বাংলাদেশকে দেওয়ার আর কিছুই ছিল না হাথুরুসিংহের : বিসিবি সভাপতি
স্পোর্টস ডেস্কঃ পদত্যাগের পর অবশেষে বিসিবির মুখোমুখি হলেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। আজ সন্ধ্যায় হোটেল র্যাডিসনে বিসিবির শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে বসেছেন বাংলাদেশ দলের বিদায়ী কোচ। সেখানে তিনি ব্যাখ্যা দিয়েছেন কেন পদত্যাগ করেছেন, কেন ছিঁড়ে গেছে বাংলাদেশের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের সুতোটা, কেন হঠাৎ আলাদা হয়ে গেছে দুটি পথ।
হাথুরুর সঙ্গে কথা বলার পরদিন দ্বিতীয়বারের মতো সংবাদমাধ্যমের সামনে এলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান। কোচের সঙ্গে পদত্যাগবিষয়ক যে কথাবার্তা হয়েছে, সেটি নিয়ে বিসিবি সভাপতি যা বললেন, তাতে পরিষ্কার হাথুরুর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল খেলোয়াড়দের, ‘দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের প্রথম থেকেই তার একটা অসন্তুষ্টি ছিল। খেলোয়াড়দের মানসিকতা নিয়েও তার আপত্তি ছিল। এই যে সাকিব (আল হাসান) টেস্ট খেলল না, এটাও সে মেনে নিতে পারেনি। সে একটু অন্য ধরনের, সবাই তো এক মানসিকতার নয়। তার কথা হচ্ছে, কেন ও (সাকিব) খেলবে না? এ রকম গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়, গুরুত্বপূর্ণ সময়ে কেন দেশের হয়ে খেলবে না? ওখানে (দক্ষিণ আফ্রিকায়) আরও কিছু ঘটনা ঘটেছে। তাতে তার মনে হয়েছে এই দলকে আর দেওয়ার কিছু নেই, চলে যাওয়াই ভালো। সে মনে করেছে এভাবে চললে বাংলাদেশকে সামনে এগিয়ে নেওয়া তার পক্ষে সম্ভব নয়।’
হাথুরু শুধু মৌখিকভাবেই পদত্যাগের ব্যাখ্যা দিয়েছেন। শিগগিরই দক্ষিণ আফ্রিকা সফর নিয়ে তাঁর রিপোর্টও জমা দেবেন। তাতে যে খেলোয়াড়দের নিয়ে ভালো কিছু থাকবে না, নাজমুলের কথায় সেটিই বোঝা গেল। নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে হাথুরু বিসিবিকে যে পরামর্শ দিয়েছেন, সেটি কোনো খেলোয়াড়ের ভালো লাগার কথাও নয়। শ্রীলঙ্কান কোচের সঙ্গে কথা বলার পর নাজমুলের উপলব্ধি, ‘যতই ভালো খেলোয়াড় হোক, তাদের একটা জিনিস বুঝতে হবে, তার চেয়ে দেশ অনেক বড়। একজনের সঙ্গে আরেকজনের ব্যক্তিগত সমস্যা থাকতেই পারে। কিন্তু তাতে দেশের ক্ষতি করা যাবে না। এই জিনিসটা প্রতিটি খেলোয়াড়ের ভেতর যদি আমরা পৌঁছে দিতে পারি বা বোঝাতে পারি, তবে দল অনেক দূর এগিয়ে যাবে।’
তার মানে নিজেদের স্বার্থে দলের ক্ষতি করেছেন খেলোয়াড়েরা? প্রশ্নই উঠে গেল খেলোয়াড়দের আত্মনিবেদন নিয়ে!