ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে ছোট পরিসরে আলোচনায় রাজি আ. লীগ

ডেইলিইউকেবাংলা নিউজঃ আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে অমীমাংসিত বিষয়গুলো মীমাংসার লক্ষ্যে ফের ছোট পরিসরে আলোচনায় বসতে আওয়ামী লীগ রাজি বলে জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক।

আজ রোববার ওবায়দুল কাদের বলেন,ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপে অগ্রগতি আছে,তারা চাইলে ছোট পরিসরে আবারও আলোচনা হতে পারে।সংলাপে তারা তাদের দাবিগুলো উপস্থাপন করেছে,আলোচনা হয়েছে।সভা-সমাবেশের অধিকারসহ অনেকগুলো দাবি মেনেও নেওয়া হয়েছে।অপরাপর দাবিগুলো নিয়ে আবারও সংলাপ হতে পারে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, ‘অনেক দিনের দূরত্ব,একদিনেই তো আর বরফ গলবে না।আলোচনা অব্যাহত থাকবে।

আজ রোববার সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।তিনি এমন একটি সময়ে এই বক্তব্য দিলেন,যখন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে ছোট পরিসরে ফের আলোচনার জন্য সংলাপের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।বিএনপি,জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া,জেএসডি ও নাগরিক ঐক্য নিয়ে গত ১৩ অক্টোবর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আত্মপ্রকাশ ঘটে।নতুন জোটের সাত দফা দাবির মধ্যে অবাধ,সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে সরকারের পদত্যাগ,জাতীয় সংসদ বাতিল,সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে নির্বাচনকালীন নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকার গঠন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দির মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার নিশ্চিত করার পাশাপাশি গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন ও নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার না করার নিশ্চয়তা প্রদানের কথাও বলা হয়েছে।

এসব দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের সঙ্গে সংলাপ হয় ঐক্যফ্রন্টের।কিন্তু সংলাপ থেকে বেরিয়ে এসে ঐক্যফ্রন্টের নেতারা জানান, তাঁরা কোনো সমাধান পাননি।এই পরিপ্রেক্ষিতে আজ ফের সংলাপ আহ্বান করার জন্য চিঠি দেয় ঐক্যফ্রন্ট।খালেদা জিয়ার মুক্তি নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন,খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়েছেন আদালত।এখন চিকিৎসার জন্য প্যারোলে খালেদা জিয়ার মুক্তির ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করতে পারে বিএনপি।সংলাপ শেষ হওয়ার আগে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা না করতে নির্বাচন কমিশনকে ঐক্যফ্রন্টের চিঠি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন,এটা নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ারভুক্ত।নির্বাচন কমিশন স্বাধীন। তফসিল পেছাবেন কি না সেটা তাঁরাই সিদ্ধান্ত নেবেন।

জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা স্থগিত করে আজ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রধানমন্ত্রীকে কওমি আলেমদের সংবর্ধনা নিয়ে জানতে চাওয়া হলে ওবায়দুল কাদের বলেন,এটা সংবর্ধনা নয়।এখানে কওমি আলেমরা শোকরানা মাহফিলের আয়োজন করেছে,প্রধানমন্ত্রী সেখানে দোয়া নিতে গেছেন।আওয়ামী লীগের সঙ্গে আল্লামা শফী বা হেফাজতের বিরোধ কখনোই ছিল না।প্রধানমন্ত্রী দেশের জন্য কাজ করছেন।কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার উন্নয়নে কাজ করছেন,এর সুফল সবাই পাচ্ছে।’

Leave a Reply

More News from বাংলাদেশ

More News

Developed by: TechLoge

x