ইরানের ওপর কঠিনতম নিষেধাজ্ঞার খড়্গ যুক্তরাষ্ট্রের
আন্তর্জাতিক ডেস্ক,যুক্তরাষ্ট্রঃ ইরানের বিরুদ্ধে এ যাবতকালের সবচেয়ে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।দেশটিতে মার্কিনবেরোধী বিক্ষোভের মধ্যে এ ঘোষণা দিল ট্রাম্প প্রশাসন।নিষেধাজ্ঞায় ছয় জাতির পারমাণবিক চুক্তির আওতায় ২০১৫ সালে ইরানের বিরুদ্ধে যেসব মার্কিন নিষেধাজ্ঞা বাতিল করা হয়েছিল,সেসব পুনর্বহাল করেছে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন।পাশাপাশি নতুন আরো কয়েকটি সংযুক্ত করা হয়েছে।বিবিসি জানিয়েছে,সোমবার হতে কার্যকর হতে যাওয়া এসব নিষেধাজ্ঞা যে কোনো সময়ের চেয়ে ‘সবচেয়ে কঠোর’ হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ইরান ও দেশটির বাণিজ্য ব্যবস্থাকে এ অবরোধে মূল লক্ষ্যে পরিণত করা হয়েছে।ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি এ নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে তেল বিক্রির ঘোষণা দিয়েছেন।এর আগে ছয় জাতি ও ইরানের মধ্যে স্বাক্ষরিত পারমাণবিক চুক্তির আওতায় এসব নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।গত মে মাসে ছয় জাতির পারমাণবিক চুক্তিকে ‘ত্রুটিপূর্ণ’ আখ্যা দিয়ে তা থেকে একতরফাভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।এখন পুনরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপের ফলে ইরানের তেল রপ্তানি,শিপিং ও ব্যাংক ব্যবস্থাসহ অর্থনীতির সব প্রধান খাত ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।রোববার যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনের এক প্রচার সমাবেশের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন,তার প্রশাসনের নেওয়া কৌশলের কারণে ইরান ইতোমধ্যেই চাপে পড়ে গেছে।তিনি বলেন,ইরানের বিরুদ্ধে আরোপিত এসব নিষেধাজ্ঞা বেশ শক্তিশালী।ইরানের কী হয় তা আমরা দেখতে পাব,তবে তারা খুব ভাল কিছু করছে না এটি আমি বলতে পারি।
ইরানের পরমাণু কর্মসূচির টেনে ধরার জন্য ২০১৫ সালে করা এক চুক্তি থেকে গত মে মাসে সরে আসে যুক্তরাষ্ট্র।এরপর দেশটির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞাগুলো পুনর্বহাল করছে ট্রাম্প প্রশাসন।ওয়াশিংটনের ভাষ্য- তারা তেহরানের ‘ক্ষতিকর’ তৎপরতাগুলো বন্ধ করতে চায়।এসবের মধ্যে সাইবার হামলা,ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা এবং মধ্যপ্রাচ্যে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ও মিলিশিয়াদের সমর্থন দেওয়ার মতো বিষয় রয়েছে।সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার ইঙ্গিত দেয়ার পর থেকেই দেশটিতে মার্কিনবিরোধী ব্যাপক বিক্ষোভ চলছে।রোববার হাজার হাজার ইরানি বিভিন্ন শহরে মার্কিনবিরোধী সমাবেশ করেছে।এসব সমাবেশে তারা ‘আমেরিকা নিপাত যাক’ বলে শ্লোগান দিয়েছে।তারা যুক্তরাষ্ট্রের পতাকায় আগুন ও অনেকে ডলারে আগুন ধরিয়ে প্রতিবাদ জানান। এ সময় তারা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধেও নানা স্লোগান দেন।এদিকে ইরানের সামরিক বাহিনী দেশটির প্রতিরক্ষা সক্ষমতা তুলে ধরতে সোমবার ও মঙ্গলবার বিমান মহড়ার ঘোষণা দিয়েছে।