নির্বাচনের অনুকূল আবহ সৃষ্টি হয়েছে : সিইসি

ডেইলিইউকেবাংলা নিউজঃ প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) খান মো.নূরুল হুদা বলেছেন,দেশব্যাপী মানুষের মধ্যে স্বতঃস্ফূর্ত নির্বাচনমুখী আচরণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।এবং একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হয়েছে।তিনি বলেন,আমরা প্রত্যক্ষ করেছি যে, সমগ্র দেশে নির্বাচনের একটি সুবাতাস,একটি অনুকূল আবহ সৃষ্টি হয়েছে।মানুষের মধ্যে স্বতঃস্ফূর্ত নির্বাচনমুখী আচরণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।নির্বাচনের সাথে সম্পৃক্ত প্রার্থীদের মধ্যে উৎসাহ দেখা যাচ্ছে এবং তাদের কর্মকান্ডের মধ্যে তা প্রতিফলিত হচ্ছে।তারা অনবরত সভা-মিছিল করে যাচ্ছেন এবং প্রার্থীরা তাদের ভোটারদের কাছে গিয়ে ভোট দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছেন।দেশব্যাপী একটি সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ-পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
সিইসি আজ আগারগাঁওস্থ ইটিআই ভবনে নির্বাচনের দিন সফটওয়্যার সংক্রান্ত ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (ইএমএস),ক্যানডিডেট ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিআইএমএস) এবং রেজাল্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (আরএমএস) বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করছিলেন।ভোট নির্বাচন কমিশনের কাছে একটি আমানত উল্লেখ করে খান মো.নূরুল হুদা বলেন,সেই আমানত,সেই ভোটের ফলাফলগুলো বিশ্লেষণ এবং বিতরণ করার জন্য আপনাদের হাতে চলে যাবে।কোন রকমের ভুল-ত্রুটির মাধ্যমে প্রার্থীদের অবস্থান নির্ধারণে যেন ব্যাঘাত না ঘটে,এটা অতন্ত গুরুত্বপূর্ণ।একটু ভুলের কারণে অনেক দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।অনেক সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।সঠিকভাবে ফলাফল বিতরণ ও বিশ্লেষণ করা অত্যন্ত কঠিন।অত্যন্ত সতর্কতার সাথে সঠিকভাবে এই দায়িত্ব পালন করতে হবে।
তিনি বলেন,নির্বাচনের মাধ্যমে ৩০ তারিখের পর একটা নতুন সরকার গঠন হবে,সেটার পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। আমরা অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে বলতে পারি যে,একটি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।সেটার নিয়ামক হিসেবে যে যার অবস্থান থেকে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করবেন।সিইসি বলেন,কমিশনের আস্থা বৃদ্ধি পেয়েছে যে,যে সকল কর্মকর্তাদেরকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে,তারা সক্ষমতার সাথে,স্বার্থকতার সাথে নির্বাচন পরিচালনার ক্ষেত্রে অবশ্যই সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।প্রশিক্ষণের এমন কোনো স্তর বাদ রাখিনি যে কারণে মাঠ পর্যায়ে গিয়ে নির্বাচন পরিচালনার ক্ষেত্রে তাদের কোন ঘাটতি থাকে।
তিনি বলেন,ইভিএমসহ নতুন কতগুলো দিক নিয়ে এ বছর প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।এবারই প্রথম প্রার্থীদের যে এজেন্ট কেন্দ্রে থাকবেন সেই পোলিং এজেন্টদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।আমরা তাদের প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেব। তারা তাদের এজেন্টদের প্রশিক্ষণ দেবে।এটার উদ্দেশ্য ছিল,এর মাধ্যমে নির্বাচন কার্যক্রমের যে নীতি,আচরণ-বিধি, নির্বাচন পরিচালনা বিধি,পোলিং বুথের ব্যবস্থাপনা,প্রশাসনিক অবস্থা এসবগুলো ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে পোলিং এজেন্টদের ধারণা দেয়া।যাতে পোলিং এজেন্ট বুঝতে পারে তার দায়িত্ব কী।সিইসি বলেন,কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার,সহকারী প্রিজাইডিং অফিসাররা যার যার দায়িত্ব বুঝতে পারেন।যার ফলে আইনগত দিকগুলো পোলিং এজেন্টরা ভালোভাবে বুঝতে পারবেন এবং নির্বাচন ব্যবস্থাপনা সুষ্ঠু এবং স্বাভাবিক থাকবে।খান মো. নূরুল হুদা বলেন,প্রায় এক বছর ধরে প্রস্তুতি নিয়ে ধীরে ধীরে নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাই।৩০ তারিখে সেটার শেষ দিন। সেদিন প্রার্থী,সমর্থক এবং ভোটাররা ভোট দেবেন।
মাঠ পর্যায়ে অভিযোগ জমা দেয়ার অনুরোধ জানিয়ে সিইসি বলেন,আমাদের যেটা অসুবিধা হয়,সেটি হলো অভিযোগগুলো নির্বাচন কমিশনের কাছে চলে আসে।এই অভিযোগগুলো আমাদের কাছে না এসে রিটার্নিং অফিসার এবং ইলেকট্রোরাল ইনকুয়ারি কমিটির কাছে গেলে তাৎক্ষণিকভাবে সমাধান পাবেন।নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মোস্তফা ফারুকের সভপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসি সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।তিনি কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন,আপনাদের মূল কাজ হলো নির্বাচনের রেজাল্ট পাঠানো।দায়িত্বশীলতার সাথে এই কাজটি করতে হবে।পরিসংখ্যানগত কোন ভুল যাতে না হয় এদিকে খেয়াল রাখতে হবে,এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।তা নাহলে আপনার একটি ভুলের কারণে এলাকায় লঙ্কা কান্ড ঘটে যেতে পারে।
তিনি বলেন,এখানে আপনারা যারা আছেন,তাদের প্রত্যেকেই কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ।নির্বাচনের ফলাফল যতটা সম্ভব দ্রুততার সাথে পাঠাবেন।তবে আবার দ্রুততার সাথে পাঠাতে গিয়ে যাতে ভুল না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।রেজাল্ট পাঠানোর সময় ভালভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখতে হবে যে কোন ভুল আছে কি না।বাংলাদেশের ইতিহাসে নির্বাচন কমিশন এবারই প্রথমবারের মতো বিপুল সংখ্যক কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে।আগামী ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন সকলের সহযোগিতায় সুন্দরভাবে সম্পন্ন হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

Leave a Reply

More News from বাংলাদেশ

More News

Developed by: TechLoge

x