ঐক্যফ্রন্টের ‘নির্বাচনকালীন সরকারের’ প্রস্তাব নাকচ
ডেইলিইউকেবাংলা নিউজঃ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের করা সরকারের নির্ধারিত মেয়াদ শেষে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন এবং ১০ সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদ গঠনের প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।তবে তাদের সাত দফা দাবি বেশ কিছু দাবি মানা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সরকারি দলের মুখপাত্র সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।বুধবার জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে দ্বিতীয় দফা সংলাপ শেষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা জানান।তবে সংলাপ আর হবে না জানিয়ে তিনি বলেছেন,আলোচনা আরও হতে পারে তবে ‘ডায়লোগ’ শেষ।
তিনি বলেছেন,নির্বাচন পিছিয়ে দিতে এটা তাদের বাহানা।কিন্তু আমরা সংবিধানের বাইরে যাবো না।নির্বাচন পেছানোর সুযোগ নেই। গত সাত দিনে যত সংলাপ হয়েছে সেসব বিষয় নিয়ে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৮ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানাবেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন,সংসদ যেদিন বসেছে সেদিন থেকে হিসেব করে সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।কিন্তু তারা সংলাপে প্রস্তাব দিয়েছেন নির্বাচন সংসদের মেয়াদ শেষে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে করার।কিন্তু এটা সংবিধানের বাইরে।তাই আমরা এতে সম্মত হইনি।আর একজন প্রধান উপদেষ্টাসহ ১০ জন উপদেষ্টা রেখে নির্বাচন করার প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য নয়।এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী তাদের অনুরোধ করেছেন,আপনারা নির্বাচনে আসুন,আমরা দেখিয়ে দেবো এই সরকারের অধীনেই একটি অবাধ,সুষ্ঠু,নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব।এরপর যদি আপনারা জিতেন আপনারা ক্ষমতায় আসবেন,আর আমরা জিতলে আমরা আসবো।
তবে তাদের সাত দফায় থাকা বেশ কিছু দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন,প্রধানমন্ত্রী তাদের নিশ্চয়তা দিয়েছেন তফসিল ঘোষণার পর প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রীদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা ব্যবহার করা হবে না,দলীয় পতাকা থাকবে।কোনও ধরনের সরকারি ফ্যাসিলিটি (সুবিধা) আমরা এনজয় করবো না।তখন সব কিছু থাকবে নির্বাচন কমিশনের অনুরোধে।নির্বাচনে সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়ার আহ্বান মেনে নেওয়া হয়নি জানিয়ে তিনি বলেছেন,এটা এখন কোথাও থাকে না।তবে নির্বাচনে সেনা মোতায়েন থাকবে।তারা নির্বাচন কমিশনের প্রয়োজন অনুযায়ী স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে।
সাত দফার কী কী দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,নির্বাচনে লেভেল প্লেইং ফিল্ডের ব্যাপারে আমরা সম্মত। সরকারি পতাকা ও সরকারি কোনও ফ্যাসিলিটি আমরা এনজয় করবো না।তারা রাজবন্দিদের একটা তালিকা দিয়েছেন।প্রধানমন্ত্রী আইনমন্ত্রীকে বলেছেন,যদি এই তালিকায় রাজবন্দি কেউ থেকে থাকে তাহলে তাদের মুক্তি দিয়ে দিতে।তারা সভা সমাবেশ করতে পারবেন।বিদেশি পর্যবেক্ষকের ব্যাপারে আমাদের কোনও আপত্তি নেই।আলোচনা শেষে প্রধানমন্ত্রী তাদের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে পারসোনালি আলোচনা করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অনুরোধ করেছেন।নির্বাচন পেছানোর নামে কোনও অপশক্তি আর যেন ক্ষমতায় আসতে না পারে সে বিষয়েও সবাইকে লক্ষ্য রাখতে অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি বিষয়ে কী আলোচনা হয়েছে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন,খালেদা জিয়া ও কয়েকজন সাবেক মন্ত্রীর ব্যাপারে কথা হয়েছে। তারা তাদের মুক্তি চাননি,জামিন চেয়েছেন।আমরা বলেছি,এই মামলটি করেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার,ক্যালেন্ডারে দেখতে দেখতে ১১ বছর পার হয়েছে।এই মামলা নিষ্পত্তি করতে ১১ বছর পার হয়েছে।তারা এ মামলা নিষ্পত্তি করতে আগ্রহী ছিলেন না।এখন আদালত যদি জামিন দেয় তাহলে আমাদের আপত্তি নেই।
More News from বাংলাদেশ
-
খুলনায় মুক্তিযোদ্ধা শাহাদাৎ হত্যা, ৩ আসামী গ্রেফতার,আসামীদের সর্বোচ্ছ শাস্তির দাবিতে মানব বন্ধন
-
গোলাপগঞ্জে আব্দুল মতিন ও ছায়া খাতুন ট্রাস্টের পক্ষে পিপিই প্রদান (ভিডিও সহ)