কোটা সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ অব্যাহত

নিউজ ডেস্ক,ঢাকাঃ সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশের করা মামলা প্রত্যাহার ও সরকারি চাকুরিতে বিদ্যমান কোটা প্রথার সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। রোববার সকাল ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের উদ্যোগে এ বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়৷ এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ ও আশপাশের এলাকা থেকে বিভিন্ন চাকুরি প্রত্যাশীরা অংশগ্রহণ করে।এ সময় বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণ করা সাজু বলেন, “কোটা সংস্কারের যে দাবি, এটা আমাদের কোনো অযৌক্তিক দাবি নয়। ইতিমধ্যে সুশীল সমাজ ও কোটা সংস্কারের পক্ষে কথা বলছেন। আমরা আশা করছি তরুণদের মনের ভাষা সরকার বুঝতে পারবে। অচিরেই এ কোটা ব্যবস্থার সংস্কার করবে তারা।অন্য বিক্ষোভকারী ইমন বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশ হামলা করে উল্টো আমাদের নামে মামলা দিয়েছে। আমরা সরকারকে বলবো এই মামলা দ্রুত প্রত্যাহার করতে।
এদিকে, মিছিলটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় গন্থাগারের সামনে থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এরপর শাহবাগ মোড়, ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি), নীলক্ষেত মোড় ঘুরে আবার রাজু ভাস্কর্যে এসে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সমাবেশে আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে নতুন কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়।এ সময় কর্মসূচীর ঘোষণা দিয়ে আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসান আল মামুন বলেন, আগামী ২৫ মার্চ পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান হবে শাহবাগ থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এবং ২৯ মার্চ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিকেল ৪টায় নাগরিক সমাবেশের আহ্বান করা হয়েছে।
এদিকে, গত ১৪ ফেব্রয়ারি থেকে পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন করে আসছে কোটা সংস্কার প্রত্যাশীরা। তাদের ৫ দফা দাবি হলো- কোটা সংস্কার করে ৫৬ থেকে ১০ শতাংশে কমিয়ে আনা, কোটা প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্যপদ গুলোতে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া, চাকুরিতে একাধিকবার কোটা সুবিধা ব্যবহার না করা , কোটার কোনো ধরনের বিশেষ নিয়োগ পরীক্ষা না নেওয়া, চাকুরি ক্ষেত্রে সবার জন্য অভিন্ন বয়সসীমা নির্ধারণ করা।এ লক্ষ্যে গত ১৪ মার্চ আন্দোলনকারীরা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি জমা দেয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে থেকে একটি বিশাল মিছিল নিয়ে হাইকোর্টের সামনে আসলে পুলিশ আন্দোলনকারীদের উপর টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করে। এ সময় ঘটনাস্থলে আন্দোলনকারীদের অন্তত ১৫ জন আহত হন। এছাড়া দুই পর্যায়ে ৫৩ জনকে আটক করে পুলিশ। পরে আটককৃতদের মুক্তির দাবিতে শাহবাগ থানার সামনে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থী। পরে পুলিশ আন্দোলনকারীদের ছেড়ে দেয়। কিন্তু এ ঘটনায় পুলিশি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগ এনে শাহবাগ থানা পুলিশ অজ্ঞাতনামা ৭০০-৮০০ আন্দোলনকারীর বিরুদ্ধে মামলা করে। তারই প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ পালন করে তারা।

Leave a Reply

More News from বাংলাদেশ

More News

Developed by: TechLoge

x