তিন ফিফটিতে বাংলাদেশের ৩২০
স্পোর্টস ডেস্কঃ টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। তার সিদ্ধান্তকে যৌক্তিক প্রমাণ করলেন ব্যাটসম্যানরা। তামিম, সাকিব, মুশফিকরা ব্যাটে ছোটালেন রানের ফোয়ারা। তাদের অনিন্দ্যসুন্দর ব্যাটিংয়ে শ্রীলংকাকে ৩২১ রানের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে বাংলাদেশ।
শুক্রবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমেব্যাট করারসিদ্ধান্ত নেন মাশরাফি। ইনিংস সূচনা করেন তামিম ইকবাল ও এনামুল হক বিজয়। তবে সাবলীল ছিলেন না বিজয়। প্রথম ওভারেই সুরঙ্গা লাকমলের বলে স্লিপে ক্যাচ দেন তিনি। কিন্তু তা মুঠোবন্দি করতে পারেননি কুশল মেন্ডিস।এর পর একাধিক লাইফ পেয়েছেন বিজয়। কিন্তু তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন আড়াই বছর পর দলে ফেরা এ ওপেনার। খাবি খেতে খেতে ফেরেন ব্যক্তিগত ৩৫ রান করে। দলীয় ৭১ রানে থিসারা পেরেরার বাউন্সার খেলতে গিয়ে উইকেটের পেছনে নিরোশান ডিকভেলাকে ক্যাচ দেন তিনি।বিজয়ের বিদায়ের পর সাকিব আল হাসানকে নিয়ে এগিয়ে যান তামিম। তাকে যোগ্য সহযোদ্ধার সমর্থন দেন সাকিবও। দুজনের ব্যাটেই ছুটছিল রানের নহর। তাদের ব্যাটে বড় স্কোরের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে বাংলাদেশ। তবে হঠাৎই থেমে যান তামিম। দলীয় ১৭০ রানে আকিলা ধনাঞ্জয়ার বলে ডিকভেলার তালুবন্দি হয়ে ফেরেন তিনি। ফেরার আগে ১০২ বলে ৭ চার ও ২ ছক্কায় ৮৪ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলেন ড্যাশিং ওপেনার। এটি তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৪০তম ফিফটি।
তামিমের পর মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখছিলেন সাকিব। দারুণ খেলছিলেন তিনি। মুশফিকের কাছ থেকে যোগ্য সঙ্গও পাচ্ছিলেন। ধীরে ধীরে তাদের জুটি জমাট বেঁধে উঠছিল। কিন্তু ভালো খেলতে খেলতে হঠাৎইখেই হারিয়ে ফেলেন সাকিব। দলীয় ২২৭ রানে গুনারত্নের কট অ্যান্ড বোল্ড হয়ে ফেরেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। ফেরার আগে ৬৩ বলে ৭ চারে ৬৭ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন তিনি। ব্যাটিং পজিশন তিনে এটি তার প্রথম এবং ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ৩৬তম ফিফটি।
ততক্ষণে বড় স্কোরের ভিত পেয়ে যায় বাংলাদেশ। সেই ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে চার-ছক্কার পসরা সাজাতে থাকেন মুশফিক। তাতে সামলি হন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তবে বেশিদূর যেতে পারেননি মাহমুদুল্লাহ। দলীয় ২৭৭ রানে নুয়ান প্রদীপের বলে থিসারার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ফেরার আগে ২৩ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ২৪ রান করেন মিস্টার কুল।সঙ্গী হারিয়ে বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি মুশফিকও। দলীয় ২৮৪ রানে থিসারার বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি। এর আগে ৫২ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৬২ রানের মারকাটারি ইনিংস খেলেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল। এটি তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ২৮তম ফিফটি।শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ৩২০ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর পায় বাংলাদেশ। শেষ দিকে দারুণ এক ক্যামিও খেলেন সাব্বির রহমান। ১২ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ২৪ রান করেঅপরাজিত থাকেন এ হার্ডহিটার। অপর প্রান্তে ৬ রানে অপরাজিত থাকেন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন।শ্রীলংকার হয়ে ৩ উইকেট দখল করেন থিসারা পেরেরা। নুয়ান প্রদীপ নেন ২টি।১টি করে উইকেট ঝুলিতে ভরেন ধনাঞ্জয়া ও গুনারত্নে।