জেরুজালেমে দূতাবাস স্থাপনে ১০ দেশের সঙ্গে ইসরায়েলের আলোচনা
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ যুক্তরাষ্ট্র ও গুয়াতেমালার মতো করে অন্য দেশগুলোর দূতাবাসও তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা পেতে জোর তৎপরতা চালাচ্ছে ইসরায়েল। কমপক্ষে দশটি দেশের ইসরায়েলি দূতাবাস তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে সরিয়ে আনার জন্য আলোচনা চালাচ্ছে তারা। ইসরায়েলি উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী টজিপি হোটোভেলির সাক্ষাৎকারকে উদ্ধৃত করে টাইমস অব ইসরায়েল খবরটি জানিয়েছে।৬ ডিসেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের স্বীকৃতির সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। ইসরায়েলে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস তেল আবিব থেকে সরিয়ে জেরুজালেমে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি। ট্রাম্পের ওই ঘোষণার পর জেরুজালেম প্রশ্নে যেকোনও সিদ্ধান্ত কার্যকরের আইনি বৈধতা না দিতে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের জরুরি বৈঠকে বিপুল ভোটে একটি প্রস্তাব পাস হয়। ইসরায়েলসহ মাত্র ৯টি দেশ যুক্তরাষ্ট্রকে সমর্থন দেয়। সেই দেশগুলোর একটি (গুয়াতেমালা) সোমবার ইসরায়েলি দূতাবাস জেরুজালেমে সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।টাইমস অব ইসরায়েল বলছে, দূতাবাস সরিয়ে নিতে এখন আরও দশটি দেশের সঙ্গে ইসরায়েলের আলোচনা চলছে। ইসরায়েল রেডিওকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইসরায়েলি উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী টজিপি হোটোভেলি এই কথা জানিয়েছেন। তবে কোন কোন দেশের সঙ্গে ইসরায়েলের আলোচনা চলছে সেই সম্পর্কে বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন তিনি। অবশ্য, চ্যানেল টেন এর দাবি, দূতাবাস স্থানান্তরের পরবর্তী ঘোষণাটি আসতে যাচ্ছে হন্ডুরাসের কাছ থেকে।
গুয়াতেমালার মতো হন্ডুরাসও জেরুজালেম প্রশ্নে ট্রাম্পের সিদ্ধান্তকে সমর্থনকারী দেশগুলোর একটি। গত কয়েক বছর ধরে ইসরায়েল ও হন্ডুরাসের মধ্যে বেশ ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। ২০১৬ সালে এই দুটি দেশ একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে; চুক্তিতে বলা হয়, পরিকল্পিত অপরাধ ঠেকাতে ইসরায়েল নজিরবিহীন উপায়ে মধ্য আমেরিকান দেশটির সশস্ত্র বাহিনীগুলোকে সমৃদ্ধ করবে।হন্ডুরাসের প্রেসিডেন্ট জুয়ান অরল্যান্ডো ইসরায়েলের এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট কো অপারেশন (মাশাভ) এর একজন গ্রাজুয়েট। একসময় ইসরায়েলে থেকেছেন তিনি।হন্ডুরাস ছাড়া অন্য যে দেশগুলোর সঙ্গে ইসরায়েলি দূতাবাস জেরুজালেমে সরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে আলোচনা চলছে বলে শোনা যাচ্ছে, সেগুলো হল- দক্ষিণ আমেরিকার দেশ প্যারাগুয়ে এবং পশ্চিম আফ্রিকার দেশ টোগো।