বাংলাদেশ-মিয়ানমার সমঝোতার ভিত্তিতেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন: সু চি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক,মিয়ানমারঃ বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীতে ফিরিয়ে নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন মিয়ানমারের ডি-ফ্যাক্টো নেত্রী অং সান সু চি।তিনি বলেছেন,বাংলাদেশের সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমেই রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়া হবে।এমনকি রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক আইন বিশেষজ্ঞের পরামর্শও মেনে নেবে মিয়ানমার।মিয়ানমারের রাজধানী নাইপিদোতে জাপানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আশাহি শিমবুনকে গত ৭ জুন দেয়া এক সাক্ষাৎকারে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সু চি আরো বলেন,বাংলাদেশের সঙ্গে যে সমঝোতা হয়েছে, আমরা তার ভিত্তিতেই এগোচ্ছি।রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিশন গঠনের প্রসঙ্গে সু চি বলেন,আমরা মনে করি তদন্ত কমিশনটি আমাদের পরামর্শও দিতে পারবে,যা দীর্ঘ মেয়াদে রাখাইনে পরিস্থিতির উন্নয়নে সহায়ক হবে।
এসময় সু চি জানান, রাখাইনে বৌদ্ধ ও রোহিঙ্গাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে গড়ে উঠেছে অবিশ্বাস।তিনি বলেন,সেখানে রাতারাতি শান্তি অর্জন সম্ভব নয়।’ তবে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন পরবর্তী নিরাপত্তার প্রশ্নে সু চি বলেছেন,আমাদেরকে সব নাগরিকদেরই নিরাপত্তা দিতে হবে, বিশেষ করে স্পর্শকাতর স্থানগুলোতে।সেজন্য আমরা কমিউনিটি পুলিশিংয়ের ওপর জোর দিচ্ছি এবং নিরাপত্তা বাহিনীর যথাযথ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছি।মিয়ানমারে জাতিগত সংঘাত তীব্রতর হওয়া ও সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের সমালোচনা প্রসঙ্গে সু চি বলেন,একটা ঘটনাকে এক এক দিক থেকে দেখা যায়।তারা তাদের মতো করে ব্যাখ্যা করেছেন।আমাদের অনুধাবন তাদের চেয়ে ভিন্ন।তবে এর আগেও,রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সু চি।
গত বছরের আগস্টে রাখাইনে নিরাপত্তা বাহিনীর তল্লাশি চৌকিতে হামলার পর রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর অভিযানের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা। আন্তর্জাতিক চাপ জোরালো হওয়ার এক পর্যায়ে প্রত্যাবাসন চুক্তিতে বাধ্য হয় মিয়ানমার। তবে সেই চুক্তির পর বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ৮ হাজার রোহিঙ্গার নাম প্রস্তাব করা হলেও মাত্র ৬০০ জনকে ফেরত নিতে চেয়েছে মিয়ানমার। এমন অবস্থায় অতীতের ধারাবাহিকতায় আবারও প্রত্যাবাসন চুক্তি মেনে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন সু চি। আশাহি শিমবুন।