ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেন প্রধানমন্ত্রী

ডেইলিইউকেবাংলা নিউজঃ জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট,যুক্তফ্রন্টসহ সব দলের নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সংসদীয় বোর্ডের সভায় সূচনা বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।সবার অংশগ্রহণে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখাই সরকারের চাওয়া বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
আর সভা শেষে ব্রিফিংয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন,আওয়ামী লীগ চায় না,তারপরও নির্বাচন কমিশন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ পেছালে আপত্তি নেই তাদের।আর এখনো সিদ্ধান্ত না হলেও যুক্তফ্রন্ট মহাজোটের সঙ্গে নির্বাচনে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে বলেও জানান কাদের।একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নপত্র বিক্রি শুরুর তৃতীয় দিনের মাথায় আজ প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হলো দলের সংসদীয় বোর্ডের সভা।

সভার সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তুলে ধরেন গত কয়েকদিন ধরে চলা বিভিন্ন জোট ও দলের সঙ্গে অংশ নেওয়া সংলাপের তথ্য।বলেন,সংলাপে ৭০ টি দলের ২৩৪ জন প্রতিনিধির সঙ্গে ২৪ ঘণ্টা ৫ মিনিট আলোচনা করেছেন তাঁর নেতৃত্বাধীন জোটের নেতারা।ফলাফলে সবার নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান সরকারপ্রধান।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,যারা দাবি করেছে,আমরা সাত দফার বেশ কিছু মেনে নেই।তা ছাড়া ইলেকশনটায় যাতে সকলেই অংশগ্রহণ করতে পারে,সবাই যেন নির্বাচন করার সুযোগ পায়,সেদিকে আমরা বিশেষভাবে দৃষ্টি রাখব।সেই ওয়াদা আমরা দিয়েছি।এবং আমরাও চাই,নির্বাচন অবাধ,সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ হোক।গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরে আসুক।এবং সকল দল মিলে আমরা একসাথে নির্বাচন করব।জনগণ যাকে চাইবে,তাকে ভোট দিবে।আশা করি,আমাদের গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত গতিতে চলবে।সবাই যেহেতু নির্বাচন করবে,কাজেই আমরা সবাইকে সেজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি এবং স্বাগত জানাচ্ছি।

সভা শেষে ব্রিফিংয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক,সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন,সভায় আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দেওয়ার সময় কাল সোমবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে।আর দলীয় মনোনয়ন যারা চেয়েছেন তাদের সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হবে ১৪ নভেম্বর বেলা ১১টায় ধানমণ্ডিতে দলের সভাপতির কার্যালয়ে।ওবায়দুল কাদের বলেন,নির্বাচন কমিশন যদি সময়সূচি বাড়াতে চায়,সেখানে আমাদের কোনো আপত্তি থাকবে না।যুক্তফ্রন্টও আমাদের সাথে…আমাদের সাথে মানে আমাদের সাথে একটা অ্যালায়েন্স তাদেরও হতে পারে।ঐক্যফ্রন্টের সাথে আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে।তাদেরকে ফ্রন্ট হিসেবে বা বিএনপিকে দল হিসেবে দুর্বল ভাবার তো কোনো কারণ নেই।ইলেকশান করব জেতার জন্য এবং ক্যান্ডিডেটও যারা জিতবে,এমন সম্ভাবনা আছে।তাদের নিয়েই আমরা জোটের প্রার্থিতা ঘোষণা করব।মহাজোটের সঙ্গে থাকলেও জাতীয় পার্টিসহ দুই-একটি দল নৌকা নয়,নিজেদের দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করবে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।

Leave a Reply

More News from বাংলাদেশ

More News

Developed by: TechLoge

x