‘অপারেশন কন্টিনাম’: টাওয়ার হ্যামলেটসে পুলিশ ও কাউন্সিলের সাঁড়াশি অভিযান

ডেইলিইউকেবাংলা: টাওয়ার হ্যামলেটস পুলিশ এবং টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল যৌথভাবে মাদকের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান চালায়। অপারেশন কন্টিনাম এর আওতায় পরিচালিত এই অভিযানের অংশ হিসেবে শেডওয়েলের ৫টি ঘরে তল্লাশি চালিয়ে ৪ জনে গ্রেফতার এবং ব্যাগ ভর্তি নগদ অর্থ ও নতুন রেঞ্জ রোভার গাড়ি জব্দ করা হয়।

গত ১০ সপ্তাহ ধরে চলমান মাদকবিরোধী অভিযানে টাওয়ার হ্যামলেটস হোমস সহ বিভিন্ন সহযোগীদের গোয়েন্দা তথ্য ও নজরদারির মাধ্যমে সন্দেহভাজন মাদক বিক্রেতারদের চি?িত করা হয়। এর ফলে মোট ১৯ জনকে গ্রেফতার করা হয় এবং মাদক সরবরাহ ও সঙ্গে রাখার অভিযোগ আনা হয়। এছাড়া ৮৪টি সমাজবিরোধী আচরণের জন্য সতর্কীকরণ নোটিশ জারি করা হয়। ৯টি ঘরে চালানো হয় তল্লাশি এবং ৫টি গাড়ি জব্দ করা হয়। মাদক বিরোধী এই অভিযানের আওতায় কমিউনিটিকে আশ্বস্তকরণ এবং বাসিন্দাদের সহায়তা করছে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল। এই উদ্যোগের আওতায় আগামী ৭ দিন এন্টিসোশ্যাল বিহেভিয়ারের রিপোর্টের অনুকূলে সাড়া দেয়া, কিশোর তরুণ বয়সীদের ইতিবাচক কার্যক্রমে অংশ নিতে উদ্বুদ্ধ করা, গৃহহীন হিসেবে চিন্নিত অসহায় লোকজনকে অথবা যাদের মাদকাসক্তির চিকিৎসা দরকার, তাদেরকে প্রয়োজনীয় সাহায্য করা হবে। এছাড়া কাউন্সিলের ক্লিন এন্ড গ্রীণ টিম নোংরা দেয়াললিখন অপসারণ করবে।

টাওয়ার হ্যামলেটস পুলিশের ডিটেক্টিভ সুপারেন্টেন্ডেন্ট মার্ক ব্রুম বলেন, অপারেশ কন্টিনামের অংশ হিসেবে আমরা শেডওয়েল এলাকায় বিশেষভাবে নজর দিয়েছি। তবে এই অভিযান গোটা বারায় পরিচালিত হবে। ড্রাগ ডিলারদের ধরতে এবং কমিউনিটিকে সহায়তা দিতে ও প্রত্যেকের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে আমরা টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল এবং ল্যান্ডলর্ডদের সাথে মিলে কাজ করে যাচ্ছি। তিনি বলেন, মাদক কেনাবেচার ব্যাপারে জিরো টলারেন্স প্রত্যাশা করেন বলে বাসিন্দারা আমাদের বলেছেন এবং আমরা তা-ই করে যাচ্চিছ। টাওয়ার হ্যামলেটসের ড্রাগ ডিলারদের এটা জানা থাকা দরকার যে, অপারেশন কন্টিনাম তাদেরকে ছাড়বে না।

মেয়র অব টাওয়ার হ্যামলেটস, জন বিগস বলেন, পুলিশের সাথে মিলে আমরা যৌথ শক্তি নিয়ে মাদক সমস্যা মোকাবেলায় কাজ করে যাচ্ছি। এই সমস্যা মোকাবেলা করা মেয়র হিসেবে আমার অন্যতম অঙ্গিকার। তিনি বলেন, এই লড়াইয়ের কেন্দ্রে রয়েছেন বাসিন্দারা। তাদের সহায়তায় টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের মোবাইল ইউনিট আরো ৭দিন এখানে থাকবে। আমাদের কাজের মধ্যে রয়েছে, ইয়ূথ কার্যক্রম, হোমলেস বা গৃহহীন এবং মাদকাসক্তদের সাহায্য করা এবং যে ইস্যূগুলোর কারণে আমাদের রাস্তাঘাটের দৃশমান পরিবর্তন চোখে পড়ে, তা নিরসন করে পুরো জনপদকে নিরাপদ করে তোলা।

কমিউনিটি সেফটি বিষয়ক কেবিনেট মেম্বার কাউন্সিলর আসমা বেগম বলেন, আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্ঠার কারণে মাদকের কেনাবেচা বন্ধ হবে। কোথায় মাদক কেনা বেচা হয় সেসম্পর্কে বাসিন্দারা আমাদের তথ্য দেন। আমরা বিশ্বাস করি সম্মিলিতভাবে কাজ করার মাধ্যমে আমরা বারাকে নিরাপদ করে তুলতে সক্ষম হবো।

Leave a Reply

More News from বাংলাদেশ

More News

Developed by: TechLoge

x