মাসদার হোসেন মামলা থেকে ড. কামাল, ব্যারিস্টার আমীরকে প্রত্যাহার

নিউজ ডেস্কঃ আলোচিত মাসদার হোসেন মামলা পরিচালনা থেকে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. কামাল হোসেন ও ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলামকে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

বুধবার এক বিবৃতিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন অধস্তন আদালতের বিচারকদের সংগঠন বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন।জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ এসএম কুদ্দুস জামান ও মহাসচিব (ভারপ্রাপ্ত) আইন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (প্রশাসন) বিকাশ কুমার সাহা এই বিবৃতি দেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, দেশের শীর্ষ ছয়জন আইনজীবী মাসদার হোসেন মামলাকে রাজনীতিকরণের অপচেষ্টায় লিপ্ত আছেন। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার রফিক-উল হক, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন, অ্যাডভোকেট এএফ হাসান আরিফ, ব্যারিস্টার ফিদা এম কামালসহ ছয়জন আইনজীবী অধস্তন আদালতের বিচারকদের জন্য প্রণীত শৃংখলা ও আপিল বিধিমালা-২০১৭ সম্পর্কে যেসব মন্তব্য করেছেন তা অ্যাসোসিয়েশনের দৃষ্টিগোচর হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, স্বাধীনতা অর্জনের ৪৭ বছর অতিবাহিত হলেও সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদের আলোকে বিধিমালা প্রণয়ন না করেই অধস্তন আদালতের বিচারকদের শৃংখলাসংক্রান্ত বিষয়টি ১৯৮৫ সালের সরকারি কর্মচারীদের জন্য প্রণীত শৃংখলা ও আপিল বিধিমালা অনুসরণ করে নিষ্পত্তি করা হচ্ছিল।এ ছাড়া ড. কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন ও অ্যাডভোকেট এএফ হাসান আরিফ আইন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী/উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্বপালন করলেও তারা ওই সময় বিচারকদের জন্য পৃথক কোনো শৃংখলা ও আপিল বিধিমালা প্রণয়নের কোনো উদ্যোগ বা পদক্ষেপ নেননি।যেহেতু সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ শৃংখলা ও আপিল বিধিমালাকে গ্রহণ করেছেন এবং অধস্তন আদালতের বিচারকদের মধ্যে এই বিধিমালার বিষয়ে কোনোরূপ অসন্তোষ নেই, সেহেতু বিবৃতিদানকারী আইনজীবীদের ওই বিষয় নিয়ে নেতিবাচক সমালোচনা না করার জন্য অনুরোধ করা হলো।

ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আপিল শুনানিকালে ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম অধস্তন আদালতের বিচারকদের স্বার্থবিরোধী বক্তব্য আপিল বিভাগে উপস্থাপন করায় এবং তার উক্ত বক্তব্য আদালত কর্তৃক গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। একই সঙ্গে ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম ও ড. কামাল হোসেনকে মাসদার হোসেন মামলা পরিচালনার ক্ষমতা (ওকালতনামা) প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।যেহেতু অধস্তন আদালতের বিচারকদের শৃংখলা বিধিমালাটি রাষ্ট্রপতি অনুমোদন দিয়েছেন এবং সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ গ্রহণ করেছেন, তাই বিধিমালার বিষয়ে সবাইকে অনুরূপ নেতিবাচক মন্তব্য বা বিবৃতি প্রদান না করার জন্য অনুরোধ করা হয় ওই বিবৃতিতে।

Leave a Reply

More News from বাংলাদেশ

More News

Developed by: TechLoge

x