শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় শহীদদের স্মরণ
নিউজ ডেস্কঃ যে ভাষার জন্যে এমন হন্যে এমন আকুল হলাম, সে ভাষায় আমার অধিকার। এ ভাষার বুকের কাছে মগ্ন আছে আমার অঙ্গীকার…কবীর সুমনের এই গানটি যেন আজ প্রতিটা মানুষের প্রাণের কথা বলছে। তার প্রমাণও মিলেছে শহীদ মিনার অভিমুখে মানুষের ঢল দেখে। একুশের প্রথম প্রহর থেকেই শুরু হয়েছে শ্রদ্ধা জানানো। ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে শহীদ মিনার অভিমুখে মানুষের ঢল আরও বেড়েছে। ১৯৫২ সালের এসময়টা উত্তাল ছিল বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে। এদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ১৪৪ ধারা অমান্য করে রাজপথে বেরিয়ে এলে পুলিশ গুলি চালায়। শহীদ হন সালাম, বরকত, রফিক ও জব্বারের মতো তরুণ প্রাণ। সেই থেকে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দিবসটি পালন করা হয়েচ্ছ।রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ১৯৫২ সালের এই দিনে বাঙালির রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল রাজপথ। সেই ঘটনার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে শিশুদের সঙ্গে নিয়ে খালি পায়ে শহীদ মিনারে গেছেন অভিভাবকরা। পরবর্তী প্রজন্মকে একুশের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতেই সন্তাসকে সঙ্গে নিয়ে এসেছেন তারা।একুশের প্রথম প্রহর থেকেই চারপাশে বাজছে আবদুল গাফফার চৌধুরীর লেখা ও শহীদ আলতাফ মাহমুদের সুরের সেই কালজয়ী গানটি, ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি,আমি কি ভুলিতে পারি…’একুশ এখন আর শুধু বাংলাদেশের গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ নেই। ২১ ফেব্রুয়ারি এখন দেশের সীমানা ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক পরিসরে গেছে। ১৯৯৯ সাল থেকে এটি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন হয়ে আসছে।সকাল ১০টার মধ্যে পুরো শহীদ মিনার ছেয়ে যায় ফুলে। স্বেচ্ছাসেবীরা যত্ন করে সেই ফুলগুলো সাজিয়ে রাখেন। শহীদদের প্রতি মমতা ও শ্রদ্ধায় তারা ফুলগুলো দিয়ে নকশা একে দেন।বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে এ দিনটি স্মরণ করছে জাতি। দিবসের সূচনা হয় মধ্যরাতে প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ফুল দেওয়ার মধ্য দিয়ে। এরপর থেকে বিভিন্ন সংগঠন ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়।
More News from বাংলাদেশ
-
খুলনায় মুক্তিযোদ্ধা শাহাদাৎ হত্যা, ৩ আসামী গ্রেফতার,আসামীদের সর্বোচ্ছ শাস্তির দাবিতে মানব বন্ধন
-
গোলাপগঞ্জে আব্দুল মতিন ও ছায়া খাতুন ট্রাস্টের পক্ষে পিপিই প্রদান (ভিডিও সহ)