সৌদি যুবরাজ সালমানের যুক্তরাজ্য সফর বাতিলের দাবি
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের (এমবিএস) যুক্তরাজ্য সফর বাতিল করার দাবি জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের অ্যাক্টিভিস্টরা। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে যুক্তরাজ্য সফর করতে পারেন সালমান। শুক্রবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।সৌদি যুবরাজের যুক্তরাজ্য সফরের বিরোধিতাকারী সংগঠনগুলোর মধ্যে রয়েছে, স্টপ দা ওয়ার কোয়ালিশন, দ্য ক্যাম্পেইন অ্যাগেইন্সট আর্মস ট্রেড ও আরব হিউম্যান রাইটস অর্গানাইজেশন। শুক্রবার এই সংগঠনগুলো একটি খোলা চিঠি প্রকাশ করেছে। এতে সৌদি যুবরাজের বিরুদ্ধে ইয়েমেনে যুদ্ধ ও মানবিক সংকটে মনোযোগ না দেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, মোহাম্মদ বিন সালমান সৌদি শাসনযন্ত্রের দ্বিতীয় শীর্ষ ব্যক্তি। যে দেশের বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ মানবাধিকারের রেকর্ড রয়েছে। নির্যাতন, বেপরোয়া আটক ও অন্যান্য নির্যাতনের ঘটনা ব্যাপক হারে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।সৌদি যুবরাজের যুক্তরাজ্য সফর বাতিলের পক্ষে প্রচারণা চালানো অ্যাক্টিভিস্ট স্টিফেন বেল জানান, এমবিএসের জন্য লালগালিচা বসানো যুক্তরাজ্যের উচিত নয়। ১১ মিলিয়ন ইয়েমেনি শিশু যুদ্ধ, কলেরা ও দুর্ভিক্ষের মধ্যে রয়েছে। আর তা সৃষ্টি হয়েছে সৌদি আরব কর্তৃক অবরোধ ও অবকাঠামোতে ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর কারণে। এসবগুলো কারণে যে ব্যক্তি এই যুদ্ধের প্রধান দায় বহন করেন তাকে এই দেশে আমন্ত্রণ জানানো যায় না।২০১৫ সালের মার্চে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন জোট ইয়েমেনে সামরিক অভিযান শুরু করার দেশটিতে বড় ধরনের মানবিক সংকট দেখা দেয়। জাতিসংঘ বড় আকারে দুর্ভিক্ষ ও রোগ ছড়িয়ে পড়ার বিষয়ে সতর্ক করেছে। আট মিলিয়নের বেশি মানুষের পর্যাপ্ত খাবার নেই এবং ১ মিলিয়নের বেশি মানুষ কলেরায় আক্রান্ত হয়েছেন।যুক্তরাজ্যের অস্ত্র কোম্পানি সৌদি আরবের সবচেয়ে বড় অস্ত্র সরবরাহকারী। ব্রিটিশ সরকার আগামী তিন বছরে সৌদি আরবের কাছে বিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের অস্ত্রবিক্রির অনুমোদন দিয়েছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের ইয়েমেন অভিযানে বেসামরিক নাগরিক হত্যার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে। তবে যুক্তরাজ্য সৌদি আরবের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়নি।