পরিচয় উল্লেখ না করেই রোহিঙ্গাদের কথা বললেন পোপ

আন্তর্জাতিকঃ  মিয়ানমারে দেয়া ভাষণে রোহিঙ্গা শব্দটি উচ্চারণ করা থেকে বিরত থেকেছেন ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের প্রধান পোপ ফ্রান্সিস। মঙ্গলবার দেয়া ভাষণে তিনি মিয়ানমারের প্রত্যেক জাতিগোষ্ঠীর জন্য সম্মান দাবি করেন।

মানবাধিকার সংস্থাগুলো রোহিঙ্গাদের সমর্থনে এই শব্দটি ব্যবহারের আহ্বান জানিয়ে ছিল। তবে মিয়ানমার ক্যাথলিক চার্চ পোপকে এই শব্দটি ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়েছে। ক্যাথলিকদের ধারণা পোপ এই শব্দ ব্যবহার করলে মিয়ানমারের ক্যাথলিকদের জন্য সমস্যা হতে পারে। মিয়ানমার সরকারের পক্ষ থেকেও একই রকম বার্তা ছিল

গত আগস্টে শুরু হওয়া নির্যাতনে ৬ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গা শব্দটি ব্যবহার করতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করে, রোহিঙ্গাদের বাঙালি বলে অভিহিত করে। তাদের দাবি রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের জনগোষ্ঠী নয়, তারা বাংলাদেশ থেকে আসা অভিবাসী।

রোহিঙ্গাদের কথা সরাসরি না বললেও ফ্রান্সিস বলেছেন, মিয়ানমারের ভবিষ্যতটা অবশ্যই শান্তির হতে হবে, এমন শান্তি যার ভিত্তি হবে সমাজের সবার অধিকার ও সম্মান, সব সম্প্রদায়ের পরিচয়ের প্রতি সম্মান, আইনের শাসনের প্রতি সম্মান, এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতি সম্মান যা সব ব্যক্তি ও গোষ্ঠীকে সবার ভালোর জন্য কাজ করার সুযোগ দেবে। তিনি যোগ করেন, মিয়ানমারের সবচেয়ে বড় সম্পদ হচ্ছে তার মানুষ যারা দীর্ঘদিন ধরে চলা গৃহযুদ্ধ ও প্রতিহিংসাপরায়ণতায় অনেক ভুগেছে যা সমাজে গভীর বিভেদ সৃষ্টি করেছে। ধর্ম বিভেদ ও অবিশ্বাসের উৎস নয় বরং একতা, ক্ষমা, সহিষ্ণুতার ভিত্তিতে জাতি গঠনের উপাদান।

ভাষণ দেয়ার আগে পোপ মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির সঙ্গে দেখা করেন। নিজের বক্তব্যেও সু চি রোহিঙ্গা মুসলিমদের কথা বলেননি। তবে তিনি স্বীকার করেছেন, মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশের পরিস্থিতি বিশ্বের নজর কেড়ে নিয়েছে। রাখাইনের মানুষের মধ্যে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ইস্যুর কারণে বিশ্বাস, সমঝোতা ও সমন্বয় নেই। বিবিসি।

Leave a Reply

More News from আন্তর্জাতিক

More News

Developed by: TechLoge

x