‘শক্তিশালী তুরস্ক’ নির্মাণের ইশতেহার ঘোষণা এরদোগানের
আন্তর্জাতিক ডেস্ক,তুরস্কঃ তুরস্ককে দুনিয়ার শীর্ষস্থানীয় প্রতিরক্ষা সামগ্রী রফতানিকারক দেশে পরিণত করার অঙ্গীকার করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান।আসন্ন প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচন উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার আংকারায় ক্ষমতাসীন দল জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (একে) পার্টির নির্বাচনি ইশতিহারে তিনি এ প্রতিশ্রুতি দেন।আগামী ২৪ জানুয়ারি এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।নির্বাচনি ইশতিহারের শিরোনাম করা হয়েছে, ‘স্ট্রং পার্লামেন্ট,স্ট্রং গভর্নমেন্ট,স্ট্রং তুর্কি’।এতে টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন এবং বিশ্ব অর্থনীতিতে তুরস্কের অংশীদারিত্ব আরও বাড়ানোর অঙ্গীকার করেন এরদোয়ান।
তিনি বলেন, ‘তুরস্ক শুধুমাত্র প্রতিরক্ষা শিল্পে স্বয়ংসম্পূর্ণই হবে না, বরং একটি নেতৃস্থানীয় রফতানিকারক দেশে পরিণত হবে।২০২৩ সালের শেষ নাগাদ কর্মক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ ৪০ শতাংশে উন্নীত করারও অঙ্গীকার করেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট।এর আগে গত এপ্রিলে এক বছরেরও বেশি সময় আগে আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেন এরদোয়ান। ২০১৯ সালের নভেম্বরে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। বিরোধী দলীয় নেতা দেভলেট বাহসেলি’র সঙ্গে সাক্ষাতের পর আঙ্কারার প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেসে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন।এরদোয়ান বলেন, সিরিয়া ও ইরাক পরিস্থিতি যত দ্রুত সম্ভব অনিশ্চয়তা মোকাবিলায় তুরস্ককে বাধ্য করেছে। এসব কারণে দেভলেট বাহসেলি’র সঙ্গে আলোচনার পর আমরা ২০১৮ সালের ২৪ জুন নির্বাচন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
সর্বশেষ ২০১৫ সালের নির্বাচনে জয় পায় এরদোয়ানের দল ক্ষমতাসীন একে পার্টি। পরাজয়ের শঙ্কা নিয়েই শেষ পর্যন্ত ওই নির্বাচনের ফল ঘরে তোলে দলটি। কিন্তু একে পার্টিকে কেন আবারও আস্থায় নিয়ে ভোট দিলো মানুষ? এর কারণগুলো কী? নির্বাচন পরবর্তী সময়ে এমন প্রশ্নের উত্তরে একে পার্টির এমপি রাভজা কাভাকচি বলেছেন, তুরস্ক বদলে গেছে। বর্তমান প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান-এর সময়ে তুরস্ক এমনই পাল্টে গেছে যে, আমরা এখন এমন সব ইস্যু যেমন- মানুষের বাকস্বাধীনতা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ইত্যাদি নিয়ে কথা বলি। এমনটা আগে সম্ভব ছিল না।পশ্চিমা দুনিয়ার কাছে এরদোয়ান একজন কর্তৃত্ববাদী শাসক। সমালোচকরা বলছেন, এরদোয়ান আসলে অটোমান সাম্রাজ্য বা উসমানিয়া খিলাফতের পুনঃপ্রবর্তন চান। তার শাসনামলে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় তুরস্কের জাহাজভর্তি ত্রাণসামগ্রী পাঠানো, মিসরে সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মুসলিম ব্রাদারহুডের কাছ থেকে ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার কঠোর সমালোচনা, মার্কিন ব্লকের বাইরে রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ানো এবং সিরিয়ায় কুর্দি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান পরিচালনার মতো বিভিন্ন ঘটনা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নানা আলোচনা, সমীকরণের জন্ম দেয়।সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি।