মালদ্বীপে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট গ্রহণ চলছে
আন্তর্জাতিক ডেস্ক,মালদ্বীপঃ নির্বাচনে অস্বচ্ছতা,প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লাহ ইয়ামিনের ক্ষমতা আঁকড়ে ধরার প্রচেষ্টা ও বিরোধীদের নিপীড়নের অভিযোগের মধ্য দিয়ে রোববার মালদ্বীপে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।
গত কয়েক বছরে ভারত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্রটি ভারত ও চীনের প্রভাব বিস্তারের মঞ্চে পরিণত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন মালদ্বীপের ওপর চীনের অব্যাহত প্রভাব বিস্তারে বরাবরই উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে। ২০১৩ সালে ইয়ামিন ক্ষমতায় আসার পর থেকে ক্ষমতা কুক্ষিগত শুরু করেন বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করে। ওই সময় থেকে তিনি বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের একে একে কারাগারে পাঠাতে শুরু করেন। দেশটির গণমাধ্যমের স্বাধীনতাও ইয়ামিন খর্ব করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন বিধিমালাও প্রণয়ন করা হয়েছে। নতুন বিধি অনুযায়ী, পর্যবেক্ষকদের আলাদা করে ভোটারদের ব্যালটপেপার দেখার সুযোগ থাকছে না। এর ফলে ভোটের বৈধতা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিতে পারে। এছাড়া বিদেশি সাংবাদিকদের ভোটের সংবাদ সংগ্রহের ব্যাপারেও কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।এদিকে শনিবার ভোটের মাত্র একদিন আগে রাজধানী মালেতে প্রধান বিরোধী দলের কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী।
বিরোধী দলের এক আইনপ্রণেতা হিসান হুসেনইন বলেছেন, ‘ঘুষ ও ভোটে প্রভাব বিস্তারের’ অভিযোগ তুলে এ অভিযান চালানো হয়েছে।তিনি আল-জাজিরা অনলাইনকে শনিবার বলেছেন, ‘ভোট বাতিলের এটি আপ্রাণ চেষ্টা’ শ্রীলংকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের উপ-মিশন প্রধান রবার্ট হিল্টন টুইটারে ইয়ামিন সরকারের এই পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়ে বলেছেন,‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের যে প্রতিশ্রুতি সরকার দিয়েছে এর মাধ্যমে সেই প্রতিশ্রুতিকে প্রশ্নের মুখে ফেলবে।’ মালদ্বীপে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতও একইভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।অপরদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন জানিয়েছে, নির্বাচন পর্যবেক্ষণের মৌলিক বিষয়গুলো পূরণ না করায় তারা মালদ্বীপে কোনো পর্যবেক্ষক পাঠাচ্ছে না।