যুক্তরাষ্ট্রে তহবিল কর্তনের প্রভাব নিয়ে সতর্ক করলেন ব্রিটিশ মন্ত্রী
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জাতিসংঘের তহবিলে অর্থ বরাদ্দ কমানোর ঘোষণায় সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের মন্ত্রীপরিষদের সদস্য আলিস্টাইর বার্ট। তহবিল কমানো হলে বিশ্বের গরীব দেশ ও নারী শরণার্থীদের স্বাস্থ্য ও ত্রাণ কর্মসূচিতে প্রভাব পড়বে বলে জানান তিনি। মার্কিন সংবাদমাধ্যম হাফিংটন পোস্টের বরাত দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডলিইস্ট মনিটর এ খবর জানিয়েছে।
বুধবার যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন ও মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক মন্ত্রী আলিস্টাইর বার্টের একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়। এতে তিনি বলেন, নগদ অর্থের ঘাটতি জাতিসংঘ কর্মসূচিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে।
আগামী অর্থ বছরে জাতিসংঘের তহবিলে সাড়ে আটাশ কোটি ডলার বরাদ্দ কমানোর ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। রবিবার জাতিসংঘের নিযুক্ত মার্কিন দূত নিকি হ্যালি এই ঘোষণা দেন। জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের স্বীকৃতি প্রত্যাখ্যান করে জাতিসংঘে প্রস্তাব পাস হওয়ার পরেই বরাদ্দ কমানোর ঘোষণা এলো।
জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানীর স্বীকৃতি ও সেখানে মার্কিন দূতাবাস স্থাপনের ঘোষণা দেন ট্রাম্প। এই সিদ্ধান্তে সারাবিশ্বে নিন্দার ঝড় ওঠে। এনিয়ে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ভোট হলে মার্কিন স্বীকৃতি প্রত্যাখ্যানের প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয় ১২৮টি দেশ। বিপরীতে ট্রাম্পের প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয় মাত্র ৯টি দেশ। ভোটদান থেকে বিরত ছিল ৩৫ দেশ।
বার্ট জানান তিনি জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের ‘আশঙ্কাপূর্ণ’সম্পর্ক নিয়ে উদ্বিগ্ন। তিনি বলেন, ‘এটা সত্য যে, তহবিলে যেকোনও ধরনের বরাদ্দ কমানো হলে বিশেষ করে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে তার ব্যাপক প্রভাব পড়বে। স্বাস্থ্য খাতে যুক্তরাষ্ট্রের বরাদ্দ কর্তনের বিষয়ে আমরা খুবই সচেতন আছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের উদ্বিগ্নতার বিষয় হলো, যুক্তরাষ্ট্র তহবিল বরাদ্দ কমালেও যাতে কোনও প্রতিকূল প্রভাব না পড়ে। বিশেষ করে নারীদের স্বাস্থ্য সহায়তার ব্যাপারে আমরা সংকল্পবদ্ধ। তবে আমরা আশা করব যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়ন করবে কারণ তার উপস্থিতি আমাদের সবার জন্যই গুরুত্বপূর্ণ।’
এর আগে এক বিবৃতিতে নিকি হ্যালি বলেন, জাতিসংঘের অদক্ষতা ও অতিরিক্ত ব্যয়ের কথা সবাই জানে। আমেরিকার জনগণের অর্থ কোনও জবাবদিহি ছাড়া ব্যয়ের সুবিধা আর আমরা রাখতে চাই না। এই ঐতিহাসিক বরাদ্দ ব্যয় কমানো জাতিসংঘকে আরও কার্যকর ও জবাবদিহিতার মধ্যে নিয়ে আসার জন্য অনেকগুলো পদক্ষেপের একটি। সঠিক পথে এটি বড় পদক্ষেপ। জাতিসংঘের মোট ব্যয়ের ২২ শতাংশ বা প্রায় ৩৩০ কোটি ডলার প্রদান করে যুক্তরাষ্ট্র।