জনপ্রিয়তা বাড়লে খালেদা জিয়াকে জেলে রেখেই নির্বাচন করুন

নিউজ ডেস্ক,ভোলাঃ বিএনপি নেতা মওদুদ আহমেদের বক্তব্যের সমালোচনা করে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, খালেদা জিয়া জেলে থাকলে যদি বিএনপি’র জনপ্রিয়তা বাড়ে তাহলে তাকে জেলে রেখেই নির্বাচনে আসুন। জেলে থাকলে যদি জনপ্রিয়তা বাড়ে আর আওয়ামী লীগের ভোট কমে, তাহলে তাকে জেলেই রেখে দিন। একজন শিক্ষিত লোকের এমন কথা মানায় না। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে অংশগ্রহণমূলক। সে নির্বাচনে সকলের অংশগ্রহণ করবে, যারা করবে না তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। শনিবার দুপুরে ন্যাশনাল সার্ভিসের কর্মসূচীর প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের সনদ বিতরণ, জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহের উদ্বোধন এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের মাঝে ল্যাপটপ বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ২০১৮ সালে ডিসেম্বরে সংবিধান অনুসারে বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সকল দল এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন এটাই আমাদের প্রত্যাশা এবং এ নির্বাচন হবে অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ।

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ আরো বলেছেন, বেকার সমস্যা সমাধানের জন্য ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচী চালু করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি স্বপ্ন দেখেন, তিনি দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেণ। কিন্তু বিএনপি ২০০৪ সালে ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলা প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার করার চেষ্টা করেছিল, ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট চালিয়ে সকল জেলায় বোমা মেরে ছিলো, গাছের সাথে লটকিয়ে মানুষের উপর নির্মম নির্যাতন করেছিল- আবদুর রহমান বাংলা ভাইরা। দেশের উগ্রবাদ তৎপরতা নির্মূল করেছি।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ উজ্জল সম্ভাবনার দেশ, এক সময় এ দেশেকে তলাবিহীন ঝুলি বলা হতো, এখন তারাই বলে বাংলাদেশ বিস্ময়কর উত্থান। সকল দিক থেকে আজকে বাংলাদেশের পেছনে পাকিস্তান। তাদের থেকে রফতানি, রিজার্ভ ও রেভিটেন্স এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন অনেক বেশি। এখন আমরা স্বপ্ল উন্নত দেশ হলেও অচিরেই উন্নতশীল দেশে রুপান্তিত হতে চলেছি। যখন দেশের জনসংখ্য সাড়ে সাত কোটি ছিলো তখন খাদ্যের অভাব ছিল, কিন্তু এখন ১৬ কোটির বেশি হলেও খাদ্য উদ্বৃত।তিনি আরো বলেন, বিএনপি’র আমলে ভোলায় কোনো উন্নয়ন হয়নি, আমারা নদী ভাঙ্গা বন্ধু করেছি, ঘরে ঘরে বিদ্যু পৌছে দিয়েছি, এবং নির্বাচনের আগেই ভোলা-বরিশাল ব্রীজ নির্মাণের কাজ শুরু হবে। গ্রামীন অবকাঠামোর কাজ চলছে। ভোলায় অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠান হবে এবং দেশের মধ্যে মডেল জেলা পরিনত হবে। ইতোমধ্যে জেলার গ্রামগুলো শহরে পরিনত হয়েছে।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৃধা মোজাহিদুল ইসলামের সভাপতিত্ব বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা প্রশাসক মো: সেলিম উদ্দিন, উপজলো পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান মো: ইউনুস। উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব।অনুষ্ঠানে শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ কর্মকর্তাদের নিয়ে ভোলা বরিশাল সেতুর স্থান পরিদর্শন করেন।

Leave a Reply

More News from বাংলাদেশ

More News

Developed by: TechLoge

x