দ্বিতীয় দিনেই ফলো অনের শঙ্কায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ
স্পোর্টস ডেস্কঃ বেল উড়লো একের পর এক।ওয়েস্ট ইন্ডিজের হারানো পাঁচ ব্যাটসম্যানই যে আউট হয়েছেন বোল্ড হয়ে।সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসানের ঘূর্ণিতে দিশেহারা সফরকারীরা।দ্বিতীয় দিন শেষে ৭৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফলো অনের ঘোর শঙ্কায় ক্যারিবিয়ানরা।প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের করা ৫০৮ রানের বিপরীতে পিছিয়ে আছে তারা ৪৩৩ রানে।টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে তৃতীয়বারের মতো প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যান হয়েছেন বোল্ড।১২৮ বছর পর ক্রিকেট বিশ্ব আবারও এই দৃশ্য দেখেছে সাকিব-মিরাজের সৌজন্যে।ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট ও সুনিল অ্যামব্রিসের স্টাম্প ভেঙেছেন সাকিব।মিরাজ তো তাকেও ছাপিয়ে গেছেন;বোল্ড করেছেন তিন ব্যাটসম্যান- কিয়েরন পাওয়েল,রোস্টন চেস ও শাই হোপকে।
মিরপুর টেস্ট শুরুর আগে সাকিব সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন,স্পিনারদের প্রতিযোগিতা দেখতে চান তিনি।ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটিংয়ে নামার পর থেকে শুরু সাকিব-মিরাজের সেই প্রতিযোগিতা।একবার সাকিব উইকেট নেন তো,পরক্ষণেই নামের পাশে উইকেট যোগ করেন মিরাজ।তাদের এই উইকেট উৎসবে দিশেহারা ক্যারিবিয়ানদের ব্যাটিং লাইন।নতুন বলে শুরুতে আক্রমণে আসেন সাকিব।বোলিংয়ের প্রথম ওভারের তিনি তুলে নেন উইকেট।ইনিংসের ষষ্ঠ বলে ঘূর্ণি জাদুতে ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েটকে বোকা বানিয়ে বোল্ড করে ফেরান তিনি।চার ওভার পর সেই উৎসবে নাম লেখান মিরাজ।বোল্ড করে ফেরান তিনি ৪ রান করা আরেক ওপেনার কিয়েরন পাওয়েলকে।সাকিবই বা ‘চুপ’ থাকবেন কেন? সুনিল অ্যামব্রিসকে (৭) বোল্ড করে পেয়ে যান তার দ্বিতীয় উইকেট।
প্রতিযোগিতার এই পর্বে মিরাজের পালা।রোস্টন চেসের (০) স্টাম্প উড়িয়ে পেয়ে যান তার দ্বিতীয় উইকেট।এখানেই থামেননি ডানহাতি স্পিনার,উইকেট নেওয়ার প্রতিযোগিতায় তিনি টপকে যান সাকিবকে।শাই হোপকে (১০) বোল্ড করে তুলে নেন তৃতীয় উইকেট।তাতে ২৯ রানে সফরকারীরা হারায় ৫ উইকেট।বিপর্যস্ত ক্যারিবিয়ানরা দিনের বাকি সময়ে অবশ্য আর উইকেট হারায়নি। দুই ব্যাটসম্যান শিমরন হেটমায়ার (৩২*) ও শেন ডওরিচের (১৭*) প্রতিরোধে ওই ৫ উইকেট হারিয়েই দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে ৭৫ রানে।দ্বিতীয় দিনের শেষ বিকেলে বল হাতে দুর্দান্ত পারফর্ম করা মিরাজ ৩৬ রান খরচায় পেয়েছেন ৩ উইকেট।আর অধিনায়ক সাকিব ১৫ রানে পেয়েছেন ২ উইকেট।
প্রথম ইনিংসে ৫০৮ রানে অলআউট বাংলাদেশ
মাহমুদউল্লাহর সেঞ্চুরির সঙ্গে তিন হাফসেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে রানের পাহাড় গড়েছে বাংলাদেশ।মিরপুর টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অলআউট হওয়ার আগে স্বাগতিকরা স্কোরে জমা করেছে ৫০৮ রান।শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। টেস্ট ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি পূরণ করে এই ব্যাটসম্যান খেলেছেন ১৩৬ রানের ঝলমলে ইনিংস।টেস্টে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংসটি সাজিয়েছেন তিনি ১০ বাউন্ডারিতে।জোমেল ওয়ারিকানের বলে বোল্ড হওয়ার আগে তিনি ধৈর্যশীল ইনিংসে খেলেন ২৪২ বল।মাহমুদউল্লাহর সেঞ্চুরির সঙ্গে ব্যাট হাতে অবদান রেখেছেন সাকিব আল হাসান,সাদমান ইসলাম ও লিটন দাস।সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েও বাংলাদেশ অধিনায়ক আউট হয়ে যান ৮০ রানে।তার আউটের পর ব্যাট হাতে আলো ছড়িয়েছেন লিটন দাস।আট নম্বরে নেমে করেছেন ৫৪ রান।আর আগের দিন অভিষিক্ত সাদমান খেলেছিলেন ৭৬ রানের চমৎকার ইনিংস।বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের সামনে কঠিন পরীক্ষা দিতে হয়েছে ক্যারিবিয়ান বোলারদের।দুটি করে উইকেট পেয়েছেন ওয়ারিকান,রোস্টন চেস ও ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট।