রাজনীতি, নির্বাচন, দেশ এবং ক্রিকেট নিয়ে যা বললেন মাশরাফি
স্পোর্টস ডেস্কঃ ২০১১ সালেই অনেকে তার ক্রিকেট ক্যারিয়ারের শেষ দেখে ফেলেছিলেন।এরপর আরও সাত বছর কেটে গেছে। মাশরাফি বিন মুর্তজা দিনকে দিন নিজেকে আরও শক্তিশালী করে তুলেছেন।অধিনায়ক হিসেবে ২০১৫ সাল থেকে নিজেকে কিংবদন্তীর পর্যায়ে নিয়ে গেছেন।বোলার হিসেবেও এই সময়ের সেরাদের একজন তিনি।আগে থেকেই জানা ছিলো যে,২০১৯ বিশ্বকাপের পর আর ক্রিকেট খেলবেন না মাশরাফি।এর মধ্যেই হঠাৎ করে তিনি জানালেন,এবার জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছেন।ফলে বিশ্বকাপের আগেই তাকে লড়তে হবে একটা নির্বাচনে।আর সেই নির্বাচনের আগে খেলতে হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ।এই অবস্থায় মনোযোগ নড়বড়ে হয়ে যাওয়াটা খুব স্বাভাবিক।কিন্তু মঙ্গলবার মিরপুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মাশরাফি বললেন,তার মনোযোগ এখনও পুরোটা ক্রিকেটেই।এই সিরিজ শেষ হলে তবে নির্বাচন নিয়ে ভাববেন ওয়ানডে অধিনায়ক।
ক্রিকেটেই মনোযোগ রাখার ব্যাপারে বলতে গিয়ে মাশরাফি বলছিলেন,আমার পুরোপুরি অনুশীলনে মন আছে।অবশ্যই ১৪ তারিখের পর (সিরিজ শেষের পর) আমি ওইখানে মনোযোগ দেবো।ওইখানে (রাজনীতিতে) যা করার ১৪ তারিখের পর করবো।এর আগে পুরোপুরি কনসেন্ট্রেশন খেলায় রাখবো।মোটামুটি এটা নিশ্চিত যে,বিশ্বকাপের পর পুরাদস্তুর রাজনীতিবিদই হয়ে যাবেন মাশরাফি। ক্রিকেট থেকে নিজেকে সরিয়ে নেবেন।তবে মাশরাফি সেই ব্যাপারটাও সময়ের হাতেই ছেড়ে দিয়ে রাখতে চান।তিনি বলেন,প্রথমত আমি বলেছি,আমার মাইন্ড সেট আপ বিশ্বকাপ পর্যন্ত ছিল।চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত মনে হচ্ছিল,আমি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর পারবো কিনা জানি না।তারপরও আমার ফিটনেস পারফর্মেন্স ১৯ পর্যন্ত চলেছে বলে আমি মোটামুটি এগিয়েছি।তাই আমার বিশ্বকাপ পর্যন্ত মাইন্ড সেট আপ আছে।তারপর আমি যদি সেই অবস্থায় না থাকি তাহলে অবশ্যই আমাকে কুইট করতে হবে।আর যদি থাকি তাহলে অবশ্যই আমি চেষ্টা করবো।বিশ্বকাপের আগেও তো যেকোনো কিছু হতে পারে।২০১১ বিশ্বকাপের পর আপনাদের এখানেই পঞ্চাশ পারসেন্ট বিশ্বাস করেছিল যে আমার ক্যারিয়ার শেষ।আল্লার রহমতে আরও সাত বছর ক্যারি করতে পেরেছি।
নির্বাচনে জিতে আসতে পারলে দেশের ক্রিকেটের জন্যও তাকে কাজ করতে হবে বলে জানালেন মাশরাফি।তিনি বলেন,দেশের ক্রিকেটের কথা যেটা বললাম,আলহামদুলিল্লাহ ভালই চলছে।এখন যারা আছেন ক্লিয়ারলি বলতে পারেন।আমার অবস্থান থেকে যতটুকু সাপোর্ট দেওয়ার ততটুকু দেব।’