টি-টোয়েন্টি সিরিজে খেলার সম্ভাবনা নেই সাকিবের
স্পোর্টস ডেস্কঃ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-২০ সিরিজে সাকিব আল হাসানকে রেখেই দল ঘোষণা করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ধারণা করা হচ্ছিল, টেস্ট সিরিজে না থাকলেও দুই ম্যাচের টি-২০তে দেখা যাবে নিয়মিত এই অধিনায়ককে। তবে আঙুলের চোটে টি-টোয়েন্টিতেও তার খেলা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। প্রধান নির্বাচক নান্নুর কথা অনুযায়ী, প্রথম ম্যাচ মিস করবেন সাকিব। তবে পরের ম্যাচে হয়তো তার সার্ভিস পাওয়া যেতে পারে।তবে বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশিস চৌধুরী জানান, গ্যারান্টি দিয়ে বলা যাবে না সাকিব কত দিনের মধ্যে ফিট হবে। তাই আমরা বলতে পারবো না সাকিব এই সিরিজে মাঠে ফিরতে পারবে না। আবার খেলতে পারবে এটাও বলতে পারবো না। গতকাল আমরা তার হাতের ব্যান্ডেজ খুলে দেখেছি এখনো কিছুটা ব্যাথা আছে।উল্লেখ্য, ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে ফিল্ডিং করার সময় আঙুলে চোট পেয়ে মাঠের বাইরে চলে যান সাকিব। পরে ওই ম্যাচে আর খেলা হয়নি তার। এরপর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজেও মাঠের বাইরে থাকেন সাকিব।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে আফিফসহ ৫ নতুন মুখ
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টুয়েন্টি সিরিজের জন্য দল ঘোষণা করা হয়েছে। দলে জায়গা পেয়েছেন অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফরমেন্স করা তরুণ আফিফ হোসেন। এছাড়া ডাক পেয়েছেন আবু হায়দার, আরিফুল হক, মেহেদি হাসান ও আবু জায়েদ চৌধুরি।অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের কয়েকটি ম্যাচেই জয়ের নায়ক ছিলেন অলরাউন্ডার আফিফ। ব্যাট হাতে ছয় ম্যাচে ৪৬ গড়ে ২৭১ রান করেছেন বাঁ-হাতি এই ব্যাটসম্যান। শুধু ব্যাট নয় বল হাতেও দুর্ধর্ষ তিনি।আফিফ ছাড়াও প্রথমবারের মতো দলে ডাক পেয়েছেন অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান, পেস বোলিং অলরাউন্ডার আরিফুল হক, পেসার আবু জায়েদ ও উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান জাকির হাসান।বিপিএলে ১৮টি উইকেট নিয়ে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির তালিকায় সাকিবের পরই ছিলেন আবু জায়েদ।এই তালিকায় তৃতীয় স্থানে ছিলেন আবু হায়দার। ১৪ উইকেট শিকার করেন তিনি। বাংলাদেশের হয়ে তিনি খেলেছেন পাঁচটি টি-টোয়েন্টি। এর মাঝে সবশেষটি ছিল ২০১৬ সালের মার্চে।আর তরুণ মেহেদি হাসান কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের হয়ে বিপিএলে দারুণ সময় কাটিয়েছেন।এরা সবাই বিপিএলে ভালো পারফরমেন্স করার পুরস্কার হিসেবে স্কোয়াডে জায়গা পেয়েছেন।এছাড়া চোট কাটিয়ে দলে ফিরেছেন তামিম ইকবাল ও মোস্তাফিজুর রহমান।দলে নতুন মুখ যুক্ত হওয়ায় বাদ পড়েছেন ইমরুল কায়েস, লিটন দাস, মুমিনুল হক, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাসির হোসেন, শফিউল ইসলাম ও তাসকিন আহমেদ।
বাংলাদেশ দল : সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সাব্বির রহমান, মোস্তাফিজুর রহমান, রুবেল হোসেন, মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, আবু হায়দার, আবু জায়েদ, আরিফুল হক, মেহেদি হাসান, জাকির হাসান ও আফিফ হোসেন।