এরপর দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ ঘোষণা করা হবেঃ প্রধানমন্ত্রী

ডেইলিইউকেবাংলা নিউজঃ জঙ্গি-সন্ত্রাস ও মাদকের পর এবার দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।সম্প্রতি রাজধানীর একটি মিলনায়তনে সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) আয়োজিত ‘লেটস টক উইথ শেখ হাসিনা’ অনুষ্ঠানে তরুণদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠানটি বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও ফেসবুক পেইজে একযোগে সম্প্রচার হয়।

অনুষ্ঠানে এক তরুণ প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চান— বাংলাদেশ কবে দুর্নীতি মুক্ত হবে?

জবাবে শেখ হাসিনা বলেন,এটা আমার লক্ষ্য আছে।আমি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছি।মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে।এরপর দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করা হবে।সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন বাড়ানো হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন,অসুস্থ প্রতিযোগিতা থেকে সরে আসতে পারলে দুর্নীতি বন্ধ করা সম্ভব।অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বর্তমান প্রজন্মের সঙ্গে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ে তোলার স্বপ্ন ও পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন।সেই সঙ্গে তাদের কাছ থেকেও শোনেন দেশ গঠনে তাদের পরিকল্পনা ও পরামর্শের কথা।ভবিষ্যতে কেমন বাংলাদেশ দেখতে চায় তরুণরা’ অথবা ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হলে কোন কোন সমস্যার সমাধান করবে তারা’— এমন অনেক বিষয়েও আলোচনা হয় এই ‘লেটস টকে’।সারাদেশ থেকে আসা ১৫০ জন অংশগ্রহণকারী তরুণের সঙ্গে দেশের বিভিন্ন নীতি-নির্ধারণী বিষয়ে আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী।

বিভিন্ন পেশাজীবী,চাকরিজীবী,উদ্যোক্তা,শিক্ষার্থী,ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং দেশ গঠনে উদ্যমী তরুণ প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন এই আয়োজনে।সেখানে প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী তরুণদের মুখোমুখি হয়ে তাদের প্রশ্নের জবাব দেন।তরুণদেরও বেশ কিছু প্রশ্ন করেন প্রধানমন্ত্রী।সেই সঙ্গে বর্তমান প্রজন্মকে অনুপ্রেরণা দিতে কৈশোর ও তারুণ্যের সময়ে ঘটে যাওয়া অজানা অনেক তথ্য তুলে ধরেন তিনি।এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত জীবন এবং নিজস্ব চিন্তা-ভাবনা নিয়েও তিনি তরুণদের সঙ্গে কথা বলেন।

একটি রাজনৈতিক পরিবারে বড় হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।তার কৈশোর এবং তারুণ্য কি অন্যদের চেয়ে আলাদা ছিল? দুরন্ত সময় পার করেছেন তিনি?এমন অনেক প্রশ্নেরই উত্তর ছিল ‘লেটস টক’ অনুষ্ঠানে।কৈশোর ও তারুণ্যে রাজনীতিতে যোগদান,স্কুলের ক্লাস ফাঁকি দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনে যাওয়া,মুক্তিযুদ্ধকালে অবরুদ্ধ জীবন,১৯৭৫ সালে দেশের বাইরে কঠিন পারিবারিক জীবনযাপন,১৯৮০ সালে লন্ডনে যাওয়া,রাজনীতিতে প্রত্যাবর্তনের অনুপ্রেরণা,দেশের মানুষের কাছে ফিরে আসা- এমন অনেক বিষয়ে নানা তথ্য তরুণদের জানান প্রধানমন্ত্রী।

তরুণরা যাতে দেশের নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করতে পারেন এবং নিজেদের ভাবনা ও সমস্যাগুলোর কথা নীতিনির্ধারকদের কাছে পৌঁছাতে পারেন সে জন্য সিআরআই নিয়মিত আয়োজন করে আসছে ‘লেটস টক’।প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে নিয়ে এর আগে বেশ কয়েকবার ‘লেটস টক’ আয়োজন করা হয়েছে।এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে অবস্থানকারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে আয়োজন করা হয় ‘লেটস টক উইথ শেখ হাসিনা’।

Leave a Reply

More News from বাংলাদেশ

More News

Developed by: TechLoge

x