ট্রাম্পের মন্তব্যের প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিকদের তলব করেছে আফ্রিকার ৫ দেশ
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ আফ্রিকার দেশগুলোকে নিয়ে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের জঘন্য মন্তব্যের প্রতিবাদে কমপক্ষে পাঁচটি আফ্রিকান দেশ সেখানে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিকদের তলব করেছে। এমন দেশ হলো দক্ষিণ আফ্রিকা, ঘানা, হাইতি, বোতসোয়ানা ও সেনেগাল। এ খবর দিয়েছে অনলাইন সিএনএন।
এতে বলা হয়, অভিবাসন ইস্যুতে গত সপ্তাহে এক আলোচনায় ডনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউজের ওভাল অফিসে আফ্রিকার দেশগুলোকে ‘শিটহোল কান্ট্রিজ’ বলে আখ্যায়িত করেন। এ নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশের পর তোলপাড় চলছে আফ্রিকান মুলুকে। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এমন মন্তব্য করেন নি বলে দাবি করেছেন।
কিন্তু তাতে থামছে না আফ্রিকা। এ সপ্তাহে আরো মার্কিন রাষ্ট্রদূত বা কূটনীতিককে তলব করতে পারে আরো দেশ। এ রিপোর্টের সত্যতা স্বীকার করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি স্টিভেন গোল্ডস্টেইন। তিনি সিএনএনকে বলেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ঘানায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিকদের সমন পাঠানো হয়েছে। একই কাজ করেছে হাইতি, বোতসোয়ানা ও সেনেগাল। ডনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার এমন বাজে শব্দ ব্যবহারের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন। বিশেষ করে হাইতি সম্পর্কে তিনি কোনো অবমাননাকর মন্তব্য করেন নি বলে দাবি করেন। সপ্তাহান্তে তিনি বলেন, তিনি কোনো বর্ণবাদী নন। ওদিকে সোমবার দক্ষিণ আফ্রিকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্সের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন সেদেশের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও সহযোগিতা বিষয়ক ডিপার্টমেন্টের সদস্যরা। এ সময় সুনির্দিষ্ট কতগুলো দেশের অভিবাসী সম্পর্কে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মন্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। যুক্তরাষ্ট্রে আফ্রিকার অবদানের কথা তুলে ধরেন প্রতিনিধিরা। ওদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন এ বিষয়ে কূটনীতিকদের প্রতি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তারা যেন প্রেসিডেন্টের বক্তব্য ব্যাখ্যা করতে বা তা সহজ করার চেষ্টা না করেন। বরং তাদেরকে পরামর্শ দেয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর বক্তব্য শুনতে। স্টিভেন গোল্ডস্টেইন বলেছেন, প্রেসিডেন্ট যেটা চান তার সেটা বলার অধিকার আছে। তাকে সম্মান দেখাতে হবে আমাদের। তবে কূটনীতিকদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, ওইসব দেশের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যুক্তরাষ্ট্র। এসব দেশের মানুষের বিষয়ে গভীরভাবে যত্মশীল যুক্তরাষ্ট্র।