মহাত্মা গান্ধীকে হত্যা করেছিলেন গডসেই, নতুন করে তদন্তের প্রয়োজন নেই
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ভারতের জাতির জনক মহাত্মা গান্ধী হত্যাকাণ্ডে কোনো রহস্যজনক ব্যক্তি বা বিদেশি গুপ্তচর সংস্থা নয়, বরং নাথুরাম গডসে একাই জড়িত ছিলেন বলে দেশটির সুপ্রিম কোর্টে রিপোর্ট জমা দিয়েছেন প্রবীণ আইনজীবী অমরেন্দ্র শরণ।
সোমবার সুপ্রিম কোর্টে একথা জানিয়ে এ হত্যাকাণ্ডে গডসে ছাড়াও অন্য কারো জড়িত থাকার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন শরণ। এর আগে, মহাত্মা গান্ধীকে নাথুরাম গডসে খুন করেননি, ওই হত্যাকাণ্ডে কোনো বিদেশি গুপ্তচর সংস্থার হাত ছিল, এই দাবি করে সুপ্রিম কোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করেছিলেন ‘অভিনব ভারত’ নামে একটি সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা পঙ্কজ ফড়নীশ।
তার বক্তব্য ছিল, ওই হত্যাকাণ্ডের পর বিভিন্ন সংবাদপত্রেও বেরিয়েছিল, গান্ধীর শরীরে ৪টি বুলেটের ক্ষত পাওয়া গেছে। আর সেই চতুর্থ বুলেটটিই গান্ধীর শরীরে ঢুকে তার মৃত্যুর কারণ হয়েছিল। সেই বুলেটটি এসেছিল রহস্যময় কোনো ব্যক্তির বন্দুক থেকে, যিনি কোনো বিদেশি গুপ্তচর সংস্থার এজেন্ট হতে পারেন।
তবে গান্ধী হত্যা মামলার ৪ হাজার পাতার রেকর্ড ও ’৬৯ সালের জীবনলাল কাপুর তদন্ত কমিশনের রিপোর্ট ও অন্যান্য নথিপত্র খতিয়ে দেখে সোমবার তার মতামত শীর্ষ আদালতে জানান শরণ। শরণ আদালতে জানান, চতুর্থ বুলেটই গান্ধীর শরীরে ঢুকে তার মৃত্যু ঘটিয়েছিল এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। আর সেই বুলেট গডসে ছাড়া অন্য কারো বন্দুক থেকে ছোড়া হয়েছিল, মেলেনি এমন প্রমাণও। এনডিটিভি।