জাহানারা ইমামের পাশে শায়িত ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী
নিউজ ডেস্কঃ মিরপুর বুদ্ধিজীবী করবস্থানে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের পাশে বৃহস্পতিবার বিকেল চারটার দিকে মুক্তিযোদ্ধা ও ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীকে দাফন করা করা হয়েছে।
এর আগে দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার নামাজে ইমামতি করেন ওই মসজিদের প্রধান ইমাম ড. এমদাদ উল্যাহ।নামাজে জানাজায় অন্যান্যের মধ্যে শরিক হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার।এর আগে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীর মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আনা হয়। বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত মরদেহ সেখানে রাখা হয়। জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এসময় ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীর কফিনে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তাঁর সাথে ডা. দীপু মনি ও সংসদ সদস্য পঙ্কজ দেবনাথও শ্রদ্ধা নিবেদনে অংশ নেন।শ্রদ্ধা নিবেদনের পর স্পিকার বলেন, ‘ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী বাংলাদেশের সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও সংগ্রামে প্রথম সারিতে ছিলেন। তিনি আমাদের অনুপ্রেরণা। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে এই বীর নারীর আত্মত্যাগ জাতি চিরদিন কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করবে।’
এছাড়া ঢাকা জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদের নেতৃত্বে এই মুক্তিযোদ্ধাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।গত ৬ মার্চ চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী। দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, ফুসফুস ও কিডনির সমস্যা এবং হৃদরোগসহ শারীরিক নানা জটিলতায় ভুগছিলেন ৭০ বছর বয়সী এই মুক্তিযোদ্ধা।মুক্তিযুদ্ধের সময়ে পাক হানাদার বাহিনীর হাতে নির্যাতনের শিকার হন ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী। সরকার ২০১৬ সালের ১১ আগস্ট তাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
More News from বাংলাদেশ
-
খুলনায় মুক্তিযোদ্ধা শাহাদাৎ হত্যা, ৩ আসামী গ্রেফতার,আসামীদের সর্বোচ্ছ শাস্তির দাবিতে মানব বন্ধন
-
গোলাপগঞ্জে আব্দুল মতিন ও ছায়া খাতুন ট্রাস্টের পক্ষে পিপিই প্রদান (ভিডিও সহ)