বন্ধ হয়ে গেল যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কার্যক্রম
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ মার্কিন সিনেটে বিলটি পাস করানোর মতো পর্যাপ্ত সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই ক্ষমতাসীন রিপাবলিকান পার্টির। দলটির হাতে আছে ৫১টি আসন। ফলে বিলটি নিয়ে তাদের ডেমোক্র্যাটদের দ্বারস্থ হতে হয়। কিন্তু ডেমোক্র্যাট শিবিরে এ নিয়ে বিভক্তি রয়েছে।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, সিনেট অধিবেশনের কয়েক ঘণ্টা আগেও মনে হচ্ছিল সিনেটররা প্রস্তাবিত ওই বিলে একমত হতে পারবেন না। ফলে সরকারি কার্যক্রম স্থগিত হওয়ার বিষয়টি অনেকটা অবশ্যম্ভাবী ছিল। সর্বশেষ ২০১৩ সালে টানা ১৬ দিনের জন্য এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল।
এ ধরনের পরিস্থিতিতে জাতীয় উদ্যান, জাদুঘরসহ বিভিন্ন স্থাপনা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এমনকি পাসপোর্ট ও ভিসা প্রক্রিয়াও বন্ধ হয়ে যায়; যা পর্যটন খাতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
সরকারি কার্যক্রম স্থগিতের আগেই বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন আর্থিক রেটিংস এজেন্সি ‘স্যান্ডার্ট অ্যান্ড পুওর’ এর জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ বেথ আন বোভিনো। তিনি বলেন, এই ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রভাব ফেলবে। শাট ডাউনের প্রত্যক্ষ প্রভাবের মধ্যে রয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে প্রায় সাত লাখ সরকারি কর্মচারীর উৎপাদন অপ্রয়োজনীয়ভাবে নষ্ট হয়ে যাবে। এই শ্রমিকদের সাময়িক ছুটিতে পাঠানো হবে। অর্থাৎ সরকার কার্যক্রম শুরু না করা পর্যন্ত তাদের বিনা বেতনে ছুটিতে থাকতে হবে। তাদের বেতন দেওয়া হলেও সরকার উৎপাদন বঞ্চিত হবে। কেননা, কাজ ছাড়া বসে থাকা সময় কখনও ফিরে আসে না।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান সদস্যরা বারাক ওবামার স্বাস্থ্য নীতিতে অর্থায়নে রাজি না হওয়ায় ১৬ দিন শাট ডাউন ছিল। তার আগে ১৯৯৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ১৯৯৬ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ২৭ দিন শাট ডাউন চলেছিল। সেবার স্বাস্থ্য বীমা নিয়ে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে মতবিরোধের জেরে এমন ঘটনা ঘটেছিল।
সূত্র : বিবিসি, আল জাজিরা, সিএনএন।