পাইলট আবিদ সুলতানের স্ত্রী ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে

নিউজ ডেস্ক,ঢাকাঃ নেপালের কাঠমান্ডুতে বিধ্বস্ত ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজটির প্রধান বৈমানিক আবিদ সুলতানের শোকার্ত স্ত্রী আফসানা খানম গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।তার পরিবারের ঘনিষ্ঠ একজন জানান, রোববার সকালে তাকে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটালে ভর্তি করা হয়।ওই হাসপাতালের ইনফরমেশন ডেস্কের কর্মকর্তা মো. শিহাব উদ্দিন বলেন, আফসানা খানমের ব্রেইন স্ট্রোক হয়েছে।হাসপাতালে ভর্তি করার পর একটি মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তে তার অপারেশন হয়েছে। এখন তিনি আইসিইউতে আছেন।”

হাসপাতালের যুগ্ম পরিচালক অধ্যাপক ড. বদরুল আলমের অধীনে আফসানা খানমের চিকিৎসা চলছে বলে জানান শিহাব।ইউএস বাংলার উড়োজাহাজটি গত ১২ মার্চ কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হলে ৪৯ জনের মৃত্যু হয়, যাদের মধ্যে আবিদসহ ২৬ জন বাংলাদেশি।দুর্ঘটনার পর ইউএস-বাংলা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, পাইলট আবিদ আহত অবস্থায় হাসপাতালে আছেন।কিন্তু পরদিন সকালে তারা কাঠমান্ডুর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবিদের মৃত্যুর খবর দেন।

আবিদের ঘনিষ্ঠ একজন বন্ধু বলেন, “দুর্ঘটনার খবর শুনে কোনোভাবেই বিশ্বাস করতে পারছিলেন না আফসানা খানম। অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলেন। পরে তিনি বেঁচে আছেন শুনে একটু স্বাভাবিক হন। কিন্তু পরদিন যখন জানতে পারলেন উনি মারা গেছেন, তারপর থেকে তিনি একেবারেই ভেঙে পড়েছিলেন।ঢাকার রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের ছাত্র আবিদ একসময় বাংলাদেশ এয়ারফোর্সের বৈমানিক ছিলেন।নেপালের বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত ড্যাশ ৮-কিউ ৪০০ এয়ারক্রাফটটি ক্যাপ্টেন আবিদই কানাডা থেকে বাংলাদেশে উড়িয়ে এনেছিলেন।পাঁচ হাজার ঘণ্টা ফ্লাইট চালানোর অভিজ্ঞতা থাকা আবিদের উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার পর প্রশ্ন ওঠে, টানা কাজের কারণে তিনি অবসাদগ্রস্ত ছিলেন কি না বা উড়োজাহাজে ত্রুটি ছিল কি না। ইউএস বাংলা কর্তৃপক্ষ দুটো বিষয়ই অস্বীকার করেছে।আবিদ সুলতানের ঘনিষ্ঠ এক সহকর্মীর বরাতে একটি পত্রিকার খবরে বলা হয়, দুর্ঘটনার আগের দিনই ইউএস-বাংলায় পদত্যাগপত্র দিয়েছিলেন এই বৈমানিক। তবে তা গৃহীত হয়নি।এ বিষয়টিও অস্বীকার করেন ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন। তার দাবি, আবিদের ইস্তফা দেওয়ার ওই খবর সঠিক নয়।নেপালে ওই দুর্ঘটনায় আবিদের ফার্স্ট অফিসার পৃথুলা রশিদ এবং কেবিন ক্রু খাজা হোসেন ও শারমিন আক্তার নাবিলাও মারা গেছেন।

Leave a Reply

More News from বাংলাদেশ

More News

Developed by: TechLoge

x