বিচারপতি পদে গর্ভপাতবিরোধীর নিয়োগে অসম্মতি খোদ রিপাবলিকান সিনেটরের
আন্তর্জাতিক ডেস্ক,যুক্তরাষ্ট্রঃ যুক্তরাষ্ট্র সংসদের একজন প্রভাবশালী সিনেটর জানিয়েছেন,ট্রাম্প মনোনয়ন দিলেও গর্ভপাতবিরোধী কোনও প্রার্থীকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারক পদে তিনি সমর্থন দেবেন না সিনেটর সুসান কলিন্স মনে করেন,নারীর গর্ভপাতের পক্ষে কার্যকর থাকা আইন বাতিল করে দিতে পারেন এমন কোনও বিচারপতিকে সুপ্রিম কোর্টে নিয়োগ দেওয়া উচিত নয়। বার্তাসংস্থা রয়টার্স লিখেছে, যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের মধ্যে অ্যান্থনি কেনেডি অবসরে যাচ্ছেন।তার স্থলাভিষিক্ত হবেন নতুন নিয়োগ পাওয়া বিচারপতি।নতুন বিচারপতির নিয়োগে সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠের সমর্থন লাগবে।সিনেটে রিপাবলিকানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও কলিন্সের মতো উদারপন্থী রিপাবলিকান সিনেটররা চূড়ান্ত ফল নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছেন।সিনেটর সুসান কলিন্স সিএনএনকে বলেছিলেন,আমি এমন কোনও প্রার্থীর নিয়োগে সমর্থন দেবো না যিনি রোয়ে বনাম ওয়েড মামলার রায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবেন।আর এবিসি টিভি চ্যানেলে কলিন্স বলেছেন, বিচারপতি পদে নিয়োগ দেওয়ার জন্য সম্ভাব্য প্রার্থীদের যে তালিকা করা হয়েছে তাতে এমন অনেকেই অন্তর্ভুক্ত যাদের নিয়োগে তিনি সমর্থন দেবেন না। বিচারপতি পদে নিয়োগ দেওয়ার জন্য প্রার্থী বাছাইয়ে তিনি ট্রাম্পকে আরও বেশি অনুসন্ধানের পরামর্শ দিয়েছেন।
রয়টার্স লিখেছে, নারীদের গর্ভপাতের অধিকারের পক্ষে ১৯৭৩ সালে দেওয়া যুগান্তকারী রায়টির বিপক্ষে বেশিরভাগ রিপাবলিকান সংসদ সদস্য। কলিন্স রিপাবলিকান হলেও ‘উদারপন্থী।’ এদিকে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, হোয়াইট হাউজের আইনজীবী ও রক্ষণশীল আইন বিশেষজ্ঞরা ২৫ জন প্রার্থীর যে তালিকা করেছেন সেখান থেকেই তিনি সুপ্রিম কোর্টের বিচারক বেছে নেবেন।
কোনও প্রার্থীকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিতে হলে সিনেটে তার মনোনয়নের পক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে হবে। রিপাবলিকানরা সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠ। কিন্তু সুসান কলিন্সের মতো উদারপন্থী রিপালিকানদের ভোট এত জরুরি হয়ে উঠেছে। খোদ রিপাবলিকানদের মধ্যেই অনেকে নারীর গর্ভপাতের অনুমোদন দেওয়া রায় বাতিল হয়ে যেতে পারে এমন আশঙ্কায় রক্ষণশীল বিচারপতি নিয়োগের পক্ষে ভোট দেবেন না সুসান কলিন্স একা নন।রিপাবলিকান সিনেটর লিসা মুরকোস্কিও কলিন্সের মতোই নারীদের গর্ভপাতের অধিকার রক্ষার সমর্থক।তবে উদারপন্থীরাই যে শুধু রক্ষণশীলতার বিরুদ্ধে দাঁড়াতে যাচ্ছেন এমন নয়। ডেমোক্র্যাটদের মধ্যেও এমন সিনেটর আছেন যারা ট্রাম্পের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করতে পারেন।জোয়ে মানচিন,জোয়ে ডোনেল্লি ও হেইডির মতো ডেমোক্র্যাট সিনেটরদের আসনে আগামী নভেম্বরে পুননির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, তাদের আসনগুলোর ভোটাররা ২০১৬ সালের নির্বাচনে ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছিলেন।