বদিকে রিমান্ডে নিলে বেরিয়ে আসবে একরাম হত্যার কাহিনী, ওবায়দুল কাদের স্যার কি বলেন? স্বাধীনতা তুমি রবি ঠাকুরের অজর কবিতার সর্বনাশী গান!!
রেজা আহমদ ফয়সল চৌধুরী।। আর কত লাশ আমরা দেখবো? ৫২ থেকে শুরু হয়ে ২০১৮, বাংলার ভাগ্যাকাশ থেকে কত উজ্জল নক্ষত্র ঝড়ে পড়লো, ঝরে পড়ছে, আরো পড়বে! এ সবের শেষ কোথায়? কেন এত লাশ? শামসুর রাহমান লিখেছিলেন “স্বাধীনতা তুমি রবি ঠাকুরের অজর কবিতার অবিনাশী গান” আজ তিনি বেচে থাকলে হয়তো লিখতেন স্বাধীনতা তুমি রবি ঠাকুরের অজর কবিতার সর্বনাশী গান।———-। স্বাধীনতা তৃমি এত রক্ত চোষা কেন? কি অপরাধ আমাদের? বৃটিশ এমপি প্রয়াত পিঠার শোর ৭১ এ বাংলাদেশের স্বাধীনতার সময় বলেছিলেন একটি দেশের স্বাধীনতার মুল্য যদি রক্ত হয়ে থাকে তাহলে বাঙালী জাতি সে রক্ত দিয়ে ফেলেছে। আর রক্ত চাইনা আমরা, কিন্তু বাংলাদেশ রক্তের হোলি খেলা থেকে বেরিয়ে আসতে পারছেনা। অনেকেই বলেন লিখুন, আমি বলি লিখে কি লাভ? আমার লেখা কেউ পড়ে? আমার লেখা কি মানুষের মনে দোলা দেয়? দোলা কি দেয় শাসক গোষ্টীর? দোলা কি দেয় বিরোধী দলের নেতৃবৃন্দের? মনে তো হয়না। কারনে আকারনে রক্ত ঝড়ে বাংলা নামক জনপদে। ৭১ এ ৩০ লক্ষ লোক রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করে দিয়ে গেল আমাদের, তারপরের ইতিহাস তো সবার চোখের সামনে। ৭২ এ জাসদ গঠন হলো, সেই থেকে লাশ হতে হচ্ছে অনেককেই। বাংলাদেশ যেন মৃত্যু উপত্যকার এক লাশের মিছিল দিয়ে পথ পাড়ি দিচ্ছে। এ লাশের মিছিলে কত লোকের সমাগম। জানা অজানা লাশ আর লাশ। রাজনৈতিক লাশ, সামাজিক লাশ, পরকীয়া প্রেমের লাশ, টেন্ডারবাজির লাশ, ছাত্র রাজনীতির লাশ, হল দখলকে কেন্দ্র করে লাশ, ফকিরাপুলে পানির ট্যাংকের লাশ, নির্বাচনের লাশ, ক্ষমতার পরিবর্তনের লাশ, হলে বোমা বানানোর লাশ, তনুর লাশ, রাজনের লাশ, অভিজিতের লাশ, পিলখানার সেনা কমকর্তাদের লাশ, পদ্মা নদীতে লঞ্চ ডুবার লাশ, সিলেট ঢাকা মহাসড়কে কোচ দুর্ঘটনার লাশ, রানা প্লাজার ভবন ধ্বংসের লাশ, নারায়নগঞ্জের ৭ খুনের লাশ, সিলেটে শিবীর কর্তৃক মনির তপন জুয়েলের লাশ, ক্ষমতার পালা বদলের জন্য পেট্রল বোমার জলন্ত লাশ,রাজনৈতিক নেতা মাহমুদুর রহমান মান্নার টেলিফোনের আন্দোলনের লাশ, শাকিলের লাশ, লন্ডনের ছানু মিয়ার লাশ, এমপির রিভলভারের গুলিবিদ্ধ সৌরভের লাশ হতে হতে বেচে যাওয়া, সাগর রুনির লাশ, কাল বৈশাখি ঝরের লাশ, বিদ্যুত স্পৃষ্ট হয়ে লাশ, ডাকাতি করতে গিয়ে জনতার হাতে গনধোলাইয়ের লাশ, কয়লা খনি রক্ষার লাশ, মাগুরা ছড়া গ্যাস ফিল্ডের লাশ, হায়রে লাশ, এত লাশ কি বাংলাদেশ এফোর্ট করতে পারে?????? সিরাজ সিকদারকে দিয়ে শুরু হয় লাশের রাজনীতি, হত্যার রাজনীতি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাহেবকে ও হত্যা করা হয়, জিয়াউর রহমান সাহেবকেও হত্যা করা হয়, হত্যা করা হয় জেলে জাতীয় চার নেতাকে, সবাইকে লাশ হতে হয়। এ ছাড়াও লাশের মিছিলে যোগ হতে হতে বেচে গিয়েছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, একুশে আগষ্টের গ্রেনেড হামলায় আইভি রহমানের লাশ।
প্রিয় পাঠক জিয়াউর রহমান সাহেবের শাসনামলে কত লোককে প্রাণ দিতে হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধা সেনা অফিসার থেকে শুরু করে কর্নেল তাহের খালেদ মোশারফ সহ অনেককেই ফাসির কাস্টে ঝুলানো হলো। ক্ষমতায় ঠিকে থাকতে হলে লাশ হতে হয় অনেককেই। এটি যে শুধু বাংলাদেশে ঘটে তা না, বৃটেনের মত দেশে টনি ব্লেয়ারের শাসনামলে ওপেন অব মাস্ট ডিস্ট্রাকশনের কারনে সাইন্টিষ্ট ডেভিড কেলীর লাশ তার বাড়ীর সামনে পাওয়া গিয়েছিল! বিবিসি নিউজ করলো, এক ঘন্টার মধ্যে দেখা গেল নিউজ নেই। ডেভিড কেলীর পরিবারও আর কথা বললো না। রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের কারনে ডেভিড কেলীর মৃত্যু রহস্য রহস্যই থেকে গেল। কেউ কথা বললে বিপদ হতে পারে। সেই ভয়েই কোনো কথা নেই।
আমাকেও একবার হুমকী দেয়া হয়েছিল বলা হলো “ইউ টক টু মাচ, বলেছিলাম স্যার ম্যাসেজ ক্লিয়ার, বলা হলো হোপ ইউ ব্যটার আন্ডস্টেন্ড” বলেছিলাম স্যার পানির মত পরিস্কার, আর বেশী কথা বলবনা, আমার অপরাধ কি ছিল জানিনা, তবে বাংলাদেশের ওয়ান ইলেভেনের সময় বৃটেনের পররাষ্টমন্ত্রী ঢাকা সফর শেষ করে লন্ডনে ফিরে এসে ফরেন এন্ড কমনওয়েলথ অফিসে বাংলা মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেছিলেন, আমি জিজ্ঞাস করেছিলাম “ মইন ইউ আহমদ যদি আগামীকাল ক্ষমতায় যান তাহলে বৃটিশ সরকার কি তাকে সহযোগিতা করবে? তৎকালীন বৃটিশ পররাষ্টমন্ত্রী ডেভিড মিলিব্যন্ড বলেছিলেন ভেরী হাইপথিটিক্যল কোশ্চেয়ন, আই এম নট গনা গিভ ইউ আনসার, প্রেস কনফারেন্স শেষ হওয়ার পর ডেভিড মিলিবান্ড যখন চলে গেলেন তখন তার প্রাইভেট সেক্রেটারী নাতাশা খান ভিতর থেকে এসে বলেছিলেন “ইফ জেনারেল মঈন ইউ আহমদ গো টু পাওয়ার টুমরো বৃটিশ গভরমেন্ট উয়িল সাপোর্ট হিম ফর শর্ট টার্ম “। নট লংটার্ম।
আমি তখন ঢাকা থেকে প্রকাশিত নাঈমুল ইসলাম খান সাহেবের পত্রিকা দৈনিক আমাদের সময়ের লন্ডন প্রতিনিধি, নিউজ করেছিলাম আমাদের সময়ে, পরবর্তীতে ঢাকা বৃটিশ হাইকমিশন নাঈম ভাইয়ের কাছে প্রতিবাদ পাঠিয়েছিল, এই ছিল একটি ঘটনা, তার পরের ঘটনা, ছিল বৃটিশ হোম সেক্রেটারীর এক প্রেস কনফারেন্সে তৎকালীন হোম সেক্রেটারী ছিলেন ডেভিড ব্লাংকেট, তিনি ছিলেন প্রতিবন্ধী চোখে দেখতেননা। আমি প্রশ্ন করতে গিয়ে কি যেন একটি আপত্তিকর কথা জিজ্ঞাস করেছিলাম, সর্বশেষ ছিল আরেক বৃটিশ হোম সেক্রেটারী তিনি এসেছিলেন পূর্ব লন্ডনের পপলারের টাসলার হলে, প্রপেসার মাইকেল কীথ তখন টাওয়ার হ্যমলেটস কাউন্সিলের লিডার, হোম সেক্রেটারী ছিলেন চার্লস ক্লাক, আমি গোয়েন্তানামো বে নিয়ে কি একটা প্রশ্ন করেছিলাম, ভদ্রলোক বসেছিলেন খাওয়ার জন্য আমার প্রশ্ন শুনে খাওয়া রেখে দৌড় দিয়েছিলেন মোটা সোটা হোম সেক্রেটারী। এর পর পরই আমাকে একদিন লন্ডনের এক রাস্তায় গাড়ী দাড় করিয়ে বলা হয়েছিল “ইউ টক টু মাচ“ যারা বলেছিলেন তারা রাষ্টের অনেক শক্তিশালী মানুষ। সেই থেকে এখন পর্যন্ত আর বেশী কথা বলিনা, স্যাররা যা বলেন আমি শুনি, পারলে লিখি না পারলে স্যারদের হুমকী ধামকী নীরবে সহ্য করি।
সে যাক কথার পিঠে কথা আসে প্রিয় পাঠক, আশা করি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। এরশাদ সাহেবের শাসনামলে লাশ একটু কম পড়েছে। তারপর ও কম কোথায়? ডাক্তার মিলন থেকে শুরু করে রাউফন বসুনয়িা, নুর হোসেন, দিপালী, সেলিম, তাজ উদ্দিন টাঙ্গাইলের ময়েজ উদ্দিন সহ কত লোকের লাশও তো এরশাদ সাহেবের শাসনামলে যোগ হয়েছিল! রাউফন বসুনিয়ার ছোট ভাই নাইহিন বসুনিয়া আমার বন্ধু মানুষ, শেষ দেখা কবে হয়েছিল জানা নেই, আমার এক বন্ধু হাসিবের মাধ্যমে পরিচয় হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির সামনে ৮০ দশকের শেষের দিকে। একদিন গভীর রাতে টিএসসির সামনের খোলা মাঠে বড় ভাই রাউফন বসুনিয়ার জন্য নাইহিনের কান্না এখনো কানে বাজে। হাসিব থাকতো জসিম উদ্দিন হলে, একদিন জসিম উদ্দিন হলে রাতে বসে আড্ডা দিচ্ছি হঠাৎ গুলির শব্দ। একজনের রুমের বালিশে এসে ঢুকলো গুলি, কে করেছে গুলি? খবর নিয়ে জানা গেল অন্য হল থেকে একজন প্রেকটিস করছে। যে বালিশে এসে পড়েছিল সেই ছাত্র যদি তখন ঘুমিয়ে থাকতো তাহলে কি হতো অবস্থা? আরেকটি লাশ যোগ হতো।
এরশাদ সাহেবের পর ক্ষমতার পালা বদল হলো, দেশ গনতন্ত্রের দিকে এগুতে লাগলো। লাশের মিছিল তখন কিছুটা তুলনা মুলক কম হলো, কিন্তু সন্ত্রাসীদের এলাকা দখল মনে হয়েছিল চর দখলের মত। উন্নত বিশ্বে কুকুরের যে দাম রয়েছে বাংলাদেশে মানুষের সে দাম আছে কি-না আমার জানা নেই। যে দেশে মিছিলে নিজ দলের উইকেট ফেলে দেয় সে দেশে কিসের রাজনীতি আর কিসের সমাজ সেবা। যে দেশে হল দখলকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ে হয় গুলাগুলি সে দেশে কিসের পড়া লেখা আর কিসের শিক্ষিত সমাজ? আমরা জানিনা বাংলাদেশের সমাজ বিশেষজ্ঞরা কি ভাবছেন। একটি দেশের সমাজ ব্যবস্থা যদি এতটাই ভঙ্গুর হয় তাহলে সমাজ চলবে কি করে?
সন্ত্রাসের জ্বালায় এক সময় অস্থির হয়ে শুরু হলো ক্রস ফায়ার। মানবাধিকার কর্মীরা বলতে লাগলেন বিচার বহির্ভূত হত্যা কান্ড। আমি বুঝিনা এ বিচার বহির্ভূত হত্যা কান্ড কেন? একজন সন্ত্রাসী, একজন বিরোধী দলীয় বা সরকার দলীয় কর্মী যদি সন্ত্রাস করে বেআইনী কাজ করে তাহলে তাকে কি করতে হবে? জেলে নিয়ে গেলে তো কারবার সারা। জেল থেকে তো সে কিছুই করতে পারবেনা। দেশের প্রচলিত আইনে একজন অপরাধীর বিচার হতে পারে? কিন্তু তাকে জানে মেরে ফেলতে হবে কেন? তাকে ক্রস ফায়ার করতে হবে কেন? এ আইন কে বানিয়েছে?
আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাহেব বলেছেন বড় বড় অপারেশনে ছোট খাটো দুএকটি দুর্ঘটনা ঘটতেই পারে, এ ভদ্রলোক কি বলেন এসব? কিসের দুর্ঘটনা ভাই? এ কোন দুর্ঘটনা, একজন জীবন্ত মানুষকে হত্যা করা কি দুর্ঘটনা? তার উপর যে ব্যাক্তির কোন অপরাধ নেই. নিরাপরাধ একজন মানুষ, সৎ একজন মানুষকে এভাবে মেরে ফেলবেন, আর আপনি ওবায়দুল কাদের সাহেব বলবেন বড় বড় অপারেশনে ছোট খাটো দুর্ঘটনা ঘটতেই পারে। দেশে মাদক বিরোধী অভিযান, এটি কিসের অভিযান? আওয়ামলীগের লোকরাই তো টেলিভিশনে সাক্ষাতকার দিয়ে বলছে টেকনাফের বদি বড় ইয়াবা ব্যবসায়ি, একরাম রাজনৈতকি প্রতিহিংসার স্বীকার ! তাকে আপনারা ধরছেননা, উনি উমরা করতে মক্কা চলে গেছেন। কি হাস্যকর কথা বার্তারে বাবা। করে সে ইয়াবা ব্যবসা সে নাকি আবার এমপি। সে করে আওয়ামলীগ? উবায়দুল কাদের সাহেবরা ঢাকায় বসে সব খবরই রাখেন, কিন্তু বদির ব্যবসার খবর রাখেননা? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী হয়তো জানেননা বদির ব্যবসা, কিন্তু কাদের সাহেবের তো জানার কথা, তিনি তো দলের সাধারন সম্পাদক। ওবায়দুল কাদের সাহেব এক সময় লেখালেখি করতেন, এখন তিনি দলের সাধারন সম্পাদক, একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তির কাছ থেকে এ রকম বক্তব্য আমি আশা করিনা। আওয়ামী সরকারের সব অর্জন যদি একজন ইয়াবা ব্যবসায়ী ব্যর্থ করে দেয় তাহলে তো সমস্যা।
টেকনাফের একরাম হত্যা নিয়ে দেশের ১০ বিশিষ্ট ব্যাক্তি বিবৃতি দিয়েছেন। গতকাল চ্যানেল আইয়ের নিউজে দেখেছি। এ বিবৃতি থেকে কি জাতি কিছু পাবে? আমরা জানিনা। একের পর এক ঘটনা ঘটছে সরকার নির্বীকার। সবাই বসে বসে যেন তামশা দেখছে। দেশটার সব অর্জন ধুলায় মিশিয়ে দেয়া হচ্ছে। কিন্তু কেন? একজন বদির কাজ কারবার যখন গোটা রাষ্টযন্ত্রকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তখন তো মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সেখানে এগিয়ে আসা উচিৎ। একজন বদির কারনে দেশের সমাজ তো পরাজয় বরন করতে পারেনা। বাংলাদেশের আনাচে কানাচে হাজরো বদির বসবাস। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নাকি বলেছেন যারা ব্যবসা করবেন তারা রাজনীতি করতে পারবেনা। যারা রাজনীতি করবে তারা ব্যবসা করতে পারবেনা। তাহলে বদি ব্যবসা করে কি করে?
বদির কাছে আওয়ামীলীগ সরকার, রাষ্ট্র সমাজ সব কিছুই কি জিম্মি? এসবের অবসান কবে হবে?
বিঃদ্রঃ একরাম সাহেবের পরিবার ও মেয়েকে শান্তনা দেয়ার ভাষা আমার জানা নেই। তবে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ভাষায় বলতে হয় আমি জয়ী নই, আমি পরাজিত নই, আমি এমনই একজন মানুষ, পাহাড় চূড়ায় পৃথিবীকে পদতলে রেখে, আমার নাভিমূল
থেকে উঠে আসে বিষণ্ন, ক্লান্ত দীর্ঘশ্বাস, এই নির্জনতাই আমার ক্ষমাপ্রার্থী অশ্রুমোচনের মুহূর্ত।।
লেখক: সভাপতি ইউকে বাংলা প্রেস ক্লাব,সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি বাংলা স্টেটমেন্ট ডট কম,ব্যবস্থাপনা পরিচালক চ্যানেল আই ইউরোপ।
(মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন)