আনিসুল হকের মৃত্যু- ব্রেকিং নিউজ ও শাইখ সিরাজ স্যারের নির্দেশনা
রেজা আহমদ ফয়সল চৌধুরী || চলে গেলেন ঢাকা উত্তরের মেয়র আনিসুল হক। তিনি মরিয়া প্রমাণ করেছেন, লন্ডনের সাংবাদিকদের তিনি মরে গেছেন! আমি এর আগে সামান্য কিছু লিখেছিলাম আনিসুল হক সাহেবের ব্যাপারে। কারন তিনি লন্ডনে আসার পর তার অসুস্থতা নিয়ে একটি ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছিল। আমাকে ঢাকা থেকে অনেকেই বলেছিলেন আনিসুল হক সাহেবের ব্যাপারে একটি ভালো রিপোর্ট করার জন্য। কারন বাতাসে তখন অনেক কিছুই ভেসে বেড়াচ্ছিল। আনিস সাহেবের পরিবার ও কোনো কিছু পরিস্কার করছিলেন না সাংবাদিকদের কাছে। আমি ৩/৪ মাস আগে যখন ঢাকা গিয়েছিলাম তখন চ্যানেল আই এর সিনিয়র রিপোর্টার চক্কর মালিতা বলেছিলেন, ফয়সল ভাই একটি রিপোর্ট পাঠান ঢাকার মেয়রের ব্যাপারে। এর পরও তিনি কয়েকবার অনুরোধ করেছেন , কিন্তু আমার সে রিপোর্ট পাঠানো হয়নি। আনিস সাহেবের ব্যাপারে বাংলা স্টেটমেন্টে আমার লেখা প্রকাশিত হওয়ার পর আমার এক ডাক্তার বন্ধু আনিস সাহেবের অসুস্থতার কিছু চিত্র আমার কাছে তুলে ধরেছিলেন। আমি বুঝতে পেরেছিলাম আনিস সাহেবের কি হয়েছে। আমি অনেকটা নীরব হয়ে বসেছিলাম। লন্ডনের অনেক জুনিয়র সাংবাদিকরা জানতে চেয়েছিলেন কি হয়েছে আনিস সাহেবের? আমি নিরুত্তর ছিলাম। মনে মনে দোয়া করেছি তিনি যেন ভালো হয়ে যান। তবে এ রোগ যে ভালো হওয়ার নয় তা ডাক্তার ছাড়া আর কেউ বুঝার কথা নয়। আমি ভেবে পাইনা মানুষ কেন এত তাড়াতাড়ি মরে যায়। মানুষের আযু কেন এত কম? শুনেছি সত্য মিথ্যা জানিনা, কোনো কোনো পশু পাখি নাকি তিন শত বছর বাঁচে। আচ্চা একটা পশুর কি এতদিন বাঁচার দরকার আছে? হয়তো বা আছে, পশুরা তো পাপ করেনা, কারো কোনো ক্ষতি করেনা। বেঈমানি ধান্ধাবাজি কিছুই করেনা। অন্যের সম্পদ জোর পূর্বক খেয়ে ফেলেনা। সৃষ্টিকর্তা ভালোই জানেন তিনি কেন এত বছর বাঁচিয়ে রাখেন একটি পশুকে।
সে যাক অবশষে হঠাৎ ৭/৮ দিন আগে লন্ডনে খবর বের হলো আনিস সাহেব আর নেই। চারিদিকে খবর । চ্যানেল আই ইউরোপের সিইও মিল্টন রহমান ফোন করে বললেন, আনিস সাহেব মারা গেছেন, স্ক্রল দিবেন কি-না? বললাম আপনারা কনফার্ম হন কনফার্ম হওয়ার পর স্ক্রল ছাড়েন। খবর নিয়ে জানা গেল তিনি মারা যাননি। লন্ডনের দু একজন সাংবাদিক অতি উৎসাহিত হয়েই ঢাকায় খবর পাঠালেন তিনি মারা গেছেন। এটি সম্ভবত ৩০ নভেম্বর তারিখের ঘটনা। চ্যানেল আই ঢাকা অফিসের মঈন সাহেব তখন লন্ডনে, ঢাকার উদ্দেশ্যে তিনি হিথ্রো যাচ্ছেন আমাকে ফোন করে বললেন, ফয়সল ভাই আনিস সাহেব কি মারা গেছেন, বলেছিলাম জানিনা। বললেন, একটু খবর নেন। আমি লন্ডস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনে ফোন করলাম তারা বললেন তারাও জানেনা। জানলে জানাবেন। এর পর শুনা গেল, না তিনি মারা যাননি। আমি মঈন ভাইকে বললাম এখনো তিনি জীবিত। তারপর খবর বেরোলো আনিস সাহেব আবারো লাইফ সাপোর্ট মেশিনে। আামি বুঝলাম আনিস সাহেব ক্লিনিক্যালী ডেড। গত বৃহস্পতিবার লন্ডনে সন্ধ্যার দিকে চুড়ান্ত খবর বেরুলো তিনি সত্যি সত্যি মারা গেছেন। আমি তখন পূর্ব লন্ডনের একটি মটর কোম্পানীতে আমার গাড়ীর এমওটি করাতে ব্যস্ত। হঠাৎ মোবাইল ফোন বেজে উঠে। ফোনের স্ক্রীনের দিকে থাকিয়ে দেখি ঢাকা থেকে শাইখ সিরাজ স্যারের ফোন, সিরাজ স্যারের ফোন ধরতে হয়। কারন সিরাজ স্যারকে চ্যানেল আই পরিবারের সবাই শ্রদ্ধা করে, ভালোবাসে। আমিও তার ব্যাতিক্রম নই। চ্যানেল আইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব ফরিদুর রেজা সাগর সাহেব আমাকে একবার বলেছিলেন সিরাজ স্যার লন্ডনে যাচ্ছেন তার যেন কোনো সমস্যা না হয়। সাগর ভাই ঢাকা চ্যানেল আই থেকে কেউ আসলে আমাকে সাধারনত ফোন করেননা। কিন্তু সিরাজ স্যার যখন ২০১০ অথবা ২০১১ এর দিকে লন্ডনে এসেছিলেন সাগর ভাই আমাকে ফোন করে বলেছিলেন তাকে লুকআপ্টার করার জন্য। সেই থেকে আমি সিরাজ ভাই লন্ডনে আসলে ভয়ে ভয়ে থাকি। সাগর ভাই লন্ডনে আসলে বলেন, আমি যদি তোমাকে ফোন করি তাহেল আসবে, নতুবা বদার করবানা। কিন্তু সিরাজ স্যার লন্ডনে আসলে সময়ের আগেই দাড়িয়ে থাকতে হবে। সেটি কোনো ভয়ের কারনে দাড়ানো নয়, অগাধ ভালোবাসার বন্ধন। সিরাজ ভাইর সাথে সম্পর্ক এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে যে কোনো কিছু বললে আর রাগ অভিমান করা যায়না। সিরাজ ভাই বললেন দুটি কারনে তোমাকে ফোন করা একটি হচ্ছে আনিস সাহেব মারা গেছেন তাড়াতাড়ি ফুটেজ পাঠাও। দ্বিতীয়টি পরে কথা বলবো। সিরাজ ভাইর ফোন পেয়ে আমি সাথে সাথে নিউজ রুমকে বলি। নিউজ রুম আমাকে কনফার্ম করে ইতিমধ্যে চ্যানেল আইর সহকারী সম্পাদক এমি হোসেন আনিস সাহেব যে হাসপাতালে মারা গেছেন, সে হাসপাতালে পৌঁছে গেছেন। আমি কথা বলি এমির সাথে। এমি বললেন বস ফুটেজ তেমন কিছুই নেই। আনিসুল হক সাহেবের ছেলে, তার বাবার মৃত্যুর সংবাদ কনফার্ম করেছেন। আমি বলি যা পেয়েছ সব ঢাকা পাঠাও। সিরাজ ভাইর নির্দেশ। এমি হোসেন তাই করলেন। আমি আমার গাড়ীর কাজ শেষ করে অফিসে আসি। অফিসে এসে শুনলাম শুক্রবার আনিস সাহেবের নামাজে জানাজা সেন্ট্রাাল লন্ডনের রিজেন্ট পার্ক মসজিদে বাদ জুম্মা অনুষ্টিত হবে। প্রবাসীদের ঢল নামলো তাকে এক নজর দেখার। আমি খবর নিলাম আমাকে এক জন বললেন যে লাশ দেখা যাবে না। আমি বুঝলাম। শুক্রবার জানাজার পর আনিস সাহেবের পরিবারের লোক ছাড়া কাউকে লাশ দেখতে দেয়া হয়নি। কেন হয়নি তা আমি বলতে পারবোনা।
সে যাক, আনিস সাহেব চলে গেছেন। কিন্তু তার মৃত্যুর খবরটি লন্ডনের বাংলা মিডিয়ার সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড় করে দিয়েছে। কারন কেউই তার চিকিৎসাকালীন সময়ে কিছুই বলতে পারেননি। পরিবার থেকে খুবই গোপন রাখা হয়েছিল সব কিছু। ঢাকার এক সাংবাদিক সব সময়ই তিনি তার ফেইস বুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তার মৃত্যুর আগাম খবরটিও নাকি তার কাছ থেকেই ঢাকায় প্রথম জানাজানি হয়েছে। পরবর্তীতে লন্ডনে তারই এক বন্ধুর সাথে তিনি ব্যাপারটি শেয়ার করেছিলেন সেই বন্ধু লন্ডনের এক জুনিয়র সাংবাদিকের সাথে শেয়ার করলে সেই সাংবাদিক ঢাকার একটি টিভি চ্যানেলের স্ক্রীনে ব্রেকিং নিউজ হিসেবে প্রচার করে দেন। ঢাকার সাংবাদিকতা আর লন্ডনের সাংবাদিকতা এক নয়। ঢাকায় কেউ মারা গেলে যেভাবে ল্যাবএইড অথবা স্কয়ার হাসপাতাল সহ অন্যান্য হাসপাতালে টিভি ক্যমেরা নিয়ে ভীড় করেন সেটি লন্ডনে সম্ভব নয়। কারন লন্ডনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যমরুন, ও সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী নিক লেইক একটি হাসপাতাল পরিদর্শনে গেলে হাসপাতাল কতৃপক্ষ তাদের দুজনকেই টাই খুলে আসার নির্দেশ দিয়েছিল। অনেকটা অপমান বোধ করেছিলেন তারা !!! তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যমরুন সরি বলে বেরিয়ে এসে টাই খুলে আবার ভিতরে ঢুকেছিলেন। ঢাকায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে কোনো হাসপাতাল কতৃপক্ষ এভাবে বের করে দেয়ার দুঃসাহস কি দেখাতে পারবে? সিরাজ স্যারকে আমি বলতে পারিনা স্যার আপনারা ঢাকায় সাংবাদিক হিসেবে যে সুযোগ সুবিধা ভোগ করেন লন্ডনে আমরা তা পারিনা। অবশ্য ঢাকায় মাঝে মধ্যে গনতন্ত্রের আঙ্গুল যে কেটে দেন সন্ত্রাসী রাজনীতিবিদরা তা ও তো কারো অজানা নয়। অনেক সাংবাদিককে জেলে যেতে হয়। ঢাকায় সাংবাদিকরা মটর সাইকেলের পিছনে অথবা গাড়ীর ভিতরে যেভাবে ষ্টীকার লাগান লন্ডনে সেটি হাস্যকর মনে হয়। দু একটি ঘটনার কথা বলে শেষ করতে চাই আজকের লেখা, ওয়ান ইলেভেনের সময় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী লন্ডনে আসবেন, লন্ডনের বাংলা মিডিয়ার সাংবাদিকরা হিথ্রোতে জড়ো হয়েছেন, বৃটিশ আর্মড পুলিশ আমাকে ডেকে নিয়ে বলেছে কোনো ক্যামেরা ম্যান যেন ক্যামেরা বের না করে, বাইরে গিয়ে ক্যামেরা বের করবা। আর্মড পুলিশ তার বডি ল্যংগুয়েজ দিয়ে আমাকে বুঝানোর চেষ্টা করেছে যদি ক্যামেরা বের করো তাহলে কিন্তু খবর আছে। আমি সব ক্যামেরা ম্যনদেরকে বললাম আপনারা কেউ ক্যামেরা বের করবেননা। সবাই বললো ঠিক আছে। যেই মুহুর্তে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী হিথ্রো বিমান বন্দরের বাইরে এসেছেন সেই মুহুর্তে সবাই ক্যামেরা বের করে ফেলে। যিনি ক্যামেরা প্রথম বের করেছিলেন তার তখন বৈধ কোনো কাগজ পত্র ছিলনা। আর্মড পুলিশ আমার দিকে হা করে থাকিয়ে জিজ্ঞাস করে, দে কান্ট আন্ডারষ্টেন্ড হোয়াট আই এম ট্রাইং টু সে? আমি মনে মনে বলি দুর বেটা ক্যামেরা তো একটা বের হয়নি, দেখ কতটা বের হয়েছে। আরেকটি ঘটনা, লন্ডনের পাশে ব্রাইটন। ডেভিড ক্যমরুন তখন প্রধানমন্ত্রী হবেন হচ্ছেন, সব ওপিনিয়ন বলছে তিনি প্রধানমন্ত্রী হওয়া সময়ের ব্যাপার। আমরা গেলাম ঐ মিটিংএ। বেশ কয়েকজন বাংলা মিডিয়ার সাংবাদিক ক্যামেরা ম্যান। পুলিশ আর পুলিশ। মিটিং শুরু হয়েছে। হঠাৎ দেখি মিটিং এর ভিতরে বাংলা মিডিয়ার দুএকজন সাংবাদিক নেই, একজনকে জিজ্ঞাস করলাম উনারা কোথায়? আমাকে বলা হলো পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে। বললাম কাগজপত্র ঠিক আছে? বললেন জানিনা। আমার মিটিংএ থাকা তখন কষ্টকর হয়ে উঠলো। আমি বের হয়ে যাই। বের হয়ে একজনকে জিজ্ঞাস করি পুলিশ রুম কোনদিকে? ভদ্রলোক দেখিয়ে দিলেন। আমি গেলাম গিয়ে দেখি দুজনকেই ইন্টারভিউ করছে পুলিশ, আমি শরীরের সমস্ত শক্তি দিয়ে জিজ্ঞাস করি হোয়াট দ্যা হেল ইউ আর ডুংয়িং হেয়ার, ইম্পরটেন্ট স্পিচ উয়িল বি ফিনিস শর্টলী, হো ইজ গয়িং টু রেকডেট? পুলিশ অফিসার চেয়ার থেকে উঠে আমাকে বলে কাম ডাউন স্যার, আমি বলি হ্যংগ অন এ সেকেন্ড অফিসার, আমি সাংবাদিক ক্যামেরা ম্যান দুজনকেই বললাম গো ম্যান এন্ড কাভার দ্যা নিউজ ফার্স্ট। তারা দুজনই উঠে চলে যায়, পুলিশ হা করে তাকায় আমার দিকে। আমি পুলিশকে বলি স্যার দিস ইজ মাই কার্ড ইফ ইউ নিড মি প্লিজ ডু নট হ্যসিটেট টু কন্টাক্ট মি। পুলিশ ঘটনায় হতভম্ব হয়ে বলে আই উয়িল স্যার। আমি চলে আসি, মিটিং শেষ, পুলিশের ডিউটিও শেষ। আমাকে অনেকটা অভিনয় করতে হয়েছে পুলিশের সাথে, কারন যাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ তাদের তো অন্তত আইডি দেখিয়ে আসতে হবে, কিন্তু আইডি তো তখনো ঝামেলা——–।
শেষ কথা হচ্ছে সিরাজ স্যার সহ ঢাকার সাংবাদিকদের কাছে আমাদের বিনীত অনুরোধ লন্ডনের বাংলা মিডিয়ায় আমরা যারা কাজ করি তাদেরকে ভুল বুঝবেননা। আমরা এখানে কঠিন এক বাস্তবতা এবং আইন কানুন মেনে কাজ করি। আপনারা যেভাবে কাজ করেন তাতে ভয়ে অনেকে অনেক কিছুই বলেনা। আপনাদের ক্ষমতা অনেক বেশী। আমরা যত্রতত্র ক্যামেরা নিয়ে যেখানে সেখানে ঢুকে যেতে পারিনা। আমাদের এপয়েন্টম্যন্ট করতে হয়। নতুবা ঢুকতে দিবেনা। বুঝেননা আমাদের প্রধানমন্ত্রী উপপ্রধানমন্ত্রী দুজনকেই বের করে দেয় হাসপাতাল থেকে, বের করে বলে টাই খুলে আসার জন্য। আনিসুল হক সাহেবের চিকিৎসাকালীন সময়ে লন্ডনে অনেক সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল আসল ঘটনা কি? আশা করি তার মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে সবাই বুঝতে পেরেছেন ঘটনাটা কি? আর লন্ডনের জুনিয়র সাংবাদিক যারা তাদের প্রতি আমার বিনীত অনুরোধ নিউজের সত্যতা যাচাই বাচাই করে নিউজ ছাড়বেন প্লিজ। কাউকে উপদেশ দেয়ার যোগ্যতা আমার নেই। তবে অনুরোধ করার দাবীটুকু আছে। সেই দাবী নিয়েই বলছি। ব্রেকিং নিউজ দিয়ে বড় সাংবাদিক হওয়া যায়না। আব্দুল গাফফার চৌধুরী বিখ্যাত হয়েছেন একুশের গান এবং সারা জীবন কলাম লিখে। একজন শাইখ সিরাজ শুধু টেলিভিশনে প্রোগ্রাম করে বিখ্যাত হননি। নতুন একটি কনসেপ্ট তিনি জাতীর কাছে তুলে ধরেছেন। আমি বাংলাদেশের কৃষকদের এবং কৃষি কাজের যখন কোনো ভবিষ্যত দেখতে পাইনি, আমি যখন দেখতাম বানের পানি কৃষকদের সব স্বপ্ন লন্ডভন্ড করে দিয়েছে, কৃষকরা যখন মাথায় হাত দিয়ে নদীর পাশে যে সব নদীতে অথৈ পানি কুল কিনারা নেই, যখন দু চোখ বেয়ে কৃষকরা পানি ঝরাতো আমি তখন শাইখ সিরাজ স্যারের কাজ দেখে ৫০ বছরের পরের বাংলাদেশকে চিন্তা করেছিলাম, আমি তখন কৃষকদের ইমিডিয়েট পূনঃবাসনের কথা চিন্তা করি শাইখ সিরাজ স্যারের কাজের মাধ্যমে।
লেখক : সভাপতি ইউকে বাংলা প্রেস ক্লাব,
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি বাংলা স্টেটমেন্ট ডট কম,
ব্যবস্থাপনা পরিচালক চ্যানেল আই ইউরোপ।
(মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন)