নক-আউট পর্বে সুইডেন ও মেক্সিকো

স্পোর্টস ডেস্কঃ ইকাতেরিনবার্গে টানা দুটি জয়ে ফেভারিট হিসেবে সুইডেনের বিপক্ষে নেমেছিল মেক্সিকো।তারাই সুইডেনের কাছে উড়ে গেল ৩-০ গোলে।এতে শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে সুইডেন।আরেক ম্যাচে জার্মানির হারে সুইডিশদের কাছে হেরেও নকআউটে উঠেছে মেক্সিকো।আক্রমণ প্রতি আক্রমণে গেছে দুই দলই।প্রথমার্ধে দুই দলের বিনিময় হয়েছে ১৯টি শট,যেটা এই বিশ্বকাপের এক ম্যাচে সর্বোচ্চ।এই ম্যাচে আরেকটি রেকর্ড হয়েছে, ১৩ সেকেন্ডে বিশ্বকাপের দ্রুততম হলুদ কার্ড দেখেছেন মেক্সিকোর ডিফেন্ডার জেসুস গায়ার্দো।৪ মিনিটে বক্সের বাইরে মেক্সিকান গোলরক্ষক গিলের্মো ওচোয়ার হাতে বল লাগলে ফ্রি কিক পায় সুইডিশরা। ফোর্সবার্গের চমৎকার ফ্রি কিক দারুণ দক্ষতায় ঠেকান মেক্সিকোর গোলরক্ষক।২৫ মিনিটে ওচোয়া ব্যর্থ করে দেন সুইডিশদের আরেকটি প্রচেষ্টা।

চার মিনিট পর আবার বিপদে পড়েছিল মেক্সিকো। হাভিয়ের এর্নেন্দেসের হ্যান্ডবলে পেনাল্টির আবেদন জানায় সুইডেন। কিন্তু ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি জানায় বক্সের মধ্যে ইচ্ছা করে বল হাত দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করেননি তিনি।৩১ মিনিটে আবারো দলকে গোল খাওয়া থেকে বাঁচান ওচোয়া।কর্নার থেকে বার্গের শক্তিশালী শট রুখে দেন মেক্সিকোর গোলরক্ষক। লক্ষ্যে সুইডেনের তিনটি শট ঠেকিয়ে ওচোয়া প্রথমার্ধে মেক্সিকোর নায়ক ছিলেন।কিন্তু উজ্জীবিত সুইডেনকে বিরতির পর আটকাতে পারেননি তিনি।৫০ মিনিটে ক্লাসেনের নিখুঁত পাসে অগাস্টিনসন গোলমুখ খোলেন। ফোর্সবার্গ ও বার্গকে আটকাতে ব্যস্ত মেক্সিকোর রক্ষণভাগের নজরের বাইরে থাকার ফায়দা নেন তিনি দারুণভাবে।

১২ মিনিটের ব্যবধানে আবার এগিয়ে যায় সুইডেন।মোরেনো ৬১ মিনিটে বক্সের মধ্যে ট্যাকল করে ফেলে দেন বার্গকে।পরের মিনিটে পেনাল্টি থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন গ্র্যাঙ্কভিস্ত।২০০২ সালে স্পেনের ফের্নান্দো হিয়েরোর পর প্রথম ডিফেন্ডার হিসেবে এক বিশ্বকাপে দুটি পেনাল্টি গোল করলেন সুইডেনের অধিনায়ক।২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ার চাপে মেক্সিকো আরও ভেঙে পড়ে। নিজেরাই নিজেদের শত্রু হয় তারা ৭৪ মিনিটে আত্মঘাতী গোল করে।মেক্সিকান ডিফেন্ডার এদসন আলভারেস বল বিপদমুক্ত করতে গিয়ে জালে জড়িয়ে দেন।

Leave a Reply

Developed by: TechLoge

x