প্রসঙ্গ : খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক পেতে তীক্ত অভিজ্ঞতা-

।।আব্দুল আহাদ চৌধুরী।।

গেলো ৫ জুলাই কথা হচ্ছিলো ইংল্যান্ডের জনপ্রিয় অনলাইন টিভি প্রবাস বাংলা টিভি ক্রিকেট শোতে বাংলাদেশের দুই ক্রিকেট ব্যক্তিত্বদের সাথে।  তাদের সেই আড্ডাতে আসে ব্রাদার্সের প্লেয়ার পেমেন্ট প্রসঙ্গ তাতে জানা যায় শুধু এবার নয় প্রায় সময়ই খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিকের ব্যাপারে ব্রাদার্সের সাথে খেলোয়াড়দের রয়েছে তীক্ত অভিজ্ঞতা।

ইংল্যান্ডের মেইন স্ট্রিম ক্রিকেট আম্পায়ার আহাদ চৌধুরীর  উপস্থাপনায় নিয়মিত প্রচারিত ক্রিকেট শোতে এবারে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের ফাস্টক্লাস ক্রিকেটে সর্বোচ্চ  রানকারী ক্রিকেটার তুষার ইমরান ও ক্রিকেটার ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ কোয়াব এর জেনারেল সেক্রেটারী দেবব্রত পাল।

কোয়াবের প্রসঙ্গে দেবব্রত বলেন, ক্রিকেটারদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় এবং খেলোয়াড়দের মানবিক কার্যকলাপে জড়িত করার জন্য তারা কাজ করে যাচ্ছেন।  তারা কোয়াবের কার্যক্রম প্রসারের জন্য সারা দেশে জেলা ও বিভাগীয় শাখা করার জন্য কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।  তারা আশা করেন, আগামী এজিএম এর পূর্বে অন্তত ৫০টি শাখা কমিটি করতে।  গত বছর জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের আন্দোলন প্রসঙ্গে বলেন, তাদের যে দাবী ছিলো তা ছিল অত্যন্ত  ন্যায্য দাবী এবং কোয়াব এগুলো নিয়েই কাজ করছিলো তবে জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের সাথে তাদের একটু দূরত্ব থাকার কারণে হয়তোবা তারা সব কিছু জানতো না।  বর্তমানে জাতীয় দলের খেলোয়াড় সহ সবার সাথে কোয়াব সার্বোক্ষনিক যোগাযোগ রাখছে।

দেৱব্ৰত সম্প্রতি তার বাংলাদেশের ক্রিকেটের অতীত ও বর্তমান শীর্ষক গবেষণা পূর্বক এমফিল ডিগ্ৰী অর্জন করায় তাকে যারা বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করেছেন তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। সে সাথে  খুব শীগ্রই তার গবেষণাটি বই আকারে প্রকাশ করবেন বলে জানান।

বাংলদেশের ফাস্টক্লাস ক্রিকেটে সর্বোচচ রানকারী তুষার ইমরান জানান তার ইচ্ছে আছে আরো কিছু দিন ক্রিকেট খেলা এবং ইতোমধ্যে তিনি লেভেল ওয়ান কোচিং করে ফেলেছেন।  তার ইচ্ছে ভবিষ্যতে লেভেল টু করার পর সম্ভব হলে কোচিংয়ের সাথে জড়িত হওয়ার।  ঘরোয়া ক্রিকেটে বিভিন্ন ক্লাবের হয়ে তার খেলার সুযোগ হয়েছে, তবে তিনি সবচেয়ে সাচ্ছন্দ পেছেন  আবাহনীর হয়ে এবং তারই অধিনায়কত্বে আবাহনী দু’বার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরভ অর্জন করে। জাতীয় দলে কম খেলার জন্যে তিনি ইনজুরি ও তার ভাগ্যকে দায়ী করেন। জাতীয় দলে তার জায়গায় ডাক পান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তিনি বলেন, ২০১০ সালের পর থেকে আমাদের জাতীয় দল অনেক উচ্চতায় চলে গেছে এবং আশা করেন এরই ধারাবাহিকতায় আমাদের দল  আরো এগিয়ে যাবে।

উল্ল্যেখ্য, বাংলাদেশ ফাস্টক্লাস ক্রিকেটে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরি রেকর্ডটিও তুষারের, তাছাড়া একই সিজনে সর্বোচচ রান ও সেঞ্চুরির রেকর্ডটিরও অধিকারী তিনি।

ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবের প্রসঙ্গ আসার পর জানা যায় ক্লাবটি এ বছর শুধু জুনায়েদ সিদ্দিকীকে পারিশ্রমিক দিয়েছে এ ছাড়া কোনো খেলোয়াড় টাকা পাননি। উলেক্ষ গত বছরও ব্রাদার্স খেলোয়াড়দের পুরো টাকা পরিশোধ করে নাই। তবে গত বছর খেলোয়াড়দের ক্লাবের চুক্তির সাথে বিসিবি জড়িত থাকায় খেলোয়াড়দের টাকা বিসিবি পরিশোধ করে।  এবারের বিষয়ে তুষার ও দেবব্রত আশা করেন আগামি ঈদের আগে মানবিক বিষয় বিবেচনা করে  ক্লাব কর্মকর্তারা খেলোয়াড়দের টাকা পরিশোধের ব্যাবস্থা করবেন।

লেখক আব্দুল আহাদ চৌধুরী, যুক্তরাজ্য প্রবাসী ক্রীড়া সংগঠক ।লেখা পাঠকের মন্তব্য,লেখক পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Leave a Reply

Developed by: TechLoge

x