ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহার জাতির সঙ্গে তামাশা: আ’ লীগ

ডেইলিইউকেবাংলা নিউজঃ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহারকে জাতির সঙ্গে তামাশা ও ভোটারদের বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা বলে আখ্যা দিয়েছে আওয়ামী লীগ।সোমবার সকালে ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের পক্ষ থেকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান এ কথা বলেন।জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহারের প্রতিক্রিয়া জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।আবদুর রহমান বলেন,মানুষের সঙ্গে তামাশা করার জন্যই জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এমন ইশতেহার দিয়েছে।তারা ইশতেহারে যেসব প্রতিশ্রুতি ও অঙ্গীকার ঘোষণা করেছে,তা কোনোভাবেই তাদের আচরণ ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যায় না।মানুষের কাছেও তা গ্রহণযোগ্য নয়।জনগণকে বিভ্রান্ত করতে তারা এমন ইশতেহার ঘোষণা করেছে।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহারে দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়ার প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করা হয়েছে।এর সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান বলেন,বিএনপি চেয়ারপারসন দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডিত,ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া মানিলন্ডারিং মামলায় দণ্ডিত,ক্ষমতায় থাকতে তারা হাওয়া ভবন করে দেশের সম্পদ লুটপাট করেছে।তাদের ইশতেহারে যদি বলা হয়-দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়ার কথা,তা হাস্যকর ছাড়া আর কি হতে পারে? বাংলাদেশের মানুষ কোনো অবস্থাতেই এসব বিশ্বাস করে না।মানুষকে বিভ্রান্ত করা এবং ভোটের রাজনীতিতে নিজেদের অবস্থান তৈরি করার অপকৌশল এই ইশতেহার’-যোগ করেন আবদুর রহমান।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহারে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের অঙ্গীকার করা হয়েছে।আওয়ামী লীগ এর সমালোচনায় বলেছে-ঐক্যফ্রন্টের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে যুদ্ধাপরাধীদের দল নির্বাচন করার সুযোগ পেয়েছে।এ ঐক্যফ্রন্ট যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চালু রাখবে-এটি কোনো দিনই দেশের মানুষ বিশ্বাস করবে না।যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে ঐক্যফ্রন্টের প্রতিশ্রুতিকে ভূতের মুখে রাম রাম বলে মন্তব্য করে আবদুর রহমান বলেন,যারা যুদ্ধাপরাধীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় মনোনয়ন দিয়ে ভোটে অংশ নেয়ার সুযোগ করে দিয়েছে,তাদের বিষয়ে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি অবশ্যই সতর্ক আছে।এটি তাদের ভূতের মুখে রাম নাম ছাড়া কিছুই নয়।সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যু্গ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক,সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন,আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম,বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর,কার্যনির্বাহী সদস্য গোলাম রাব্বানী চিনুসহ অনেকে।

Leave a Reply

More News from বাংলাদেশ

More News

Developed by: TechLoge

x