কিশোরীদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর উচ্ছ্বাস ‘ভারতকে দুইবার হারানো সহজ ব্যাপার না’

নিউজ ডেস্কঃ ২০১৭সালের ডিসেম্বরে সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ মেয়েদের ফুটবলে শিরোপা জিতেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ।  সেখানে সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন ডিফেন্ডার আঁখি খাতুন।  এমন অর্জনের পর তাদের বৃহস্পতিবার বিকালে গণভবনে সংবর্ধনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  সরকার প্রধানের কাছ থেকে এমন স্বীকৃতি পাওয়ার পর তৃপ্তি ঝরেছে গোল্ডেন বুট জয়ী আঁখি খাতুনের কণ্ঠে।  অনুভূতিতে জানান, ‘আমরা খুশি, প্রধানমন্ত্রীও খুশি।এর আগেও প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে সংবর্ধিত হয়েছেন তিনি।  সেই কথা মনে করে এই তারকা আরও বললেন, ‘তার কাছ থেকে আগেও পুরস্কার নিয়েছি।  উনি আমাদের খেলা দেখেছেন।  আমি যখন তার কাছে যাই, তখন প্রধানমন্ত্রী আমাকে বলেছেন-তুমি তো অনেক লম্বা। এখন আমরা আরও ভালো খেলবো। প্রেরণা দেবে এই সংবর্ধনা।’

প্রথমবারের মতো এই ট্রফি জিতে পুরো দেশকে আনন্দে ভাসিয়েছেন আঁখি-শামসুন্নাহাররা। তাদের এই অর্জনের স্বীকৃতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।   সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মেয়েদের খেলার প্রশংসা করেছেন। তাদের হাতে এক লক্ষ টাকা করে চেকও তুলে দিয়েছেন।  এ নিয়ে বয়সভিত্তিক আসরে সাফল্যের জন্য মেয়েরা দু’বার প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ পেলেন। গত বছর এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ ফুটবলের বাছাই পর্বে সেরা হয়ে গণভবনে ডাক পেয়েছিলেন মেয়েরা। থাইল্যান্ডে চূড়ান্ত পর্বে যাওয়ার আগে সংবর্ধিত হয়েছিলেন।

এই নিয়ে দ্বিতীয়বার সংবর্ধনা পেয়ে কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন উচ্ছ্বসিত। সংবর্ধনা শেষে  জানান, ‘প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে থাইল্যান্ড যাওয়ার আগে একবার সংবধর্না পেয়েছিলাম। এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ ফুটবলের বাছাইপর্বে সেরা হয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়েছিলাম।  বলেছেন, তিনি খুশি । মেয়েরা ভালো ফুটবল খেলছে।’ প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ পেয়ে ভীষণ খুশি এই কোচ, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাদের খেলা দেখছেন।  তিনি ব্যস্ততার মাঝেও সময় খুঁজছিলেন, দেখা করবেন। আমরা খুশি তার সাক্ষাৎ পেয়ে। দেশের প্রধান যখন ডাকেন, তখন সবার জন্য সেটা খুশির খবর। খুশি না হয়ে তো পারা যায় না।তারপর এই কোচ আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মেয়েদের সঙ্গে কথা বলেছেন। হাত মিলিয়েছেন, ছবি তুলেছেন। এখানে বেশ কিছু নতুন খেলোয়াড় আছে। যারা এই প্রথমবার প্রধানমন্ত্রীর কাছে গেছেন। তাদের কাছে বিষয়টি নতুন।  ২৩ জন খেলোয়াড় সেখানে উপস্থিত ছিল। আমি মনে করি খেলোয়াড়রা দেশের জন্য এখন আরও ভালো খেলতে পারবে। অর্থ পুরস্কারের পাশাপাশি অন্য উপহারও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।অধিনায়ক মারিয়া মান্ডা বেশ খুশি সংবর্ধনা পেয়ে।  তার মতে,‘আমরা সবাই খুব খুশি। সবাইকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আমাদের বলেছেন, আমরা যেন দেশের জন্য আরও সুনাম বয়ে আনতে পারি সেভাবে খেলতে। আমরা তার কথায় অনুপ্রাণিত। আরও ভালো খেলার প্রেরণা পেয়েছি।২৩ জন খেলোয়াড়ের মধ্যে সাত জন আছেন নতুন।  এরা হলেন- সোহাগী,সাগরিকা, মুন্নি, লাবনী,রুমি রুনা ও পারভীন।

Leave a Reply

More News from বাংলাদেশ

More News

Developed by: TechLoge

x