বৃটেনে তরুণীদের ওপর যৌন হয়রানি অব্যাহত
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ বৃটেনজুড়ে বালিকা ও তরুণীদের ওপর যৌন হয়রানি অব্যাহত রয়েছে। দলবদ্ধ হয়ে একটি চক্র নারীদের ওপর এই নির্যাতন চালায়। তার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশী, পাকিস্তানি, ভারতীয়, ইরানি, ইরাকি, কুর্দি, তুর্কি, আলবেনিয়ান ও পূর্ব ইউরোপের কিছু যুবক। শুধু নিউক্যাসলে এমন ১৮ সদস্যের একটি গ্যাংয়ের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। তার মধ্যে রয়েছে নাশির উদ্দিন, তাহিরুল আলম, হাসান আলী, মোহাম্মদ আজরাম, মঞ্জুর চৌধুরী, সাইফুল ইসলাম, আবদুল হামিদ মিনোয়ি, জাহাঙ্গরি জামান, মোহিবুর রহমান, প্রভাত নেলি, নাদিম আসলাম, ইসা মাসুভি, হাবিবুর রহিম, বদরুল হোসেন, ক্যারোলান গ্যালোন, আবদুর সাবে, রেদওয়ান সিদ্দিকী ও ইয়াসার হোসেন। নতৃন এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, উত্তর-পূর্বাঞ্চলে এমন যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৭০০ বালিকা, তরুণি।
সাউথ ইয়র্কশায়ারের রাদারহ্যামে এ রকম এক হাজারের বেশি নির্যাতিতা সম্পর্কে তথ্য আছে। শুক্রবার এক রিপোর্টে এসব কথা বলা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, যৌন নির্যাতনকারী গ্রুপগুলোকে কর্তৃপক্ষ সবুজ সংকেত দিয়েছে। বিচার না করায় তারা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। নির্যাতনকারীকে নয়। অনেক ক্ষেত্রেই নির্যাতিতাকে আটকে রেখেছে পুলিশ। ব্যারিস্টার ডেভিড স্পাইসার নতুন পর্যালোচনা করে প্রণীত একটি রিপোর্টে এসব কথা বলেছেন। এতে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালে শুরু হয়েছিল অপারেশন স্যাংচুয়ারি। এ সময় নির্যাতনকারীর মুখোমুখি না হয়ে নির্যাতনকে প্রশ্রয় দেয়া হয়েছে। নিজের দেশে টিনেজ মেয়েদের যৌন নির্যাতন বা ধর্ষণ করলে শিরñেদ করা হয় অথবা তাকে পাথর মেরে মেরে ফেলা হয়। এমন এক ব্যক্তি বৃটেনে এসে সেই একই রকম যৌন নিপীড়ন চালিয়েছে। ওই ব্যক্তি একজন আশ্রয়প্রার্থী। যৌন নির্যাতন চালালেও তার কোনো অনুশোচনা নেই। তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও সে বৃটিশ মেয়েদের প্রতি সম্মান দেখায় নি। বৃটেনে আসার আগে ওই ব্যক্তি ১০ বছর ছিল তুরস্কে। তারপর ৫ বছর গ্রিসে। কিছু সময় ইতালি ও ফ্রান্সে থাকার পর সে বৃটেনে গিয়েছে। সেখান থেকে সে কানাডায় যাওয়ার আশা করে। সে মনে করেছে, বৃটেন হলো মুক্ত বা অবাধ যৌনতার দেশ। এখানে চাইলেই যেকেউ যৌন সম্পর্ক গড়তে পারে। মদ পান করতে পারে। তাই সে ১৫ বছর বয়সী একটি বালিকার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করে।