মন্ত্রিসভায় অনুমোদন লাইসেন্স ছাড়া মানসিক হাসপাতাল চালালে জেল
নিউজ ডেস্কঃ মানসিক অসুস্থতায় আক্রান্ত ব্যক্তির স্বাস্থ্য, সম্পত্তি, মর্যাদা, শিক্ষা ও অন্যান্য অধিকার নিশ্চিত মানসিক স্বাস্থ্য আইন-২০১৭ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। সকাল দশটায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ বৈঠক শুরু হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ফিরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, মানসিক স্বাস্থ্য আইনের লঙ্ঘন হলে র্স্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। নীতিগত অনুমোদিত আইনে ২৮টি ধারা রয়েছে। নতুন মানসিক স্বাস্থ্য আইনের ৪ ধারায় সরকারের অধীনস্থ দপ্তরের একজন পরিচালক পদমর্যাদার কর্মকর্তা বা চিকিৎসকের নেতৃত্বে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক কার্যক্রম পরিচালনা, সম্প্রসারণ, উন্নয়ন, নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
একই আইনের ৫ ধারায় জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে মানসিক স্বাস্থ্য রিভিউ ও মনিটরিং কমিটি গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। মানসিকভাবে অসুস্থ ব্যক্তির দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসার বিষয়ে কোনো অভিভাবক বা আত্মীয় সংক্ষুব্ধ হলে প্রতিকারের জন্য এই কমিটির কাছে আবেদন করতে পারবে। নীতিগত অনুমোদিত আইনের ৮ ও ৯ ধারায় বেসরকারি পর্যায়ে মানসিক স্বাস্থ্য চিকিৎসা বিষয়ক প্রতিষ্ঠান স্থাপন, পরিচালনা ও মানসম্মত সেবা দেয়ার বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে। আইনের খসড়ার ১৭ ও ১৮ ধারায় কোনো ব্যক্তি মানসিক অসুস্থতায় আক্রান্ত হলে তার সম্পত্তি কিভাবে রক্ষণাবেক্ষণ হবে ওই সম্পর্কে বলা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, মানসিক অসুস্থতায় আক্রান্ত ব্যক্তি তার সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণে অক্ষম হলে আদালত একজন উপযুক্ত ব্যক্তিকে অনূর্ধ্ব তিন বছর মেয়াদে ব্যবস্থাপক নিয়োগ করতে পারবে। ব্যবস্থাপক দায়িত্ব নেয়ার ছয় মাসের মধ্যে মানসিক অসুস্থতায় আক্রান্ত ব্যক্তির স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির হিসাব ও তালিকা আদালতে পেশ করবে। আদালত নিযুক্ত ব্যবস্থাপক মানসিক অসুস্থতায় আক্রান্ত ব্যক্তির পক্ষে তার সম্পত্তি গ্রহণ, ব্যবস্থাপনা, নিয়ন্ত্রণ, ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা, অংশীদারী কারবার অবসান এবং এ সংক্রান্ত আইনগত ব্যবস্থা নেবে। ব্যবস্থাপক আদালতের অনুমতি ছাড়া মানসিক অসুস্থতায় আক্রান্ত ব্যক্তির কোনো স্থাবর সম্পত্তি বন্ধক, হস্তান্তর, বিক্রয়, ভাড়া, উপহার, বিনিময় করতে বা পাঁচ বছরের ঊর্ধ্বে ওই সম্পত্তি লিজ দিতে পারবে না। মানসিকভাবে অসুস্থ ব্যক্তির নাগরিক অধিকার সংক্রান্ত বিষয়টি খসড়া আইনের ৬ ধারায় এবং চিকিৎসার অধিকার সংক্রান্ত বিষয়াদি ২০ ধারায় প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া খসড়া আইনের ২১ ও ২২ ধারায় অভিভাবকহীন বা আত্মীয় পরিচয়হীন মানসিকভাবে অসুস্থ ব্যক্তির চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের বিষয়ে সুপারিশ করা হয়েছে। একই আইনের ২৩ ধারায় মানসিকভাবে অসুস্থ ব্যক্তির বিচার পাওয়া দ্রুত নিশ্চিত করার জন্য প্রতি জেলায় জেলা জজের অধীনে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক আদালত প্রতিষ্ঠার সুপারিশ করা হয়েছে। এ প্রস্তাবে সায় দিয়েছে আইন ও বিচার বিভাগ।
বৈঠকে মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা ছাড়াও সংশ্লিষ্ট সচিবরা অংশ নেন। এছাড়াও বৈঠকে চেক প্রজাতন্ত্র ও কম্বোডিয়ার সঙ্গে করা দুটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকের অনুমোদনও দেয়া হয় এ বৈঠকে।
More News from বাংলাদেশ
-
খুলনায় মুক্তিযোদ্ধা শাহাদাৎ হত্যা, ৩ আসামী গ্রেফতার,আসামীদের সর্বোচ্ছ শাস্তির দাবিতে মানব বন্ধন
-
গোলাপগঞ্জে আব্দুল মতিন ও ছায়া খাতুন ট্রাস্টের পক্ষে পিপিই প্রদান (ভিডিও সহ)