১০ রোহিঙ্গা হত্যায় মিয়ানমারের সেনাসহ ১৬ জন গ্রেফতার

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ধরে নিয়ে ১০ রোহিঙ্গাকে হত্যা করে গণকবর দেয়ার ঘটনায় মিয়ানমারের সাত সেনা সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে মিয়ানমার সরকার। রয়টার্সে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশের দুই দিনের মাথায় রবিবার মিয়ানমার সরকারের এক মুখপাত্রের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা আসল। যদিও এই প্রতিবেদনের সঙ্গে ব্যবস্থা গ্রহণের কোনো সম্পর্ক নেই বলে মিয়ানমার সরকারের ওই মুখপাত্র জানান।

গত শুক্রবার রয়টার্সে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রাখাইনের উত্তরাঞ্চলে একটি গ্রামে ১০ রোহিঙ্গাকে ধরে নিয়ে সেনা সদস্য ও গ্রামবাসীরা হত্যা করে গণকবর দেয়। এই ঘটনা অনুসন্ধান করতে গিয়ে রয়টার্সের দুই সাংবাদিক মিয়ানমার এর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হন। রাষ্ট্রীয় গোপনীয় তথ্য প্রকাশের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে বিচার চলাকালেই এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। সেই প্রতিবেদন প্রকাশের পর আজ রবিবার সরকারের একজন মুখপাত্র দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের ঘোষণা দিলেন।
জো হিতে নামের মিয়ানমার সরকারের এই মুখপাত্র বলেছেন, আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এই ঘটনায় সাতজন সেনা সদস্য, তিনজন পুলিশ সদস্য ও ছয়জন গ্রামবাসীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে এ ঘটনায় তদন্ত করা হচ্ছে। দেশটির সরকারের দাবি রয়টার্সের প্রতিবেদন প্রকাশের আগেই থেকেই এই তদন্ত প্রক্রিয়া চলছিল।

গত ১০ জানুয়ারি দেশটির সেনাবাহিনী জানায়, সেনাবাহিনীর উপর সন্ত্রাসী হামলাকারী ২০০ জন সন্ত্রাসীর মধ্যে ওই ১০ রোহিঙ্গাও ছিল। যদিও রয়টার্সের পক্ষ থেকে অনুসন্ধানে বৌদ্ধ ও মুসলিম গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে এই বক্তব্যের কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। এর মধ্যে কয়েকজনকে তরবারি নিয়ে হামলা করে বৌদ্ধ গ্রামবাসী। বাকিদের গুলি করে হত্যা করে সেনারা। এখন সেনাবাহিনী বলছে, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উল্লেখ্য, গত বছর আগস্টে মিয়ানমার নিরাপত্তা বাহিনীর চৌকিতে হামলার পর থেকে রোহিঙ্গা গ্রামবাসীদের উপর হামলা চালাতে থাকে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। এতে অন্তত সাত লাখ লোক শরণার্থী হিসেবে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এই ঘটনাকে জাতিগত নিধন ও গণহত্যা হিসেবে আখ্যা দিয়েছে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্র।

Leave a Reply

Developed by: TechLoge

x