‘নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয় উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখবে’

ডেইলিইউকেবাংলা নিউজঃ বাংলাদেশের অর্থনীতির উত্থান ঘটছে বলে জানিয়েছে জাপানভিত্তিক বৈশ্বিক অর্থনৈতিক জার্নাল নিক্কেই এশিয়ান রিভিউ।এই জর্নালের বাংলাদেশ বিষয়ে এক বিস্তারিত সমীক্ষায় বলা হয়,আগামী নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিজয় হলে উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত থাকবে।সম্প্রতি প্রকাশিত ‘দ্য রাইজ অ্যান্ড রাইজ অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক প্রচ্ছদ প্রতিবেদনে এই অভিমত দিয়েছে নিক্কেই এশিয়ান রিভিউ।জার্নালটির এডিটর অ্যাট লার্জ গোয়েন রবিনসন লিখিত এই প্রতিবেদনে বলা হয়,অপেক্ষাকৃত কম আন্তর্জাতিক মনোযোগ পেলেও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সাফল্যও বিশ্বের অন্যতম সাফল্যগাথায় পরিণত হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়,পর পর দুইবার ক্ষমতায় থাকার কারণে ভোটারদের মধ্যে ক্ষমতাসীনের প্রতি কিছুটা বিরোধিতা থাকলেও অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে অনেকেই একমত যে,ক্ষমতাসীন দল বিজয়ী হলে অধিকতর উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে এবং ক্ষমতাসীনরা বিজয়ী হলে বাংলাদেশ এক দীর্ঘমেয়াদি আকর্ষণীয় সাফল্যগাথা রচনা করবে।এ বছরের গোড়ার দিকে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের জাতিসংঘের নির্ধারিত শর্তাবলী পূরণ করায় দেশের ভাবমূর্তি বৃদ্ধি পেয়েছে।

এই ডিসেম্বর মাসে নিক্কেই এশিয়ান জার্নালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন এলডিসি থেকে বের হয়ে আসা এক ধরনের শক্তি ও আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে, যা শুধু রাজনৈতিক নেতাদের নয় বরং দেশের মানুষের জন্যও খুবই গুরুত্বপূর্ণ।শেখ হাসিনা আরও বলেছেন, ‘এলডিসিভুক্ত থাকলে আপনাকে অপরের দয়ার ওপর নির্ভর করতে হয়। আর সেখান থেকে উত্তরণ ঘটলে আপনাকে আর কারও ওপর নির্ভর করতে হয় না। কারণ তখন আপনার নিজের অধিকার রয়েছে।বাংলাদেশের শক্তিশালী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি শুধু অব্যাহত নয় আরও গতিশীল হবে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আগামী পাঁচ বছরে আমরা ৯ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আশা করছি এবং ২০২১ সাল নাগাদ তা ১০ শতাংশ ছুঁবে বলেও আশা রাখছি।’

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের পোশাক শিল্প বিশ্বের দ্বিতীয় স্থানে। গত এক দশক ধরে দেশটি গড়ে ছয় শতাংশের বেশি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে এবং এ বছর ৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।প্রতিবেদনে বাংলাদেশের খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের কথা উল্লেখ করে বলা হয়, ২০০৯ এর পর থেকে বাংলাদেশের মানুষের মাথা পিছু আয় তিন গুণ বেড়েছে যা বর্তমানে ১ হাজার ৭৫০ মার্কিন ডলার। এছাড়া অতি দরিদ্রের হার ১৯ শতাংশ থেকে ৯ শতাংশে নেমে এসেছে।প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সাফল্য সরকারি টার্গেটকেও ছাড়িয়ে গেছে। এবছর বাংলাদেশের রফতানির রেকর্ড ৩৬ দশমিক ৭ বিলিয়নে পৌঁছেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২১ সালে স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তীতে এটিকে ৫০ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যেতে শিল্প খাতকে আহ্বান জানিয়েছেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মরত বাংলাদেশি প্রবাসী শ্রমিকদের পাঠানো রেমিটেন্সের কারণে দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা হয়ে উঠছে। ২০১৮ সালে এটি ১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়,২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুরু করা ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ প্রকল্পের কারণে বাংলাদেশ আইটি খাত ছোট হলেও বর্তমানে উদীয়মান একটি খাতে পরিণত হয়েছে।প্রতিবেশি ভারতের সঙ্গে এ কারণেই বাংলাদেশ এখন এই খাত নিয়ে বলিষ্ঠভাবে কথা বলতে পারে।ওষুধ তৈরিতেও বাংলাদেশের গতি ঊর্ধ্বমুখী।আরও বলা হয়,সারা দেশে ১০০টি বিশেষায়িত অর্থনৈতিক জোন গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ।এর মধ্যে ১১টির কাজ শেষ হয়েছে।বাকি ৭৯টির কাজ চলছে।দেশের রিজার্ভের পরিমাণ ১০ বছর আগের সাড়ে ৭ বিলিয়ন থেকে এখন ৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশিতে উন্নীত হওয়ার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন,আমরা আমাদের নিজস্ব সম্পদ তহবিল গড়ার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি,যাতে আমরা আমাদের দীর্ঘমেয়াদি অবকাঠামো উন্নয়ন খাতে অর্থায়ন করতে পারি।

Leave a Reply

More News from বাংলাদেশ

More News

Developed by: TechLoge

x