুজালেম প্রসঙ্গে যেকোনো সিদ্ধান্তের কোনো আইনি ভিত্তি নেই, এটা বর্জনীয় এবং বাতিল করতে হবে।জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী প্রতিনিধি নিকি হ্যালি এটাকে এক ধরনের অপমান বলে উল্লেখ করেছেন। এটা যুক্তরাষ্ট্র মনে রাখবে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি।তিনি আরো বলেন, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন দ্বন্দ্বের ক্ষেত্রে জাতিসংঘ ভালো করার চেয়ে ক্ষতিটাই বেশি করছে। এটা তারই উদাহরণ।নিকি বলেন, ‘দূতাবাস স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো সরল একটি ঘটনার জন্য আজ যুক্তরাষ্ট্রকে নিজেদের সার্বভৌমত্বের ক্ষমতা দেখাতে হলো। আর এটাও প্রমাণিত যে, আমরা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করেছি।’
এদিকে, জেরুজালেম প্রসঙ্গে নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপিত প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দিলেও নিরাপত্তা পরিষদের বাকি ১৪টি দেশই এতে সমর্থন দিয়েছে। এ থেকে এটা স্পষ্ট যে, জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানীর স্বীকৃতি দেওয়ার ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র আরো বেশি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানীর স্বীকৃতি দেওয়ার পরই এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছিল বিভিন্ন দেশ। যুক্তরাষ্ট্রের এই ঘোষণা ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংকটকে আরো ঘনীভূত করবে বলেই আশঙ্কা করেছিলেন বিশ্লেষকেরা।
ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংকট প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের নীতির বিপরীতে গিয়ে গত ৬ ডিসেম্বর জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানীর স্বীকৃতি দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইসরায়েলের মার্কিন দূতাবাস তেল আবিব থেকে সরিয়ে জেরুজালেমে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতির কথাও জানান তিনি। এই নিয়ে বিশ্বজুড়ে তুমুল নিন্দা ও প্রতিবাদ জারি রয়েছে। ফিলিস্তিন ও আরব দেশগুলোসহ মার্কিন অনেক মিত্র দেশও ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।