অরিত্রি অধিকারীর আত্মহত্যা দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভে ভিকারুননিসার শিক্ষার্থীরা

ডেইলিইউকেবাংলা নিউজঃ ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী অরিত্রি অধিকারীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেয়ার অভিযোগে আজ বুধবার দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করছে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা।বুধবার সকাল ১০টা থেকে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বেইলি রোড শাখার গেটের বাইরে বসে তারা বিক্ষোভ করেন।সহপাঠীর আত্মহত্যার প্ররোচনাকারীদের গ্রেফতার ও বিচার দাবিতে তারা বিভিন্ন স্লোগান দেন।এ ছাড়া নানা ধরনের প্রতিবাদী প্ল্যাকার্ড তৈরি করে তা ধরে রেখেছে শিক্ষার্থীরা।এর আগে অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যার ঘটনায় শিক্ষকদের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার দিনভর বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা।অনেক অভিভাবক এবং স্থানীয় লোকজনও প্রতিষ্ঠানটির বেইলি রোডের প্রধান শাখায় এসে বিক্ষোভে সহমর্মিতা প্রকাশ করেন।তারা এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট শিক্ষক,অধ্যক্ষ,উপাধ্যক্ষ ও গভর্নিং বডির সদস্যদের পদত্যাগ দাবি করেন।

এদিকে অরিত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেয়ার অভিযোগে অধ্যক্ষ ও শিক্ষকসহ তিনজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তারা হলেন-কলেজের অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস,প্রভাতী শাখার প্রধান জিনাত আখতার ও শ্রেণি শিক্ষক হাসনা হেনা।রাজধানীর পল্টন থানায় অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারী বাদী হয়ে মামলাটি করেন।মামলায় দিলীপ অধিকারী অভিযোগ করেন,পরীক্ষার সময় মোবাইলে নকল করার অভিযোগে অরিত্রীকে সোমবার তার মা-বাবাকে নিয়ে স্কুলে যেতে বলা হয়।তিনি (দিলীপ অধিকারী) স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে সোমবার স্কুলের ভাইস প্রিন্সিপালের কক্ষে গেলে তাদের অপমান করে বের করে দেয়া হয়।পরে প্রিন্সিপালের কক্ষে গিয়ে তার কাছে মেয়েকে পরীক্ষা দিতে দেয়ার অনুরোধ করা হয়।এক পর্যায়ে প্রিন্সিপাল তাকে অত্যন্ত কুরুচিপূর্ণ কথাবার্তা বলেন।প্রিন্সিপাল তার মেয়েকে স্কুল থেকে টিসি দেয়ার কথাও বলেন।এ কথা শুনে তার মেয়ে প্রিন্সিপালের পা ধরে ক্ষমা চায়।তখন প্রিন্সিপাল তাকে আরো কুরুচিপূর্ণ কথা বলেন।এসব সহ্য করতে না পেরে অরিত্রী দ্রুত প্রিন্সিপালের কক্ষ থেকে বের হয়ে যায়।পরে বাসায় গিয়ে তিনি দেখেন,অরিত্রী তার কক্ষে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়নায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলছে।

Leave a Reply

More News from বাংলাদেশ

More News

Developed by: TechLoge

x