লজ্জা থাকলে জীবনে আর দুর্নীতি করবেন না খালেদা জিয়া: প্রধানমন্ত্রী

নিউজ ডেস্কঃ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এতিমদের টাকা লুটপাটকারীদের স্থান বাংলাদেশে হবে না। এতিমদের টাকা আসে এতিমদের জন্য, এতিমদের সম্পদ মেরে খেলে তার শাস্তি আল্লাহ রাব্বুল আলামিন দেয়। এতিমদের টাকা মেরে তার শাস্তি আজ খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়া পেয়েছে। লজ্জা থাকলে জীবনে আর লুটপাট করবে না, দুর্নীতি করবে না। আদালতের রায় নিয়ে আমাদের বলার কিছু নেই কিন্তু অন্যায় করলে যে শাস্তি পায় সেটা আজ প্রমাণিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে এক বিশাল সমাবেশে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। ৩১ মিনিটের বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী তার সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরে বলেন যখনই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকে তখনই দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ কিছু না কিছু পায়। কিন্তু বিএনপি সন্ত্রাস, হত্যা, খুন, রাহাজানি ছাড়া জাতিকে আর কিছুই দিতে পারেনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও তার জোটকে ভোট দিয়ে সরকার গঠনের সুযোগ দিন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলেই দেশের উন্নয়ন হয়। দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে আগামী নির্বাচনেও নৌকা মার্কাকে নির্বাচিত করতে হবে। নৌকাকে নির্বাচিত করলে দেশ এগিয়ে যায়। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসলে দেশে লুটপাট হয়, দেশ দুর্নীতিতে বারবার চ্যাম্পিয়ন হয়। তাই দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হলে আগামীতেও আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করতে হবে। তাই আপনারা হাত তুলে ওয়াদা করেন আগামীতেও নৌকা মার্কার প্রার্থীদের ভোট দেবেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগকে ভোট দিলে বিশ্ব দরবারে দেশ সম্মানের সাথে এগিয়ে যাবে। ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় নির্বাচন। আগামী নির্বাচনে আবারও আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করুন।

জনসভায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সংসদ সদস্য তালুকদার মো. ইউনুস, সংসদ সদস্য জেবুন্নেছা আফরোজ, সংসদ সদস্য পঙ্কজ নাথ, ভোলা জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ফজলু কাদের মজনু মোল্লা, পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সংসদ সদস্য একেএমএ আউয়াল, বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ, আইন বিষয়ক সম্পাদক স ম রেজাউল করিম, কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক সুদীপ রায় নন্দী, কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আক্তার, মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সাফিয়া খাতুন, কৃষকলীগ কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক খন্দকার শামসুল হক রেজা, ঝালকাঠি জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক খান সাইফুল্লাহ পনির প্রমুখ।

সমাবেশ পরিচালনা করেন মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম আব্বাস চৌধুরী দুলাল, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কেএম জাহাঙ্গীর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ।বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টার পটুয়াখালীর লেবুখালীর ‘শেখ হাসিনা সেনানিবাস’ এর হ্যালিপ্যাডে অবতরণ করে। তিনি সেখানে শেখ হাসিনা সেনানিবাসসহ ১৪টি উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন ও একটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। লেবুখালী অংশের কর্মসূচি শেষে প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টারে বরিশাল শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত স্টেডিয়ামে আসেন। পরে সেখান থেকে গাড়ি বহরে বঙ্গবন্ধু উদ্যানে এসে প্রধানমন্ত্রী ৪১টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ৩৩টি প্রকল্পের ভিত্তিফলক উন্মোচন করেন। পরে বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে জনসভায় যোগ দেন।

Leave a Reply

More News from বাংলাদেশ

More News

Developed by: TechLoge

x